পরীক্ষার্থীকে লিখিত উত্তরপত্র সরবরাহ, শিক্ষকের দুই বছরের কারাদণ্ড
Published: 10th, April 2025 GMT
ফেনীতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে এক পরীক্ষার্থীকে লিখিত উত্তরপত্র সরবরাহের দায়ে এক হল পর্যবেক্ষককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকের নার মো. ইউনুস।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনী আলিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষা চলার সময় এ ঘটনা ঘটে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা নাসরিন ওই শিক্ষককে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষক মো.
আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ইকবাল হোসেন জানান, আজ দাখিল পরীক্ষার প্রথম দিন ‘কোরআন তাজবিদ’ বিষয়ের পরীক্ষা চলছিল। এ সময় শিক্ষক মো. ইউনুস এক পরীক্ষার্থীকে লিখিত উত্তরপত্র সরবরাহ করেন। একপর্যায়ে হল পরিদর্শনকালে বিষয়টি কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার ও ফেনী সদর উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা রাশেদুল আলম হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নজরে আনলে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত শিক্ষককে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই পরীক্ষার্থীকেও পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক, কেন্দ্রের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা নাসরিন প্রথম আলোকে বলেন , ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে খাতায় লিখে পরীক্ষার্থীকে উত্তর সরবরাহ করার সত্যতা মিলেছে। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই শিক্ষককে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীকেও উক্ত পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র থ ক সদর উপজ ল দ ই বছর র র সরবর হ ক ষকক
এছাড়াও পড়ুন:
ইলিশ: দাম স্বাভাবিক, ক্রেতা কম
বাংলা নববর্ষ উদযাপনে পান্তা ইলিশের একটি রেওয়াজ আছে। প্রতি বছর পয়লা বৈশাখ এলে বাজারে ইলিশের চাহিদা ও দাম বেড়ে যায়। কিন্তু এবার বাজারে বড় সাইজের ইলিশের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক থাকলেও ক্রেতা কম বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক কেজি বা একটু বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ মাছ কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সুইটি রানী রাইজিংবিডিকে বলেন, “পয়লা বৈশাখে পান্তা ইলিশ না খেলে নববর্ষ উদযাপন হবে কী করে? তাই স্বামীকে নিয়ে ইলিশ নিতে এসেছি। এখানে ভালো মানের ইলিশ পাওয়া যায়। আমি এক কেজি ওজনের দুটি ইলিশ নিয়েছি। আমার কাছ থেকে চার হাজার টাকা রেখেছে। গত সপ্তাহেও এই দামে নিয়েছি।”
আরো পড়ুন:
কড়া নাড়ছে ঈদ, চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা
শেষ মুহূর্তে জমজমাট ঈদের কেনাকাটা
সাজ্জাদুল ইসলাম নামের আরেকজন ক্রেতা রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমাদের অফিসের জন্য ১৫ কেজি ইলিশ নিয়েছি। অফিসের সবাই ইলিশ দিয়ে নববর্ষ উদযাপন করব। ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম রেখেছে ১ হাজার ৬০০ টাকা করে। অন্য সময় হয়তো ১ হাজার ৫০০ তে পেতাম। তবে এখানকার মাছগুলো টাটকা।”
পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ মাছ কিনতে আসা কাইয়ুম মজুমদার রাইজিংবিডিকে বলেন, “এবার বাজারে অন্য বছরের তুলনায় ইলিশের দাম কম দেখলাম। বড় ইলিশ ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা মধ্যে। কিন্তু যারা মধ্যবিত্ত রয়েছে তাদের পক্ষে এই দামেও ইলিশ কেনা সম্ভব না।”
কারওয়ান বাজারে সুজন মৎস্য আড়ৎ এর স্বত্বাধিকারী মো. সুজন সিকদার রাইজিংবিডিকে বলেন, “বাজারে এখন পর্যাপ্ত পরিমাণ ইলিশ সরবরাহ থাকার কারণে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশের দাম বাড়েনি। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। নদীর ইলিশের চাহিদা বেশি। এখন ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। তবে আগে যেমন পয়লা বৈশাখে বাজারে ভিড় থাকত। এ বছর ভিড় দেখছি না, বিক্রিও কম।”
বাবুল মৎস্য আড়ৎ এর ইলিশ বিক্রেতা বাবুল মোল্লা রাইজিংবিডিকে বলেন, “এবার বাজারে ইলিশের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। এর অন্যতম কারণ বড় ইলিশ মাছের সরবরাহ ঠিক আছে।”
ঢাকা/রায়হান/সাইফ