মঙ্গল গ্রহে মানববসতি গড়তে ভীষণ আগ্রহী স্পেসএক্স, টেসলাসহ খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। মঙ্গল গ্রহে যে করেই হোক মানববসতি তৈরি করতে চান তিনি। শুধু তা-ই নয়, ২০৫৪ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে ১০ লাখ মানুষের বসবাসের উপযোগী শহর তৈরির পরিকল্পনার কথাও ইতিমধ্যে জানিয়েছেন আলোচিত এই মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। এ নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হলেও দমে যাওয়ার পাত্র নন তিনি। আর তাই এবার এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে মঙ্গল গ্রহে স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট পাঠানোর সম্ভাব্য সময় জানিয়েছেন ইলন মাস্ক।

মঙ্গল গ্রহে চলা কিউরিওসিটি রোভারের একটি পোস্ট শেয়ার করে এক্সে ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, স্টারশিপ আগামী বছরের শেষের দিকে অপটিমাস এক্সপ্লোরার রোবট নিয়ে মঙ্গলের উদ্দেশে রওনা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে আরেক ঘোষণায় মাস্ক স্পেসএক্সের মঙ্গল মিশনের জন্য উচ্চাভিলাষী সময়সূচি প্রকাশ করেছিলেন। সে সময়সূচি অনুযায়ী, রোবট অবতরণ সফল হলে ২০২৯ সালের প্রথম দিকে মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানো শুরু হতে পারে। যদিও তাঁর ভাষ্যে, ২০৩১ সালই হচ্ছে মঙ্গলজয়ের বাস্তবসম্মত সময়।

আরও পড়ুনমানুষ কি আদৌ মঙ্গল গ্রহের প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে পারবে২৭ নভেম্বর ২০২৪

সম্প্রতি স্টারশিপের একটি রকেট পরীক্ষার সময় বিস্ফোরিত হয়। এর ফলে স্পেসএক্সের মাধ্যমে মঙ্গল গ্রহে ইলন মাস্কের মানববসতি তৈরির উচ্চাকাঙ্ক্ষা কিছুটা পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই ব্যর্থতা পেছনে ফেলে মঙ্গল গ্রহে স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট পাঠানোর সম্ভাব্য সময় জানালেন ইলন মাস্ক।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

আরও পড়ুনমঙ্গল গ্রহে নতুন বছর কবে থেকে শুরু হয়েছে জানেন২১ নভেম্বর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স প সএক স র ইলন ম স ক এক স র

এছাড়াও পড়ুন:

সময়সূচি থেকে পিছিয়ে যাওয়া যাবে না

সরকারি চাকরিতে পরীক্ষার জট খুলতে বাংলাদেশ কর্ম কমিশনকে (পিএসসি) হিমশিম খেতে হচ্ছে। বর্তমানে পিএসসির ঘাড়ে চারটি বিসিএস পরীক্ষার জট পড়েছে। এর মধ্যে ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএসের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আওয়ামী লীগ শাসনামলে। আর বর্তমান পিএসসি কর্তৃপক্ষ ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এই পরীক্ষা নিয়েও নতুন জটিলতা শুরু হয়েছে। আবেদনকারীদের একাংশ পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন।

প্রথম আলোর খবর থেকে জানা যায়, ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত নভেম্বরে। এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ২৭ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু ইতিমধ্যে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে পিএসসির সামনে বিক্ষোভ করেছেন। তাঁদের কয়েকজন প্রতিনিধি কমিশনের পদাধিকারীদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন।

পরীক্ষা পেছানো ও বাতিলের দাবিতে আন্দোলন সাম্প্রতিক একধরনের ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে, যার শুরু হয়েছিল গত বছর এইচএসসির অসমাপ্ত পরীক্ষা বাতিলের মধ্য দিয়ে।

পিএসসি আগামী দিনে প্রতিবছর একটি বিসিএস পরীক্ষা শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। কিন্তু আগের তিনটি পরীক্ষা বকেয়া রেখে সেটি করা সম্ভব হবে না। আগের জট খুলেই নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। একটি বিসিএস পরীক্ষার কয়েকটি ধাপ। প্রথমে ১০০ নম্বরে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়, যেখানে তিন থেকে চার লাখ আবেদনকারী অংশ নিয়ে থাকেন। এর মধ্য থেকে ১০ থেকে ১২ হাজার লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন এবং মৌখিক পরীক্ষার পর শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত তালিকা করা হয়। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে যে লোকবল প্রয়োজন, পিএসসির তা নেই। তাদের নির্ভর করতে হয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর।

পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিটি বিসিএস এক বছরের মধ্যে শেষ করার কথা বলেছেন। এ ছাড়া বিসিএস পরীক্ষার পাঠ্যসূচিতে পরিবর্তন আনাসহ পিএসসি নিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন সরকারের কাছে যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, তাতে দেড় বছরের মধ্যে বিসিএস পরীক্ষা শেষ করে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে বিসিএস পরীক্ষা শেষ করতে হবে এক বছরের মধ্যে। বাকি প্রায় ছয় মাসে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ ও নিয়োগ শেষ করতে হবে। এ জন্য প্রিলিমিনারি, লিখিত, মৌখিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা বছরের কোন সময়ে হবে, তারও একটি বার্ষিক পঞ্জিকা বা ক্যালেন্ডার নির্ধারণের কথা বলেছে কমিশন।

যেকোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমস্যা হলো তিন বিসিএসের জট। পিএসসি এই জট যত দ্রুত খুলতে পারবে, তত নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজ হবে। এই প্রেক্ষাপটে পিএসসির উচিত হবে ৪৪ বিসিএসের বাকি প্রক্রিয়া অবিলম্বে শেষ করো। এরপর পর্যায়ক্রমে তাদের ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএসের পরীক্ষা শেষ করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৪৭ বিসিএসের কার্যক্রমও শুরু করতে হবে। মুষ্টিমেয় প্রার্থীর আবদারের মুখে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানো ঠিক হবে বলে আমরা মনে করি না। যেকোনো একটি পরীক্ষা পেছানোর প্রভাব পরবর্তী প্রতিটি পরীক্ষায় পড়বে। যেখানে সরকারি চাকরিতে বহু পদ খালি আছে, সেখানে পরীক্ষা পেছানোর অর্থ হবে চাকরিপ্রার্থীদের অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া। অতএব, পরীক্ষার সময়সূচির বিষয়ে তারা অনড় থাকবে আশা করি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচনের লক্ষ্যে দ্রুত সংস্কারের তাগিদ
  • খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে যা ভাবছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
  • বিল সই করতে ভারতের রাষ্ট্রপতিকেও তিন মাস সময় বেঁধে দিলেন সুপ্রিম কোর্ট
  • শুরু হচ্ছে মাছ ধরার উপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা, খুশি জেলেরা
  • পানি উন্নয়ন বোর্ডে আবেদনের সময় বৃদ্ধি, পদ ২৭৭
  • বিসিএসের সময়সূচি পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই পিএসসির
  • এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৫–এর ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি
  • সময়সূচি থেকে পিছিয়ে যাওয়া যাবে না