চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে সরকারি খালে মাছ ধরা ও খালপাড় দখল নিয়ে প্রতিপক্ষের মারধরে বশির প্রধানীয়া (৪০) নামের এক কৃষক নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মামলাটি করেন নিহত ব্যক্তির স্ত্রী।

নিহত বশির প্রধানীয়ার বাড়ি উপজেলার বহরী গ্রামে। গতকাল বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশে খালেরপাড়ে তিনি খুন হন। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহাম্মদ বলেন, আজ সকাল ১০টায় নিহত কৃষকের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে রমিজ উদ্দিন বয়াতীসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন।

ওসি সালেহ আহাম্মদ জানান, প্রধান আসামি রমিজ উদ্দিন বয়াতীকে গতকাল দুপুরে উপজেলার বহরী এলাকা থেকে আটক করা হয়। আজ সকালে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

পরিবার, পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্র জানায়, নিহত বশির এলাকায় কৃষিকাজ করতেন। তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। অভিযুক্ত রমিজ উদ্দিন বয়াতীর বাড়িও বহরী গ্রামে। বশির ও রমিজ পরস্পরের প্রতিবেশী। দুজনের মধ্যে বাড়ির পাশে একটি সরকারি খালপাড়ের দখল ও খালের মাছ ধরা নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে এর আগে ওই দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার মারামারির ঘটনা ঘটে।

গতকাল দুপুর ১২টায় ওই সরকারি খালে মাছ ধরতে যান বশির প্রধানীয়া ও তাঁর দুই ছেলে। এতে বাধা দেন রমিজ উদ্দিন ও তাঁর লোকেরা। এ নিয়ে বশির ও রমিজ উদ্দিনের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারামারির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে রমিজ উদ্দিন ও তাঁর লোকেরা বশির প্রধানীয়া ও তাঁর ছেলে বিল্লাল হোসেন ও মো.

জয়নালকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান। সেখান থেকে বশিরকে উদ্ধার করে স্বজনেরা চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। বিল্লাল হোসেন ও মো. জয়নাল স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রাণ গেল একজনের, আহত ২

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে সরকারি খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ও খালপাড় দখল নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন। বুধবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের বহরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ওই ব্যক্তির নাম বশির প্রধানীয়া। তার বাড়ি বহরী গ্রামে।

পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বহরী গ্রামের কৃষক বশির প্রধানীয়া ও রমিজ উদ্দিন বয়াতীর মধ্যে খালপাড়ের দখল ও খালের মাছ ধরা নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে ইতিপূর্বে ওই দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার তর্ক-বিতর্ক ও মারামারির ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার বিকেলে ওই খালের পাড়ে এ নিয়ে বশির ও রমিজ উদ্দিনের পক্ষের লোকজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বুধবার বেলা ১২টার দিকে সরকারি খালে মাছ ধরতে যান বশির প্রধানীয়া ও তার দুই ছেলে। এতে বাধা দেন রমিজ উদ্দিন ও তার লোকেরা। এ নিয়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এসময় রমিজ উদ্দিনের লাঠির আঘাতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন বশির। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হন বিল্লাল হোসেন ও মো. জয়নাল। 

বশির প্রধানীয়ার মেয়ে তাহমিনা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, খালপাড় দখল ও সেখানে মাছ ধরা নিয়ে বিরোধের জেরে তার বাবা ও ভাইদের বেধড়ক পিটিয়েছেন রমিজ উদ্দিন ও তার লোকজন। তাদের লাঠির আঘাতে আমার বাবা মারা গেছেন। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

এ বিষয়ে রমিজ উদ্দিন বয়াতীর মোবাইলে ফোন দিলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

মতলব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেহ আহাম্মেদ বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাঁদপুরে ১০ দোকানে আগুন
  • মতলবের মুন্সীরহাটে ফের আগুন, পুড়ে ছাই ১৮ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান
  • বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে গেল রিমা
  • মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রাণ গেল একজনের, আহত ২