মৌলভীবাজারে ভাড়াটে খুনিরা এক নিরাপত্তারক্ষীকে খুন করতে গিয়ে ভুলে আইনজীবী সুজন মিয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– মূল পরিকল্পনাকারী নজির মিয়া ওরফে মুজিব (২৫), মো.

আরিফ মিয়া (২৭), হোসাইন আহমদ সোহান (১৯), লক্ষ্মণ নাইডু (২৩) ও আব্দুর রহিম (১৯)।
 
পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার জানান, মূল পরিকল্পনাকারী মুজিবের সঙ্গে তার পাশের বাড়ির একটি ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড মিসবাহর পূর্বশত্রুতা ছিল। তাকে ‘শিক্ষা’ দিতে ভাড়াটিয়া খুনি নিয়োগ করে মুজিব। এ জন্য পূর্বপরিচিত লক্ষ্মণের মাধ্যমে অপর খুনিদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় এবং মুজিব মোবাইল ফোনে টার্গেটের (মিসবাহ) ছবি পাঠায়।

গত ৬ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে মৌলভীবাজার পৌরসভা এলাকার ফুটপাতে চটপটির দোকানের পাশে বসে থাকা অবস্থায় আইনজীবী সুজন মিয়াকে মিসবাহ ভেবে তাঁকে ভিডিও কলে দেখিয়ে নিশ্চিত করে খুনিরা। এরপরই চেয়ারে বসা অবস্থায় সুজন মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতকারী।

এসপি বলেন, এ ঘটনায় ৮ এপ্রিল মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় নিহতের ভাই এনামুল হক সুমন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত বুধবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারীসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের পরিচয় উদ্ঘাটন করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। এসব আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা, সদর মডেল থানার ওসি গাজী মো. মাহবুবুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি জাফর হোসেন উপস্থিত ছিলেন। 


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপিকর্মী নিহতের ঘটনায় মানহানি মামলা

রংপুরের বদরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপিকর্মী নিহতের ঘটনায় বহিষ্কৃত ৮ নেতার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। বুধবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলী আদালতে (বদরগঞ্জ) মামলা দায়ের করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট শফি কামাল। 

মামলার আসামি হলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার, বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির মানিক, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল হক মানিক, মধুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, বদরগঞ্জ পৌর যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সুমন সরদার, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হক কয়েল, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, কালুপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছামছুল হক। এছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করেছে। আসামিদের হামলায় লাবলু মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গত ৫ এপ্রিল তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং ৬ এপ্রিল তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল নির্দেশ দিলে রংপুর জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আদালতে মামলা করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, দোকান ভাড়াকে কেন্দ্র করে গত শনিবার সকালে সাবেক বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী সরকার, হুমায়ুন কবির মানিকের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সাবেক বিএনপি নেতা ও কালুপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিকের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মোহাম্মদ আলী সরকারের অনুসারী বিএনপিকর্মী লাবলু মিয়া নিহত হন এবং সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পয়লা বৈশাখের আয়োজন বাধাগ্রস্ত করার কোনো অধিকার নেই
  • ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ: যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের মুখে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
  • ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভের কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের মুখে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
  • চট্টগ্রামে মনোনয়ন ফরম নিতে পারেননি আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা
  • চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা মামলায় ১১ আসামির জামিন নামঞ্জুর
  • আরেকজনকে হত্যা করতে গিয়ে আইনজীবীকে খুন, পাঁচজন কারাগারে
  • ভুল টার্গেটে খুন আইনজীবী সুজন, গ্রেপ্তার ৫
  • বিএনপিকর্মী নিহতের ঘটনায় মানহানি মামলা
  • সেনাবাহিনীর জন্য আলোচনার দরজা কখনো বন্ধ হয়নি: ইমরান খান