গীতিকাব্যের সঙ্গে সংগীতের মূর্ছনায় ‘জেগে উঠো বিবেক’
Published: 10th, April 2025 GMT
বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল গীতিকাব্যে ‘জেগে উঠো বিবেক’ এর প্রকাশনা অনুষ্ঠান। বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে এটি প্রকাশ করা হয়। গীতিকাব্যের সঙ্গে সংগীতের মূর্ছনায় ভিন্ন মাত্রায় এতে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের চিরচেনা চিত্রের অনন্য এক দৃশ্যায়ন।
‘জেগে উঠো বিবেক’-এ থাকছে দশটি গান ও দশটি কবিতা, যা লিখেছেন রাসেল শাহরিয়ার। সুরের পাশাপাশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সংগীতশিল্পী নিলম সেন। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন হৃদয় হাসিন।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগীতশিল্পী শামীম হাসান, শাওন গানওয়ালা, চ্যানেলআই সেরাকণ্ঠের নদীসহ সংগীতাঙ্গনের আরও অনেকে।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে রাসেল শাহরিয়ার বলেন, ‘আমাদের দেশের সমাজের একদম নিচু থেকে উপর পর্যন্ত একটি কিছু শ্রেণির মানুষ দায়িত্ব ভীষণভাবে অবহেলা বা অপরাধ করে চলেছেন। সেটা হতে পারে জেনে-বুঝে কিংবা কাউকে অনুসরণ করে। প্রত্যেকটা মানুষ তো নিজের বিবেকের কাছে বিচারক। সেই বিচারক যদি দুষ্টু বা অসৎ হয় তাহলে তার প্রতিফলন সমাজের সব জায়গায় পড়ে। সেই বিবেককে জাগ্রত করতে হলে তার অস্তিত্ব অনুধাবন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। সেই চিন্তা থেকে গান-কবিতাগুলো রচনা করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে আমার কথাগুলো কবিতার মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছাতে চেয়েছিলাম। পরে সেটার সঙ্গে গান যোগ করা। এরপর নিলম সেনের সঙ্গে কথা বললেন তিনি এই কাজটি করতে আগ্রহী হন। আজ প্রকাশনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এটি প্রকাশ পেল। আশা করি এটা যারা শুনবেন তাদের সবারই ভালো লাগে। এই দশটি সেগমেন্টের মধ্যে একটিও যদি মানুষের বিবেককে নাড়া দেয় তাহলেই আমরা সার্থক।’
সংগীতলিল্পী নিলম সেন বলেন, ‘রাসেল শাহরিয়ার ভাইয়ে সঙ্গে ‘জেগে উঠো বিবেক’ নিয়ে কয়েকবার বসেছিলাম। এটা নির্মাণ করতে দির্ঘ্যদিন আমরা বিভিন্ন জায়গায় ছুটেছি। অবশেষে কাজটি শেষ করতে পেরে ভালো লাগছে। আশাকরি দর্শক-শ্রোতাদেরও এটি ভালো লাগবে।’
গীতিকাব্য ‘জেগে উঠো বিবেক’ প্রকাশ করা হয়েছে কুইন্স ইভেন্টের ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
৬ বছর পর পাবিপ্রবির বর্ষবরণে বাঙালি সংস্কৃতির ছোঁয়া
৬ বছর পর পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এর আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে ছিল উৎসবের রঙ, বাঙালি সংস্কৃতির ছোঁয়া।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় আয়োজনের অংশ হিসেবে শুরু হয় বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা।
পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম আব্দুল-আওয়ালের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
আনন্দ শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মূল মঞ্চে এসে শেষ হয়। মহিশের গাড়ি, পালকি, মুখোশ, গ্রামীণ খেলনা, রঙিন ব্যানার, পটচিত্র ও বাদ্যযন্ত্রে মুখর ছিল পুরো আয়োজন।
দিনব্যাপী বর্ষবরণের আয়োজনে আরো ছিল স্বাধীনতা চত্ত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলা। এতে উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, পাবিপ্রবি প্রেসক্লাব, ছাত্র ও ছাত্রী হলকে স্বতন্ত্রভাবে বর্ণিল সাজে সজ্জিত দোকানে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার অংশগ্রহন করতে দেখা যায়।
ইইসিই বিভাগের শিক্ষার্থী ইউসুফ খান রাচি বলেন, “এই প্রথমবার আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান দেখতে পারছি। শুনেছি এর আগে ২০১৯ সালে আমাদের ক্যাম্পাসে এরকম উৎসব মুখর পরিবেশে এমন আয়োজন হয়েছিল। নিজেদের হাতে স্টল সাজানো, পিঠা বানানো, বিক্রি করা। সব মিলিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা। বাংলা সংস্কৃতির এমন প্রাণবন্ত আয়োজন আমাদের মন ছুঁয়ে গেছে।”
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব বলেন, “সারাদিন ক্যাম্পাসে একটা অন্যরকম অনুভূতি ছিল। সবাই যেন একে অপরের আপন। এই ধরনের আয়োজন আমাদের মধ্যে বন্ধন গড়ে তোলে, সংস্কৃতির সঙ্গে জুড়ে দেয়।”
৬ বছর আগে ২০১৯ সালে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষের উৎযাপন করা হলেও মাঝখানে করোনা, রোমজান থাকার কারনে গত কয়েকবছর এই উৎসব পালন করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকা/আতিক/মেহেদী