৩০ লাখ টাকা ও ১৭ ভরি স্বর্ণালংকারের তথ্য মামলায় না থাকায় বাদীকে আদালতে তলব
Published: 10th, April 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফে একটি বাড়ি থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে জব্দ করা ৩০ লাখ টাকা ও ১৭ ভরি স্বর্ণালংকারের তথ্য মামলার এজাহারে উল্লেখ না করায় বাদীকে তলব করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আখতার জাবেদ এই আদেশ দিয়েছেন।
আদেশ অনুযায়ী, বাদীকে ১৩ এপ্রিল বেলা ১১টায় আদালতে সশরীর হাজির হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আশেক ইলাহী শাহজাহান নুরী প্রথম আলোকে বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যার আগে আদালতের আদেশের কপি টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশনে পৌঁছানো হবে।
৩ এপ্রিল কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে সংবাদপত্রে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টেকনাফের হ্নীলার আলীখালীতে ডাকাত হারুনের (মো.
বিজ্ঞপ্তিতে উদ্ধার অভিযানের ছবি ও ভিডিও পাঠানো হয়। তাতে (ছবি ও ভিডিওতে) অস্ত্র–গুলির সঙ্গে টাকা ও স্বর্ণালংকার দেখা যায়। ৩ এপ্রিল বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই অভিযানের সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের সদস্য কায়সার আহমেদ বাদী হয়ে ৩ এপ্রিল থানায় অবৈধ অস্ত্র ও গুলি রাখার অপরাধে হারুন ডাকাতের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার এজাহার ও সঙ্গে দেওয়া জব্দ তালিকায় টাকা ও স্বর্ণালংকারের কথা উল্লেখ নেই। কেন নেই তিনি জানেন না।
আজ দেওয়া আদালতের আদেশে বলা হয়, ৮ এপ্রিল প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে ‘কক্সবাজারে জব্দ টাকা ও স্বর্ণালংকারের তথ্য এজাহারে নেই’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মামলার ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আলামতের ছবি থাকলেও উদ্ধার ৩০ লাখ টাকা ও ১৭ ভরি স্বর্ণালংকারের কোনো তথ্য এজাহার ও জব্দ তালিকায় উল্লেখ নেই। তাতে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, মামলার বাদী (কায়সার আহমেদ) অসৎ উদ্দেশ্যে উদ্ধার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিজের আয়ত্তে রেখেছেন।
এ প্রসঙ্গে ৮ এপ্রিল কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম–উল–হক প্রথম আলোকে বলেছিলেন, অনিবার্য কারণবশত জব্দ করা টাকা ও স্বর্ণালংকারগুলো শুল্ক বিভাগে জমা দিতে দেরি হয়েছে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে টেকনাফ শুল্ক গুদামে জব্দ টাকা ও স্বর্ণালংকার জমা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৮ এপ্রিল প্রথম আলোর অনলাইনে ‘কক্সবাজারে জব্দ টাকা ও স্বর্ণালংকারের তথ্য এজাহারে নেই, যা জানাল কোস্টগার্ড’ শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। তার আগের দিন পর্যন্ত জব্দ স্বর্ণালংকার ও টাকা শুল্ক বিভাগে জমা হয়নি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ও স বর ণ ল ক র প রথম আল ৩০ ল খ উল ল খ
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।
মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।