কুষ্টিয়ায় চুরির অভিযোগে তিনজনকে তুলে নিয়ে দফায় দফায় নির্যাতন, একজনের মৃত্যু
Published: 10th, April 2025 GMT
কুষ্টিয়ায় চুরির অভিযোগে এক যুবককে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে শহরের রেনউইক চর এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত সুরমান খান (৩৫) রেনউইক চর এলাকার আবুল কালামের ছেলে। সুরমানরা চার ভাই। সবার ছোট আশরাফুল ইসলাম প্রতিবেশী আবদুল হাকিমের বাড়িতে হালিম তৈরির শ্রমিকের কাজ করেন। সুরমান রিকশা চালাতেন। তাঁর স্ত্রীর নাম রূপা খাতুন। তাঁদের এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, প্রতিবেশী আবদুল হাকিম চুরির অভিযোগে সুরমান, আশরাফুল ও তাঁদের এক প্রতিবেশীকে তুলে নিয়ে দফায় দফায় নির্যাতন করেছেন। এতে সুরমান নিহত হয়েছেন।
সুরমান খান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাবরা হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম ফরিদ মোল্যা (৫০)। তিনি কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত সুরত মোল্যার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফরিদ মারা যান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কাঞ্চনপুর গ্রামে দুটি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন ওই এলাকার মিলন মোল্যা, আরেকটি পক্ষ চালান আফতাব মোল্যা। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এ দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর আগে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিকেলে মিলনের অনুসারী সানোয়ার নামের এক সমর্থকের ওপর হামলা করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এর জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় আফতাব মোল্যার বাড়িতে হামলা চালান মিলনের লোকজন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে আফতাবের পক্ষের ফরিদের অবস্থা ছিল গুরুতর। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার কিছু সময় পর তাঁর মৃত্যু হয়।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মুঠোফোনে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় দুটি পক্ষের সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে এখনো সংখ্যা জানা যায়নি। এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।