বন্দরে মসজিদের দান বাক্স ভেঙ্গে টাকা চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে মসজিদের  ইমাম মুফতী ফারুকের বিরুদ্ধে।

গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে বন্দর থানার কুড়িপাড়া খোদাইবাড়ি জামে মসজিদে এ চুরি ঘটনাটি ঘটে। এ দিকে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঘটনাটি  এলাকায় জানাজানি হলে এ নিয়ে উক্ত এলাকায়  ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

স্থানীয়রা জানান, গত ৪ মাস পূর্বে কুড়িপাড়া জামে মসজিদে ইমাম হিসেবেড়দ মুফতি ফারুককে নিয়োগ দেন মসজিদ কমিটি। সে মসজিদে নিয়োগ পাওয়ার পর এলাকার মানুষের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশৃঙ্খরা সৃষ্টি করে।

তার মিথ্যাচারের কারণে নাসিক ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজকে সমাজচুত্য করা হয়।  গত কয়েক দিন আগে সে রাতের আধারে মসজিদের দান বাক্স ভেঙ্গে টাকা বের করে ভোরেই পালিয়ে যায়। এদিকে মসজিদের পাশের বাড়ির সিসি ক্যামেরায় মসজিদের দান বাক্স ভাঙ্গার চিত্র ধারন হয়ে যায়।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। এ নিয়ে আজ শুক্রবার মসজিদে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এ ব্যপারে মসজিদ কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান বাদল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসলে আমাদের একটি ভুল হয়েছে। আমরা তার সিভি নিলেও তা যাচাই বাছাই করা হয়নি।   
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: মসজ দ ন র য়ণগঞ জ মসজ দ র দ ন ব ক স

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে ছুরিকাঘাত ও সংঘর্ষে দুই প্রাণহানি, আহত ৩০

নড়াইল সদরে ছুরিকাঘাতে বাসের সুপারভাইজার ও কালিয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সকালে নড়াইল শহরের নতুন বাস টার্মিনালে নড়াইল এক্সপ্রেস পরিবহনের সুপারভাইজারকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। আর কালিয়ায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষের সময় হামলাকারীরা বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুট করেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। পুলিশ ২০ জনকে আটক করেছে। 

জানা যায়, নড়াইল এক্সপ্রেস পরিবহনের ওই সুপারভাইজারের নাম মোশারফ মুন্সী মুসা (৪৫)। গতকাল সকাল ৬টার দিকে তিনি নতুন বাস টার্মিনালে বসে ছিলেন। এ সময় কয়েক দুর্বৃত্ত এসে তাঁকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মুসা সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নের দলজিৎপুর এলাকার শামসুর রহমান মুন্সীর ছেলে। নড়াইল সদর থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, জড়িতদের শনাক্ত করতে চেষ্টা চলছে। 

অন্যদিকে, কালিয়ার কাঞ্চনপুরে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কাঞ্চনপুর গ্রামের মিলন মোল্যা ও আফতাব মোল্যার মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মিলন মোল্যার পক্ষের সানোয়ার মোল্যাকে মারধর করে আফতাব মোল্যার লোকজন। এর জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মিলন মোল্যার লোকজন আফতাব মোল্যার বাড়িতে হামলা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। আহত ফরিদ মোল্যা (৫৭) রাত ৯টার দিকে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ২০টি বাড়িঘর ও দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুন দেয় প্রতিপক্ষ। রাতেই যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে উভয় পক্ষের ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। কালিয়া থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাসদস্য মোতায়েন রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ