কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বিরোধী আন্দোলনের শহিদদের স্মরণে সোনারগাঁয়ে প্রচারাভিযান
Published: 10th, April 2025 GMT
জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসার দাবিতে ESADS, CLEAN এবং BWGED-এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা আইয়ুব প্লাজার সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এই কর্মসূচিটি বাঁশখালী আন্দোলনের স্মরণে আয়োজন করা হয়, যেখানে একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গিয়ে ছয়জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
অংশগ্রহণকারীরা "নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানি চাই" স্লোগান এবং নবায়নযোগ্য শক্তির বিনিয়োগ দ্রুততর করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ESADS-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগের ফলে জ্বালানি ব্যয় বেড়েছে এবং পরিবেশের বিপর্যয় ত্বরান্বিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলেন যে বাংলাদেশকে সৌর ও বায়ু শক্তির দিকে যেতে হবে, যাতে ব্যয়বহুল ও ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানো যায়।
ESADS-এর মহাসচিব মীযানুর রহমান বলেন, "আমরা বাঁশখালীর ভুলগুলো আবারও ঘটতে দিতে পারি না। বাংলাদেশের জ্বালানির ভবিষ্যৎ পরিচ্ছন্ন ও টেকসই হতে হবে।
২০১৬ সালে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করতে গিয়ে কৃষিজমি ও কবরস্থান রক্ষার দাবিতে যেসব মানুষ জীবন দিয়েছেন, তাঁদের আত্মত্যাগের স্মরণে আজকের কর্মসূচি ছিল এক প্রতিজ্ঞা- "উন্নয়নের নামে আর যেন সাধারণ জনগণের প্রাণ না ঝরে।"
মানববন্ধনের সমাপ্তিতে আয়োজকরা নবায়নযোগ্য শক্তির পক্ষে নীতি সংস্কারের জন্য তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন ESADS-এর সিনিয়র সহসভাপতি ফজলুর হক ভূঁইয়া, মোক্তার,ময়নাল, মালেক সহ প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ টাইমস সর্বশেষ জনপ্রিয় ১
আরো পড়ুন
বন্দরে বাকপ্রতিবন্ধী আফজাল ৯ দিন ধরে নিখোঁজ
বন্দরে এসএসসি পরীক্ষায় ১ম দিনে অনুষ্ঠিত ২৮
বন্দরে মসজিদের দান বাক্সের টাকা চুরি করে পালানো ইমাম !
বন্দরে বিভিন্ন ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার ২
এসএসসি পরীক্ষা ঘিরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নানা কর্মসূচি
রূপগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জে দুই শিল্প কারখানাকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা
এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে আদমজী টিচার্স এসো: এর বিভিন্ন কর্মসূচি
পরীক্ষার্থীদের বিশুদ্ধ খাবার পানি দিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন
২৩১/১ বঙ্গবন্ধু সড়ক (৬ষ্ঠ তলা, লিফটের ৫)
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবন, নারায়ণগঞ্জ
নির্বাহী সম্পাদক: মোশতাক আহমেদ (শাওন)
ফোন:+৮৮০১৯৩৩-৩৭৭৭২৪
ইমেইল : [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ বা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
© ২০২৫ | সকল স্বত্ব নারায়ণগঞ্জ টাইমস কর্তৃক সংরক্ষিত | উন্নয়নে ইমিথমেকারস.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: কয়ল ভ ত ত ক ব দ য ৎ স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ ত র স মরণ ব এনপ র পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
বাবাকে হারানোর ১৮ ঘণ্টা পর পরীক্ষায় বসল সেতু
রাতে বাবার লাশ দাফন করে সকালে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে সাবরিয়ান ইসলাম সেতু। অন্যদিকে রিয়া তাসফিয়া এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে এসে দেখে তার বাবা আর নেই। সেতুর বাড়ি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায়, রিয়ার পটুয়াখালীর বাউফলে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কাঁঠালিয়া সদর সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে আরবি প্রথম পত্র বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয় সেতু। সেতুর বাবা সিরাজুল ইসলাম ইসমাইল (৫০) ছিলেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম আউরা গ্রামের বাসিন্দা। কাজ করতেন পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে অফিস সহকারী পদে। গত বুধবার বিকেলে ঢাকার একটি বেসকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সিরাজুলের স্ত্রী সাহিদা বেগম স্বামীকে হারিয়ে পাগলপ্রায়। কাঁদতে কাঁদতে স্বামীর লাশের পাশে বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাদল মাহমুদ বলেন, সিরাজুল ইসলাম পরিবারের একমাত্র উপাজর্নক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর বৃদ্ধা মা, স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তাঁকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
কাঁঠালিয়া সদর সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাবরিয়ান ইসলাম সেতু তাঁর মাদ্রাসা থেকে এ বছর মানবিক শাখায় দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। বাবার মৃত্যুর কষ্ট বুকে চেপে সে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এ ঘটনায় তারা শোকাহত।
বুধবার রাতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সিরাজুলের লাশ দাফন করা হয়।
এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে রিয়াকে কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হয় হাসপাতালে। আর রিয়াকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় পরীক্ষার হলে। রিয়া পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে এসে দেখে তার বাবা আর নেই।
গতকাল সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মাহবুবুর রহমান বাউফলের কালিশুরী এস.এ. ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। রিয়া একই বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী।
মাহবুবুর মেয়েকে নিয়ে কেশবপুরের ভরিপাশা এলাকার বাড়ি থেকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মোটরসাইকেলে পরীক্ষা কেন্দ্র কালিশুরী যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে গাজী মাঝি এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল থেকে মাহবুবুর পড়ে যান। এ সময় রিয়া বাবাকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে চলে যায়। মাহবুবুরকে চিকিৎসার জন্য বরিশালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
কালিশুরী এস.এ. ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রের পরীক্ষার হলে গিয়ে দায়িত্বরত শিক্ষকদের কাছে রিয়া জানতে চায়, তার বাবা কেমন আছেন। রিয়ার মন খারাপ হলে পরীক্ষায় ভালো ফল হবে না ভেবে দায়িত্বরত শিক্ষক তাকে বলেন, ‘তিনি সুস্থ আছেন। ভালো আছেন। তুমি ভালোভাবে পরীক্ষা দাও, বাকিটা আল্লাহ ভরসা।’ পরীক্ষা শেষে বাড়িতে ফিরে তাসফিয়া দেখতে পায় বাড়ির আঙিনায় খাটে বাবার নিষ্প্রাণ দেহ পড়ে আছে।