সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হবে ডাকাতির নির্বাচন: সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম
Published: 10th, April 2025 GMT
সংস্কারের পর নির্বাচন দাবি করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন দেশ পেয়েছি। এ জন্য সংস্কারের পর এ দেশে নির্বাচন দেওয়া হোক। সংস্কার ছাড়া এ দেশে নির্বাচন হবে ডাকাতির নির্বাচন।’
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উপজেলা যুব সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, ‘আমাদের দেশে বারবার পরিবর্তন হয়েছে। বহু দলের শাসন আমরা দেখেছি। বহু নেতা নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘এ দেশের সর্বস্তরের মানুষের আন্দোলনের ভিত্তিতে, কিছু মানুষের জীবনের ভিত্তিতে, ত্যাগের ভিত্তিতে আমরা জালিমের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে সাকসেস হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, বাংলাদেশে আর জুলুম থাকবে না, অত্যাচার থাকবে না, অবিচার থাকবে না, বৈষম্য থাকবে না। মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারবে। যেখানে চাঁদাবাজি, গুন্ডামি, মাস্তানি থাকবে না। যেখানে চাকরির পদোন্নতির জন্য লবিং, গ্রুপিং দরকার হবে না। যেখানে ছাত্ররা ভর্তি হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে। যেখানে ব্যবসায়ীরা কোনো হয়রানির শিকার হবে না। যে দেশে একজন মা–বোনও ইভটিজিংয়ের শিকার হবে না। যে দেশে আমার মা–বোনদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই নেতা বলেন, ‘কিন্তু আমরা কী দেখছি? জুলাই বিপ্লবের পরে মানুষের সেই আশা, সেই আকাঙ্ক্ষা, যে কারণে মানুষ জীবন দিয়েছিল, রক্ত দিয়েছিল, তা ভেস্তে গেছে। আবারও জুলুম, আবারও অত্যাচার, আবারও অবিচার, আবারও চাঁদাবাজি, আবারও দখলদারত্ব।’ তিনি বলেন, ‘সংস্কার ব্যতীত যদি নির্বাচন দেওয়া হয়, সেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। আমরা চাই, আগে সংস্কার হবে, তারপর নির্বাচন।’
সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যদি পাশ্চাত্যের কোনো সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা না করেন, তাহলে তিনি ভালো থাকবেন। যদি পাশ্চাত্যের কোনো অপসংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে মুহূর্তের মধ্যে চলে যাবেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চাঁদপুর সদর উপজেলা সভাপতি শেখ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলটির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বর্ষবরণ ও চৈত্রসংক্রান্তির আয়োজন রবীন্দ্রসরোবরে
সংগীতশিক্ষার প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’র চৈত্রসংক্রান্তি ও বর্ষবরণের দুটি অনুষ্ঠানই হবে এবার ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরে। গতকাল শনিবার বিকেলে রবীন্দ্রসরোবরে গিয়ে দেখা যায়, শিল্পীদের জন্য কয়েক ধাপে মঞ্চ তৈরি করছেন শ্রমিকেরা। বাঁশ, কাঠ, কাপড়ে তৈরি হচ্ছে চৈত্রসংক্রান্তি ও বর্ষবরণের মঞ্চ। গত বছর এই আয়োজন হয়েছিল চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে।
এবার বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হচ্ছে ‘ইস্পাহানি চ্যানেল আই-সুরের ধারার বর্ষবরণ ১৪৩২’ শিরোনামে। ২০১২ সাল থেকে এ আয়োজন ‘সুরের ধারা চ্যানেল আই হাজার কণ্ঠে বর্ষবরণ’ শিরোনামে আয়োজিত হয়ে আসছিল।
সুরের ধারার ভাইস চেয়ারম্যান ও শিক্ষক স্বাতী সরকার প্রথম আলোকে গতকাল জানিয়েছেন, এবারের বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে সুরের ধারার শিল্পীসহ সারা দেশের প্রায় সাড়ে তিন শ শিল্পী অংশ নেবেন। তিনি বলেন, ভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর শিল্পীরাও সংগীত পরিবেশন করবেন এবারের আয়োজনে। রাঙামাটির ১২ জন শিল্পী অংশ নেবেন পরিবেশনায়।
বর্ষবিদায় বা চৈত্রসংক্রান্তির আয়োজনে অংশগ্রহণ করবেন আড়াই শ শিল্পী। আয়োজনটি সার্বিকভাবে সুরের ধারার। সুরের ধারার এবারের বর্ষবিদায়ের প্রতিপাদ্য ‘স্বদেশ’।
সুরের ধারার শিক্ষক ও আয়োজনের সহকারী কেশব সরকার প্রথম আলোকে বলেন, এবারের আয়োজনে সহযোগিতা করছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। চৈত্রসংক্রান্তি ও বর্ষবরণ দুটো অনুষ্ঠানই আগের মতো সরাসরি সম্প্রচারের কথা রয়েছে চ্যানেল আইয়ের। বর্ষবরণের আয়োজনে থাকছে পঞ্চকবির গান।
বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায়ের আয়োজনের মহড়া ঈদের আগে থেকেই শুরু হয়েছে। এখন শেষ সময়ের প্রস্তুতি চলছে বলে জানালেন সুরের ধারার শিক্ষকেরা। বাংলা নতুন বছর ১৪৩২-এর প্রথম দিন সকাল ছয়টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত বর্ষবরণের অনুষ্ঠান চলবে। এর আগের দিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চলবে চৈত্রসংক্রান্তি বা বাংলা বছরকে বিদায়ের অনুষ্ঠান। বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার উদ্যোগে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সংগীতচর্চা প্রতিষ্ঠান সুরের ধারা।