কামরুল ইসলামের ২৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
Published: 10th, April 2025 GMT
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ২৩ হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ২ কোটি ৪২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮৩ টাকা আছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, কামরুল ইসলামের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট এসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর, বন্ধক বা বেহাত করার চেষ্টা চলছে বলে তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এসব সম্পদ অবিলম্বে অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করা আবশ্যক। তাই, ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি কামরুল ইসলামের ১৫টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ১৫ কোটি ১৮ লাখ ১৫ হাজার ৪৬৫ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেন একই আদালত।
গত ১৮ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ১৯ নভেম্বর তাকে নিউ মার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি হত্যা মামলা আছে। বর্তমানে কারাগারে আছেন কামরুল ইসলাম।
ঢাকা/মামুন/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গাইবান্ধায় নকলের অভিযোগে ১১ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার
গাইবান্ধায় এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার চারটি কেন্দ্রে নকল ও মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখার অপরাধে ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসময় তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এছাড়া নকলে সহযোগিতা করার দায়ে এক শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা চলাকালীন সময় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তিনজন, বোনারপাড়া এম ইউ সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্র একজনকে বহিষ্কার করাসহ তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এছাড়া গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদ্রাসাকেন্দ্র থেকে পাঁচজন, কামদিয়া দারুল উলুম সিদ্দিকীয়া আলীম মাদ্রসার কেন্দ্র থেকে এক শিক্ষার্থী ও এক শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাঘাটা উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল লতিফ জানান, পরীক্ষা চলাকালে সাঘাটা পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিন পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন থাকায় তাদের বহিষ্কার করা হয়। এসময় তিনটি স্মার্টফোন জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, “পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অপরাধে মাদ্রাসার দুটি কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা কক্ষ পরিদর্শনের সময় ছয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে। এছাড়া নকলে সহযোগিতা করায় এক শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”
অপরদিকে, সুন্দরগঞ্জ আব্দুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়কেন্দ্রে এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। স্মার্টফোন নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করায় ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয় বলে জানান কেন্দ্র সচিব মো. ইলিয়াস আলী।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আল মামুন (শিক্ষা ও আইসিটি) বলেন, “পরীক্ষাকেন্দ্র পর্যবেক্ষণে অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ও পর্যবেক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন। কোথাও কোন অনিয়ম হলেই সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।”
ঢাকা/মাসুম/এস