হারানো, চুরি ও ছিনতাই হওয়া ১০৬টি মুঠোফোন উদ্ধার করে মালিকদের বুঝিয়ে দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুঠোফোন হারানো, চুরি ও ছিনতাই হওয়ার বিভিন্ন ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মালিকদের করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ধানমন্ডি থানার পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত এক মাসে ২৮টি মুঠোফোন উদ্ধার করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একই সময় হাজারীবাগ থানার পুলিশ হারিয়ে যাওয়া, চুরি ও ছিনতাই হওয়া ৭৮টি মুঠোফোন উদ্ধার করে মালিকদের ফিরিয়ে দেয়।

হারিয়ে যাওয়া মুঠোফোনগুলো দ্রুততম সময়ে ফিরে পেয়ে আনন্দিত মালিকেরা পুলিশের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। মুঠোফোন ফিরে পেয়ে অনেকে এ সময় আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রবীন্দ্রসরোবরে শুরু হয়েছে সুরের ধারার বর্ষবরণ আয়োজন

চ্যানেল আই-সুরের ধারা আয়োজিত ১৪৩২ বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে রাতের আঁধার কেটে আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে। রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরে উন্মুক্ত চত্বরে যেন প্রকৃতিকে সঙ্গে নিয়েই শুরু হলো নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর সূচনা।

বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের তিন শিল্পীর সরোদের সুরে সুরে বরণ করে নেওয়া হলো বাংলা নতুন বছর ১৪৩২। দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্রসংগীত, লোকগীতিসহ ছিল পঞ্চকবির গান।

যন্ত্রসংগীতের পরেই সুরের ধারার খুদে শিল্পীদের কণ্ঠে আকাশে-বাতাসে ছড়িয়ে গেল ‘আলো আমার আলো ওগো’র সুর। ওরা গানে গানে জানিয়ে গেল আলোর স্রোতে হাজার প্রজাপতির পাল তোলার কথা।

তৃতীয় পরিবেশনা ছিল ‘প্রভাত বীণা তব বাজে’ সুরের ধারার সমবেত সংগীত। এর পরপরই এল ‘ভিন্ন জাতিগোষ্ঠী’র কণ্ঠে পার্বত্য অঞ্চলের গান।

শিল্পী ফাহিম হোসেন চৌধুরী শোনালেন ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা, বিশ্বভরা প্রাণ।’ শিল্পী প্রিয়াংকা গোপের কণ্ঠে শোনা গেল ‘আমি অকৃতি অধম বলেও তো কিছু কম করে মোরে দাওনি।’

প্রতিবারের মতো চ্যানেল আই-সুরের ধারা আয়োজিত এবারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছেন দেশে বিভিন্ন স্থানের শিল্পীরা। কখনো একক সংগীত, কখনো সমবেত কণ্ঠে ভেসে এল নানা সুর।

সুরের ধারার শিল্পী স্বাতী সরকার শোনালেন ‘ওগো দুঃখ জাগানিয়া’সহ কয়েকটি গান। লোকসংগীতশিল্পী কিরণ চন্দ্র রায় পরিবেশন করলেন ‘পাল্টে গেল পঞ্জিকারও পাতা, বিদায় নিল আরও একটি সন, খুলতে হবে নতুন হালখাতা।’ শারমিন আক্তারের কণ্ঠে শাহ আবদুল করিমের ‘বসন্ত বাতাসে সই গো’ শুরু হতেই যেন আরও বেশি একাত্ম হয়ে গেলেন উপস্থিত শ্রোতারা।

রবীন্দ্রসরোবরে আরেক পাশে তখন চলছিল ছবি আঁকার আয়োজন। সেখানে ছিলেন শিল্পী অশোক কর্মকার, জাহিদ মুস্তফা, এলিস গোমেজ, রঞ্জন বিশ্বাসসহ আরও অনেক শিল্পী।

শিল্পীরা বললেন, নতুন প্রজন্মকে এই আয়োজনের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিতে ছবি আঁকা হচ্ছে। সকাল ছয়টায় অনুষ্ঠান শুরুর সময় ছিল সাদা ক্যানভাস। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গানের সুর-তালের সঙ্গে সঙ্গে চলতে থাকে ছবি আঁকা। দেড় ঘণ্টার মধ্যে আঁকা হয়ে যায় বড় ক্যানভাসে একটি ছবি। যেখানে দেখা যায়, বাবার কাঁধে চড়ে বাঘের মুখোশ পরে উৎসবে শামিল হয়েছে এক শিশু—সেই দৃশ্য। আশাপাশের রঙের বর্ণের ছটা জানিয়ে দিল এ উৎসব পুরোনোকে বিদায় দিয়ে নতুনকে আহ্বানের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ