আগের ম্যাচ হেরে সুপার লিগে উঠা নিয়ে শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। এক ম্যাচ পরই তাদের ভাগ্যবদল হলো। পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ১৭০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স নিশ্চিত করেছে সুপার লিগ।

১০ ম্যাচে সাত জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে। শীর্ষে আছে আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। বিকেএসপির-৩ নম্বর মাঠে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৭ উইকেটে ৩০২ রান করে। জবাব দিতে নেমে পারটেক্স আটকে যায় ৯ উইকেটে ১৩২ রানে।

গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের জয়ের নায়ক শামীম মিয়া। ব্যাটিংয়ে ৫৩ বলে ৫৩ রানের পর বোলিংয়ে ৭ ওভারে ২৯ রানে ২ উইকেট নেন। রানে ফিরেছেন গাজী গ্রুপের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। ৯০ বলে ৯ চারে ৭৮ রান করেন। এছাড়া সাব্বির হোসেন শিকদার ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩৭ রানে আসে তোফায়েলের ব্যাট থেকে। ইনিংসের শুরুতে ৪৬ রান আসে সাদিকুর রহমানের ব্যাট থেকে।

আরো পড়ুন:

দলকে জিতিয়েও সোহানের ৩ রানের আক্ষেপ

অদ্ভুতুড়ে আউট ঢাকা লিগে বিতর্ক

পারটেক্সের হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন তানভীর, ইয়াসিন ও রুবেল মিয়া।

জবাব দিতে নেমে পারটেক্সের ওপেনার আদীল বাদে লড়াই করতে পারেননি কেউ। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৫৩ রান করেন। ১৭ রানের দুটি ইনিংস খেলেন আহরার আমিন ও তানভীর হোসেন।

শামীম বাদে ২টি করে উইকেট পেয়েছেন ওয়াসি সিদ্দীকি ও তোফায়ের আহমেদ।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ছাত্রদলের বৈশাখী উপহার

পয়লা বৈশাখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে বৈশাখী উপহার তুলে দিয়েছেন ছাত্রদলের এক নেতা।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনের সামনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ সন উপলক্ষে ৩২ জন শিশু-কিশোরের মাঝে এ উপহারসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মিনহাজ আহমেদ প্রিন্সের উদ্যোগে এ আয়োজনে ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রনেতা প্রিন্স বলেন, “পয়লা বৈশাখ আমাদের শত বছরের সামাজিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নববর্ষের উৎসবের সঙ্গে আমরা বরাবরই নিজেদেরকে রাঙিয়ে তুলি। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি প্রায়ই দেখেছি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কিছু সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা ঘোরাফেরা করে। যাদের জীবনে নেই কোনো নববর্ষের আনন্দ আয়োজন। তাই সেই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে নতুন পোশাক, চকলেট ও তাদের শিক্ষায় উৎসাহিত করতে কলম-খাতা এবং আমাদের গর্বের জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছি। তাদের সঙ্গে নববর্ষের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আমাদের এই প্রচেষ্টা। আমরা ভবিষ্যতে যে ঐক্যবদ্ধ ও ইতিবাচক বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছি এই ক্ষুদ্র আয়োজন তারই প্রয়াস মাত্র।”

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য ইউসুফ ভূঁইয়া নীরব, রাকিব হোসেন, কবি জসিমউদ্দীন হলের ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল ওহেদ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আজিজুল হাকিম, বিজয় একাত্তর হলের ইমতিয়াজ আহমেদ রনি, খন্দকার শাহরিয়ার, মুজিব হলের সানজিদ ইসলাম, সূর্যসেন হলের সাব্বির হাসান, মুহসীন হলের রাকিবুল ইসলাম, মাহমুদ, ড. শহীদুল্লাহ্ হলের তারেকুজ্জামান, জগন্নাথ হলের প্রান্ত চৌধুরী, শামসুন্নাহার হলের নূর রাদিয়া তাহিয়াত, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিল্লুর, নিলয়, তামিম, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের নাফিস, মার্কস মেডিকেলের আকিব, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবায়ের, নূর, শান্ত, জুনায়েদ, ঢাকা কলেজের মামুন, মিয়ারাজ, তিতুমীর কলেজের আরিফ, ঢাকা মহানগরের মাহফুজ, শাফিন, সিয়াম, মাহিবি, সানিম, জিহাদ, রতন, রাসেল প্রমুখ।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ