হত্যা মামলার তদন্তে বেরিয়ে এলো বিপুল পরিমাণ গাঁজা
Published: 10th, April 2025 GMT
রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মো. তাফসির নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বসুন্ধরা আবাসিকের ওই বাসা থেকে ৮৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, তাফসির পেশাদার মাদক কারবারি চক্রের সক্রিয় সদস্য।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে বুধবার (৯ এপ্রিল) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাফসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া থেকে জানানো হয়, বুধবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজ শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক নারীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারে যায় পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী তাফসিরকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। পরবর্তিতে রেকর্ডপত্র যাচাই করে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলার তথ্য পাওয়া যায়। এরপর নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্বীকার করেন যে তিনি একজন পেশাদার মাদক কারবারি। তার বাসার একটি কক্ষের মধ্যে বিপুল পরিমাণ গাঁজা রয়েছে।
পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ও দেখানো মতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ভাড়া বাসার ৬ষ্ঠ তলার ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ৮৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত গাঁজার আনুমানিক মূল্য ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা।
ভাটারা থানা সূত্র জানায়, উদ্ধারকৃত বিপুল পরিমাণ এই গাঁজা তাফসির বিক্রির উদ্দেশে নিজ হেফাজতে রেখেছিলেন মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
ঢাকা/এমআর/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রবীন্দ্রসরোবরে শুরু হয়েছে সুরের ধারার বর্ষবরণ আয়োজন
চ্যানেল আই-সুরের ধারা আয়োজিত ১৪৩২ বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে রাতের আঁধার কেটে আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে। রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরে উন্মুক্ত চত্বরে যেন প্রকৃতিকে সঙ্গে নিয়েই শুরু হলো নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর সূচনা।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের তিন শিল্পীর সরোদের সুরে সুরে বরণ করে নেওয়া হলো বাংলা নতুন বছর ১৪৩২। দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্রসংগীত, লোকগীতিসহ ছিল পঞ্চকবির গান।
যন্ত্রসংগীতের পরেই সুরের ধারার খুদে শিল্পীদের কণ্ঠে আকাশে-বাতাসে ছড়িয়ে গেল ‘আলো আমার আলো ওগো’র সুর। ওরা গানে গানে জানিয়ে গেল আলোর স্রোতে হাজার প্রজাপতির পাল তোলার কথা।
তৃতীয় পরিবেশনা ছিল ‘প্রভাত বীণা তব বাজে’ সুরের ধারার সমবেত সংগীত। এর পরপরই এল ‘ভিন্ন জাতিগোষ্ঠী’র কণ্ঠে পার্বত্য অঞ্চলের গান।
শিল্পী ফাহিম হোসেন চৌধুরী শোনালেন ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা, বিশ্বভরা প্রাণ।’ শিল্পী প্রিয়াংকা গোপের কণ্ঠে শোনা গেল ‘আমি অকৃতি অধম বলেও তো কিছু কম করে মোরে দাওনি।’
প্রতিবারের মতো চ্যানেল আই-সুরের ধারা আয়োজিত এবারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছেন দেশে বিভিন্ন স্থানের শিল্পীরা। কখনো একক সংগীত, কখনো সমবেত কণ্ঠে ভেসে এল নানা সুর।
সুরের ধারার শিল্পী স্বাতী সরকার শোনালেন ‘ওগো দুঃখ জাগানিয়া’সহ কয়েকটি গান। লোকসংগীতশিল্পী কিরণ চন্দ্র রায় পরিবেশন করলেন ‘পাল্টে গেল পঞ্জিকারও পাতা, বিদায় নিল আরও একটি সন, খুলতে হবে নতুন হালখাতা।’ শারমিন আক্তারের কণ্ঠে শাহ আবদুল করিমের ‘বসন্ত বাতাসে সই গো’ শুরু হতেই যেন আরও বেশি একাত্ম হয়ে গেলেন উপস্থিত শ্রোতারা।
রবীন্দ্রসরোবরে আরেক পাশে তখন চলছিল ছবি আঁকার আয়োজন। সেখানে ছিলেন শিল্পী অশোক কর্মকার, জাহিদ মুস্তফা, এলিস গোমেজ, রঞ্জন বিশ্বাসসহ আরও অনেক শিল্পী।
শিল্পীরা বললেন, নতুন প্রজন্মকে এই আয়োজনের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিতে ছবি আঁকা হচ্ছে। সকাল ছয়টায় অনুষ্ঠান শুরুর সময় ছিল সাদা ক্যানভাস। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গানের সুর-তালের সঙ্গে সঙ্গে চলতে থাকে ছবি আঁকা। দেড় ঘণ্টার মধ্যে আঁকা হয়ে যায় বড় ক্যানভাসে একটি ছবি। যেখানে দেখা যায়, বাবার কাঁধে চড়ে বাঘের মুখোশ পরে উৎসবে শামিল হয়েছে এক শিশু—সেই দৃশ্য। আশাপাশের রঙের বর্ণের ছটা জানিয়ে দিল এ উৎসব পুরোনোকে বিদায় দিয়ে নতুনকে আহ্বানের।