বন্দরে রনি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃতের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি
Published: 10th, April 2025 GMT
বন্দর থানাধীন ১নং মাধবপাশা ও কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী এবং চাঁদাবাজ রনি হত্যার মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত হাজ্বী আব্দুল সাত্তার খন্দকার এর নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচী পালন করে। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে এলাকাবাসী।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সিমু আক্তার ও তার স্বামী সদ্য মৃত রনি তার বাহিনী মিলে এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা সহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে।
এলাকাবাসীর পক্ষে এলাকার পঞ্চায়েত কমিটি ও ১নং মাধবপাশা জামে মসজিদের সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক হাজী আব্দুস সাত্তার খন্দকার (৫৮) এর নেতৃত্বে এলাকাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে সর্তকতামূলক নানা প্রতিবাদ করে আসছে।
গত ৬ এপ্রিল তারিখে সিমু আক্তারের স্বামী মাদক ব্যবসায়ী রনি অপর আরেক ব্যবসায়ীদের হাতে খুন হয়। এতে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের না করে আমাদের এলাকার পঞ্চায়েত অভিভাবক হাজী আব্দুস সাত্তার খন্দকার এর বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
যা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যে প্রনোদিত। তাই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানান এলাকাবাসী।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য ন র য়ণগঞ জ ক ব যবস য় এল ক ব স
এছাড়াও পড়ুন:
দুই ছাত্রীকে ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তারে আলটিমেটাম
নরসিংদীর চরআড়ালিয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর বাঘাইকান্দি গ্রামের কাজীবাড়ির মোড়ে রায়পুরা উপজেলার চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন হয়।
ধর্ষণের অভিযোগে ইমরান, রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, সাইফুল মিয়া, রমজান, কাইয়ুম ও তার দুই সহযোগীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশে এত ধর্ষণ হচ্ছে কিন্তু অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের কোনো বিচার হচ্ছে না। পুলিশ কী করে? অনতিবিলম্বে ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন তারা। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তা না হলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে। আলটিমেটাম দিয়ে তারা বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষকদের আইনের আওতায় আনা না হলে রামপুরা থানাসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন চরআড়ালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জহিরুল ইসলাম জাজু, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু মুসা, জেলা ছাত্রনেতা সাব্বির ভূঁইয়া, সাবেক চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরকার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেল ৩টার দিকে দুই বান্ধবী চরআড়ালিয়া গ্রামের কাইয়ুম ও মুন্নার সঙ্গে ঘুরতে বের হয়। তারা সারা বিকেল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে বাঘাইকান্দি এলাকা থেকে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া-দাওয়া করে। পূর্ব থেকেই কাইয়ুম ও মুন্না তাদের বন্ধুদের পূর্ব বাঘাইকান্দি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থাকতে বলে। সে অনুযায়ী অন্য বন্ধুরা স্কুলের সামনে অপেক্ষা করতে থাকে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে অটোরিকশাযোগে তাদের নিয়ে পূর্ব বাঘাইকান্দি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে যায় কাইয়ুম ও মুন্না। সেখানে যাওয়ার পর এক ছাত্রীকে জোর করে স্কুলের পাশে নিক্সন মেম্বারের বাড়ির ছাদে নিয়ে যায় ইসরাফিল, সাইখুল, রমজান ও কাইয়ুম এবং অপর ছাত্রীকে মুন্না, ইমরান, রাজ্জাক, আব্দুর রহমান নদীর পারে নিয়ে যায়। সেখানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় অভিযুক্তরা। এ সময় ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী চিৎকার দিতে চাইলে ইট হাতে নিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার হুমকি দেয়। পরে দুই ছাত্রী বাড়ি ফিরে গেলে অবস্থা দেখে স্বজনরা জানতে চাইলে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় রায়পুরা থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে দুটি মামলা করা হয়েছে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।