ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮-এর ধারা ১৫ অনুযায়ী পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সরকার ঘোষিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (সিআইআই) হওয়ায় এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, যাতে সব কার্যক্রম যথাযথ প্রক্রিয়ায় ও নির্বিঘ্নভাবে পরিচালনা করা যায়।

এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনের নিরাপত্তায় সশস্ত্র আনসার নিয়োজিত করেছে বিএসইসি। গত ১ এপ্রিল থেকে আনসার বাহীনির সদস্যরা এই পরিকাঠামোর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছেন।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো.

আবুল কালামের সঙ্গে কথা হলে বিষয়টি নিয়ে রাইজিংবিডি ডটকমকে তথ্য দেন তিনি। 

আরো পড়ুন:

লাভেলো আইসক্রিমের ১০ লাখ শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা

ফু-ওয়াং ফুডসের আর্থিক প্রতিবেদনে নিরীক্ষকের আপত্তি

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন পুনর্গঠিত বিএসইসি নিরাপত্তা জোরদারের সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়ন করছে।

বিএসইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৬ জন আনসার সদস্য বিভিন্ন শিফটে দায়িত্ব পালনের কথা থাকলে এখন পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। বর্তমানে বিএসইসির নিরাপত্তায় তিনটি শিফটে ১৫ থেকে ১৬ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে চারজন সদস্য অস্ত্রধারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন সদস্য চেয়ারম্যান ও কমিশনার ফ্লোরে দায়িত্ব পালন করছেন। অন্য দুজন প্রধান ফটকের দায়িত্বে রয়েছেন।

সরেজমিন দেখা যায়, বর্তমানে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের ফ্লোরে একজন আনসার সদস্য অস্ত্রসহ দায়িত্ব পালন করছেন। আরেকজনকে অস্ত্র ছাড়াই দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। এ ছাড়া লিফট থেকে বের হয়ে ওই ফ্লোরে প্রবেশের আগেই আরো একজন আনসার সদস্যকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। ভবনের ভেতর ছাড়াও বিএসইসির সামনে বেশ কয়েকজন আনসার সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে একজনকে বিএসইসিতে ঢোকার প্রবেশদ্বারে সার্বক্ষণিক অবস্থান করতে দেখা যায়।

কথা বলে জানা গেছে, এখনো আনসার সদস্যদের পুরোপুরি দায়িত্ব বণ্টন করা হয়নি। কোন ফ্লোরে কতজন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন, সেটাও নির্ধারণ করা হয়নি। বর্তমানে সকালে ছয়, বিকালে ছয় এবং রাতের শিফটে তিনজন করে আনসার থাকছেন। 

আনসার সদস্যদের আবাসন ব্যবস্থার বন্দোবস্ত না হওয়ায় সেখানে নিয়োজিত ২৬ জন দায়িত্ব পালন করছেন না বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

বিএসইসিতে দায়িত্বরত একজন আনসার সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাদের ডিউটি। অফিস চলাকালীন তাদের সবসময় ডিউটি পালন করতে হবে। নিরাপত্তার জন্য তাদের শটগান দেওয়া হয়েছে। সেখানে থাকার ব্যবস্থা না হওয়ায় সবাই এখনো কাজে যোগ দেননি। তবে যতটুকু জানতে পেরেছেন, থাকার ব্যবস্থার পরিবর্তে দায়িত্ব পালনের জন্য তাদের ভাতা দেওয়া হবে।

বিএসইসির সিদ্ধান্ত
সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে আনসার নিয়োজিত করার প্রসঙ্গে সভায় আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনায় কমিশনকে গুরত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (সিআইআই) বিবেচনায় কমিশন ভবনের নিরাপত্তা বিধানে ঢাকা মহানগর আনসার দক্ষিণ জোন থেকে গত ১৭ মার্চ বিএসইসিতে একটি চিঠি পাঠায়। চিঠিতে বর্ণিত শর্তে আবাসন সুবিধা ব্যতিরেকে মোট ২৬ জন সশস্ত্র আনসার নিয়োজিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

বিএসইসির কালো অধ্যায়
চলতি বছরের গত ৫ মার্চ বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে কমিশনার মো. মহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর ও ফারজানা লালারুখের উপস্থিতিতে নির্ধারিত কমিশন সভা চলাকালে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী সভাকক্ষে জোরপূর্বক এবং অনধিকার প্রবেশ করে তাদেরকে অবরুদ্ধ করেন। কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী একজন নির্বাহী পরিচালককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আদেশ প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের প্রায় চার ঘণ্টা বোর্ড রুমে আটকে রাখেন। এ সময় তারা ভবনের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে মারাত্মক অরাজকতা ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। তখন ভবনের সিসি ক্যামেরা, ওয়াই-ফাই, লিফট এবং সব প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের উদ্ধার করে। পরের দিন ৬ মার্চ রাতে অবরুদ্ধের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান। তবে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনে মুক্ত হয়েছেন তাদের সবাই।

রাইজিংবিডি ডটকমের সঙ্গে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালামের কথা হলে তিনি বলেন, “বিএসইসি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এর নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন। প্রক্রিয়া মেনে নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য আনসার সদস্য চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। নির্ধারিত পদ্ধতি মেনে ২৬ জন আনসার দেওয়া হয়েছে। বিএসইসির নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন তারা।”

ঢাকা/এনটি/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসইস র স ব যবস থ প রব শ ভবন র ন করত

এছাড়াও পড়ুন:

তৃণমূলের একজন কর্মীকেও হারাতে দেয়া যাবে না : রিয়াদ চৌধুরী

সমাবেশে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, বিগত বছরে যারা মামলা হামলা করে দল করেছে, তাদেরকে নতুন বিএনপির ভিড়ে যেনো হারিয়ে না যায় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। তৃণমূলের একজন কর্মীকেও হারাতে দেয়া যাবে না। 

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে ফতুল্লার ঐতিহাসিক ডিআইটি মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু। 

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, জেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ার সাদাত সায়েম, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম ভূইয়া  জেলা ছাত্রলের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান ভূঁইয়া প্রমূখ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংস্কারের ছােঁয়া লাগেনি শেয়ারবাজারে
  • গাজার জন্য সমব্যথী নারী
  • তৃণমূলের একজন কর্মীকেও হারাতে দেয়া যাবে না : রিয়াদ চৌধুরী
  • বাজেটে ব্রোকারেজ হাউসের উৎসে কর কমানোর দাবি ডিবিএর 
  • মশিউর সিকিউরিটিজের অর্থ আত্মসাৎ, শাস্তির দাবি বিনিয়োগকারীদের
  • পুঁজিবাজার উপদেষ্টা কমিটি বাতিল
  • কাট্টলি টেক্সটাইলের আইপিওর ২৫ কোটি টাকা তছরুপ, তদন্তের জন্য দুদকে হস্তান্তর
  • এক মাসের মধ্যে কাট্টালিকে লিস্টিং ফি পরিশোধের নির্দেশ
  • লংকাবাংলা ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের ট্রাস্ট ডিড অনুমোদন