গাজায় গণহত্যা বন্ধে সারা পৃথিবীর মানুষকে এক হয়ে প্রতিবাদ জানাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের নেতারা। প্রয়োজনে যুদ্ধে নাম লেখাতে রাজি আছেন বলেন তাঁরা।

গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দল মানববন্ধন ও কালো ব্যাচ ধারণ কর্মসূচি পালন করে। বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এক ঘণ্টা ধরে এই কর্মসূচি চলে।

মানববন্ধনে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক ও সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান বলেছেন,'আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি, থাকব। যদি প্রয়োজন হয় আমরা যুদ্ধে নাম লেখাতে রাজি আছি।'

মোর্শেদ হাসান খান বলেন, গাজায় তাঁরা বোমা নিক্ষেপ করছে। শত শত নারী-পুরুষের লাশ গাজায় পড়ে আছে। তিনি বলেন, সারা পৃথিবীর মানুষকে এক হয়ে যার যার জায়গা থেকে আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে।

ইসরায়েলকে তাদের ভাষায় জবাব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আ.

ফ.ম ইউসুফ হায়দার৷ কেবল ওপেকভুক্ত দেশগুলো যদি তেল দেওয়া বন্ধ করে তাহলে এই যুদ্ধ বন্ধ হয়ে আসবে বলেন তিনি।

প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাংলাদেশে যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে তা ঠিক হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুস সালাম।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ইকরামুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ নাসরিন সুলতানা, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আখতার হোসেন।

সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ ছাড়া অন্যান্য বিভাগ ও অনুষদের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফিলিস্তিন জাগে ফিলিস্তিন জাগে’

‘সন্ধ্যা নামে প্রলয় মাঝে, বাচ্চারা খেলে না আর, স্কুল ভেঙে গেছে বই পুড়ছে, তবু ওদের সাহসে নেই বাঁধ, ফিলিস্তিন জাগে ফিলিস্তিন জাগে’– বহু দূরের ফিলিস্তিনের নির্যাতিত শিশুদের জন্য নারায়ণগঞ্জে খেলাঘরের শিশুরা সবাই মিলে দাঁড় করিয়েছে একটি কবিতা। শনিবার বিকেলে এই কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়েই পালন করে প্রতিবাদী মানববন্ধন। সেখানে ফিলিস্তিনের নির্বিচার শিশু হত্যার, মানুষ হত্যার প্রতিবাদ জানায় তারা। 
‘ফিলিস্তিন জাগে ফিলিস্তিন জাগে’ কবিতার লাইনটি মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের মুখে রূপান্তরিত হয় স্লোগানে। পাশাপাশি উঠে আসে আরেক স্লোগান, ‘খেলাঘর চায় না, শিশুদের কান্না’। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে খেলাঘর আসর আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশ নেন নানা দলমতের মানুষ।
জেলা খেলাঘর আসরের সভাপতি জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, ‘ফিলিস্তিনি শিশুদের কান্নার রোল আমাদের হৃদয়ে গভীর কষ্ট সৃষ্টি করেছে। তাই আমরা শিশুদের নিয়ে আজ রাস্তায় দাঁড়িয়েছি এসব শিশুর কান্নার সঙ্গে চিৎকার দেওয়ার জন্য। আমরা আমেরিকার সহযোগিতায় ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি ও অনতিবিলম্বে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানাচ্ছি। শুধু মুসলমানরাই নয়, কোনো মানবিক বোধসম্পন্ন মানুষ এই নির্বিচারে গণহত্যা, এই ধ্বংসযজ্ঞ মেনে নিতে পারে না। এই বিশ্বকে আমরা শিশুদের বাসযোগ্য দেখতে চাই, আনন্দময় দেখতে চাই। যুদ্ধমুক্ত পৃথিবীর প্রত্যাশা করি।’
জহিরুল ইসলাম জহিরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন জেলা মহিলা পরিষদের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মী চক্রবর্তী, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাকিদ মুস্তাকিম শিপলু, জেলা উদীচীর সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল, জেলা বাসদ সমন্বয়ক আবু নাঈম খান বিপ্লব, জেলা সিপিবি সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, ক্রান্তি খেলাঘর আসরের সভাপতি মামুন ভূঁইয়া, রূপগঞ্জ খেলাঘর আসরের সভাপতি জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ফিলিস্তিন জাগে ফিলিস্তিন জাগে’
  • রাষ্ট্রীয় খরচে কোনো অতিথিকে হজে পাঠানো হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা
  • বাবা হত্যার বিচার দাবিতে রাস্তায় দুই শিশু
  • নেত্রকোনায় হেফাজত নেতার বাড়িঘরে হামলা ও মারধর, অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
  • জমি নিজের দাবি করে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল
  • বন্দরে রনি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃতের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি
  • আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন
  • নোয়াখালীতে বিএনপির এক পক্ষের মানববন্ধনে অপর পক্ষের হামলা
  • বাউফলে সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন, যুবদল নেতাকে শোকজ