বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর হাট ইজারাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের আটজন আহত হয়েছে। বুধবার রাত ৮টার দিকে মমিনপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন আব্দুল কুদ্দুস বয়াতি (৬০), মামুন বয়াতি (৪৮) ও রেজাউল বয়াতি (৫২)। তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের মধ্যে জুলহাস (২৮), নুর মোহাম্মদ আকন (৪৫) ও দপু আকন (৪০)  বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানা গেছে, বাংলা ১৪৩১ সালের জন্য মমিনপুর হাটের ইজারা পান রুবেল সরদার নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি বিএনপির স্থানীয় ওয়ার্ডের যুবদল নেতা। একই এলাকার ওয়ার্ড বিএনপির নেতা আব্দুল কুদ্দুস ইজারায় অংশ নিলেও তিনি ইজারা পাননি। এ নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় তার মধ্যে। নতুন ইজারাদারদের ১৫ এপ্রিল থেকে ইজারা তোলার জন্য ইউএনও অফিস থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

বুধবার রাতে ইজারাদার রুবেল সরদার তার সহযোগীদের নিয়ে হাটে হাসিল আদায় করতে গেলে প্রতিপক্ষ কুদ্দুস ও তার লোকজনদের সঙ্গে প্রথমে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। অভিযোগ রয়েছে, রুবেল ও তার পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ালে ৯ জন আহত হয়। 

বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইজ র ব এনপ স ঘর ষ আহত ব এনপ র স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলের কালিয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ফরিদ মোল্যা (৫০) নামে একজন নিহত হয়েছে। নিহত ফরিদ মোল্যা কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত সুরত মোল্যার ছেলে। 

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে। 

পুলিশ ও স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, সংঘর্ষের পর গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদ মোল্যাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারা যান। 

এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের মধ্যে বশির মুন্সি নামে আরেকজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।  

জানা যায়, উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মিলন মোল্যা ও আফতাব মোল্যার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ইতোপূর্বে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে  দু’পক্ষের মধ্যে। এ নিয়ে থানায় উভয়পক্ষের একাধিক মামলাও রয়েছে। ঈদের দিন থেকেই গ্রামটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। নিহত ফরিদ মোল্যা আফতাব মোল্যা গ্রুপের সমর্থক ছিলেন।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকালে মিলন মোল্যা পক্ষের সানোয়ার রহমান নড়াইল আদালত থেকে হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তাকে একা পেয়ে আফতাব মোল্যার লোকজন মারপিট করে। এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মিলন মোল্যা পক্ষের লোকজন আফতাব মোল্যার বাড়িতে হামলা করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে  উভয়পক্ষ স্কুল মাঠে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘণ্টাব্যাপি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। 

আফতাব মোল্যা পক্ষের আহতদের মধ্যে রয়েছেন- করিম মুন্সি (৪৯), হুসাইন শেখ (১৮), আশরাফ মোল্যা (৫০), বশির মুন্সি (৪৫), করিম মুন্সী (৩৭), জালাল মুন্সি (৪৭), নাহিদ মোল্যা (২৫), করিম মোল্যা (১৬), সহিদ মুন্সি (৪০)। 

মিলন মোল্যা পক্ষের দের মধ্যে রয়েছেন- তৌহিদ মোল্যা (৫০), আলমিস শেখ (৩৫) নিরব মোল্যা (১২), হাসিব মোল্যা (১৫), কিবরিয়া শেখ (২৮), ওসমান মোল্যা (১৫), কামাল কাজী (৪০), তরিক শেখ (২৪), জাকারিয়া শেখ (২৫) ও দিদার শেখ (১৮), হুমায়ন কাজী (৩৫), ওহাব কাজী (৪৫), পিয়ার মোল্যা (৩৪)। 

ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে কালিয়া থানায় হন্তান্তর করে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে  কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, “এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় আইনুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/শরিফুল/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নড়াইলের কালিয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১