গুলি ছুড়ে ছিনতাই করা ২ ট্রলার উদ্ধার, নেপথ্যে ঘাটদখল
Published: 10th, April 2025 GMT
চাঁদার জন্য গুলি ছুড়ে যাত্রী পারাপারের ছিনিয়ে নেওয়া দুটি ট্রলার উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃস্পতিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর ভাটিরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ট্রলার দুটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে জড়িত কাউকেই পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এর আগে গতকাল বুধবার সাভার পৌর এলাকার কাতলাপুরের কর্ণপাড়া বংশী নদীর মিলন ঘাট থেকে ট্রলার দুটি ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এলাকাবাসী ও পুলিশ বলছে, নদী পারাপারের খেয়াঘাটের দখল নিয়ে সিংগাইর ও সাভারের ছাত্রদল ও যুবদল নেতার বিরোধের জের ধরে মিলন ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে অস্ত্র হাতে ট্রলার ছিনিয়ে নেওয়ার সময় দাঁড়িয়ে থাকার ছাত্রদল এক নেতার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নদীর দুপারের মানুষের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় খেয়াঘাটের বর্তমান দখলদার সাভার পৌর ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক যুবদল নেতা মো.
মামলার এজাহারে কামরুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে সাভারের কাতলাপুরের কর্ণপাড়া মিলনঘাটটি তিনি পরিচালনা করছেন। কিছুদিন ধরে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার ফুডনগর মোল্লাপাড়ার অন্তর খান (২৬), মোর্শেদ খান (২৫), মোশাররফ খান (২৮), হৃদয় (২৫), রনি খানসহ (৪২) অজ্ঞাত ১০-১২ জন ঘাট পরিচালনায় বাধা দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলো। কিন্তু তিনি দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় বুধবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে তারা পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মিলনঘাটে উপস্থিত হয়ে পুনরায় ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা কামরুলকে মারধর করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে অন্তর খান পিস্তল বের করে গুলি ছোড়েন। এ সময় সন্ত্রাসীরা খোকন ও আরমান নামক দুজন মাঝিকে মারধর করেন। এরপর কামরুলের দুটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ছিনিয়ে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, কামরুল ইসলাম ও তার ছেলে হেদায়েত উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে ঘাটটি পরিচালনা করে আসছিলো। এ ঘাটটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নদীর অপর পাড়ের সিঙ্গাইর থানার ফুডনগর মোল্লাপাড়ার অন্তর খানসহ কয়েকজনের সঙ্গে কামরুল ইসলাম বিরোধ চলছিলো। এর জের ধরেই ট্রলার ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত অন্তর সিংগাইরের ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানান স্থানীয়রা। তবে তিনি কোন পদে আছেন তা তারা জানাতে পারেননি।
কামরুল ইসলামের ছেলে হেদায়েত উল্লাহ জানান, সিঙ্গাইরের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী মাসখানেক ধরে চাঁদা দাবি করে আসছিল। গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ নৌকায় করে তারা অস্ত্রসহ ঘাটে আসেন। এ সময় অন্তর খান পিস্তল বের করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে ঘাটপাড় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া জানান, ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আশপাশের লোকজন গুলির শব্দ শুনেননি বলে জানিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, খেয়াঘাট দখল ও নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করেই ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ছিনতাই হওয়া ট্রলার দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সাভার পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুবকর সরকার সমকালকে বলেন, মিলন ঘাট ইজারা দেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। বেশ কিছু দরপত্র জমা পড়েছে। সেগুলো যাচাই–বাছাইয়ের কাজ চলছে। এখনো কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গুলি ছুড়ে ছিনতাই করা ২ ট্রলার উদ্ধার, নেপথ্যে ঘাটদখল
চাঁদার জন্য গুলি ছুড়ে যাত্রী পারাপারের ছিনিয়ে নেওয়া দুটি ট্রলার উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃস্পতিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর ভাটিরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ট্রলার দুটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে জড়িত কাউকেই পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এর আগে গতকাল বুধবার সাভার পৌর এলাকার কাতলাপুরের কর্ণপাড়া বংশী নদীর মিলন ঘাট থেকে ট্রলার দুটি ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এলাকাবাসী ও পুলিশ বলছে, নদী পারাপারের খেয়াঘাটের দখল নিয়ে সিংগাইর ও সাভারের ছাত্রদল ও যুবদল নেতার বিরোধের জের ধরে মিলন ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে অস্ত্র হাতে ট্রলার ছিনিয়ে নেওয়ার সময় দাঁড়িয়ে থাকার ছাত্রদল এক নেতার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নদীর দুপারের মানুষের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় খেয়াঘাটের বর্তমান দখলদার সাভার পৌর ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক যুবদল নেতা মো. কামরুল ইসলাম বুধবার রাতে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ গতকাল অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে।
মামলার এজাহারে কামরুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে সাভারের কাতলাপুরের কর্ণপাড়া মিলনঘাটটি তিনি পরিচালনা করছেন। কিছুদিন ধরে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার ফুডনগর মোল্লাপাড়ার অন্তর খান (২৬), মোর্শেদ খান (২৫), মোশাররফ খান (২৮), হৃদয় (২৫), রনি খানসহ (৪২) অজ্ঞাত ১০-১২ জন ঘাট পরিচালনায় বাধা দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলো। কিন্তু তিনি দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় বুধবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে তারা পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মিলনঘাটে উপস্থিত হয়ে পুনরায় ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা কামরুলকে মারধর করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে অন্তর খান পিস্তল বের করে গুলি ছোড়েন। এ সময় সন্ত্রাসীরা খোকন ও আরমান নামক দুজন মাঝিকে মারধর করেন। এরপর কামরুলের দুটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ছিনিয়ে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, কামরুল ইসলাম ও তার ছেলে হেদায়েত উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে ঘাটটি পরিচালনা করে আসছিলো। এ ঘাটটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নদীর অপর পাড়ের সিঙ্গাইর থানার ফুডনগর মোল্লাপাড়ার অন্তর খানসহ কয়েকজনের সঙ্গে কামরুল ইসলাম বিরোধ চলছিলো। এর জের ধরেই ট্রলার ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত অন্তর সিংগাইরের ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানান স্থানীয়রা। তবে তিনি কোন পদে আছেন তা তারা জানাতে পারেননি।
কামরুল ইসলামের ছেলে হেদায়েত উল্লাহ জানান, সিঙ্গাইরের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী মাসখানেক ধরে চাঁদা দাবি করে আসছিল। গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ নৌকায় করে তারা অস্ত্রসহ ঘাটে আসেন। এ সময় অন্তর খান পিস্তল বের করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে ঘাটপাড় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া জানান, ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আশপাশের লোকজন গুলির শব্দ শুনেননি বলে জানিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, খেয়াঘাট দখল ও নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করেই ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ছিনতাই হওয়া ট্রলার দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সাভার পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুবকর সরকার সমকালকে বলেন, মিলন ঘাট ইজারা দেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। বেশ কিছু দরপত্র জমা পড়েছে। সেগুলো যাচাই–বাছাইয়ের কাজ চলছে। এখনো কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি।