তথ্য উপদেষ্টার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা আটক, মামলা হয়নি
Published: 10th, April 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান বাচ্চুর ওপর হামলার ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে তাঁদের ঢাকার গাজীপুর থেকে আটক করে পুলিশ। তবে হামলার ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
আটক ব্যক্তিরা হলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি পদপ্রার্থী সাগর হোসেন ও ইছাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য আবদুল কাদের।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বলেন, আজিজুর রহমান বাচ্চুর ওপর হামলার ঘটনায় গতকাল সাগর ও কাদেরকে ঢাকার গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার পূর্বাচল এলাকা থেকে আটক করা হয়। তাঁরা থানা হেফাজতে রয়েছেন। তথ্য উপদেষ্টার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে, কিন্তু তারা ওই ঘটনায় এখনো মামলা করেনি।
গত ৩০ মার্চ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। মাহফুজ আলমের নিজ গ্রাম রামগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর মোল্লাবাড়িতে এ হামলা হয়। হামলায় ইটের আঘাতে আজিজুর রহমান হাতে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ সময় তাঁর এক আত্মীয় আহত হন। আজিজুর রহমান ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।
ঘটনার পর মাহফুজ আলমের বড় ভাই মাহবুব আলম জানান, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের জেলা সহসভাপতি মেহেদী হাসান এলাকায় এলে বিএনপি, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা–কর্মীদের দুটি পক্ষ সন্ধ্যার দিকে তাঁকে ধরতে যায়। একপর্যায়ে বিএনপির নেতা–কর্মীরা ছাত্রলীগ নেতার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা–কর্মীরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়ান। দুই পক্ষের এ সংঘর্ষ থামাতে গেলে গ্রামবাসীর সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়ান তাঁরা। এই ত্রিমুখী সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা–কর্মীদের হামলার শিকার হন আজিজুর রহমান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আজ জ র রহম ন ছ ত রদল ও দল র ন ত উপদ ষ ট র মগঞ জ স ঘর ষ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফে অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত চায় ঢাবি ছাত্রদল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রদল। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এ দাবি জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আগুন লাগার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
ঢাবি ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান— এই প্রতিপাদ্যে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদ্যাপনের লক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রার অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিকৃতি তৈরির কাজে যুক্ত আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কিছুদিন ধরে আনন্দমুখর পরিবেশে এ কার্যক্রম চললেও শনিবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে কিছু দুর্বৃত্ত অনুষদ প্রাঙ্গণে নির্মিতব্য ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও শান্তির পায়রার প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগ করে তা ভস্ম করে দিয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলা এবং ক্যাম্পাসে ফ্যাসিস্টদের মুক্ত পদচারণার বিষয়ে ঢাবি ছাত্রদল এর আগে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল, এই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি তার সত্যতা প্রমাণ করে প্রতি একটি ভয়াবহ বার্তা দিয়ে গেল।’
ঢাবি ছাত্রদল বলেছে, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং ফ্যাসিবাদী শাসনামলের বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলাকারীরা এখনো আবাসিক হলগুলোতে বহাল তবিয়তে অবস্থান করছে। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিনা বাধায় চলাফেরা করছে। ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করে দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে। তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চরম উদাসীনতা দেখিয়েছে। এই অগ্নিসংযোগের ঘটনার মাধ্যমে সেটিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করছে ঢাবি ছাত্রদল।