আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করতে চিঠি পাঠিয়েছে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়। আজ বৃহস্পতিবার তাদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে আইজিপিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

অন্য আসামিরা হলেন- ড.

হাসান মাহমুদ, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নজরুল হামিদ দিপু, মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিকী।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ল ই গণহত য

এছাড়াও পড়ুন:

পরকীয়ার অভিযোগ, স্ত্রীকে শিকল বন্দী করলেন স্বামী

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে পরকীয়া প্রেমের অভিযোগ তুলে নাসরিন বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধূকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। উপজেলার বাটিকামারি ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, অভিযুক্ত নাসরিনকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিল তার স্বামী। এর আগেও কয়েকবার তিনি নাসরিনকে মারধর করেছেন। আজ বিকেলে পরিবারের লোকরা বসবেন। প্রয়োজন হলে তারা মামলা করবেন।

ভুক্তভোগী নাসরিন উপজেলার বাটিকামারি ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের স্ত্রী। তিনি একই ইউনিয়নের বাহারা গ্রামের ওসমান শেখের মেয়ে।

আরো পড়ুন:

মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ মামলার চার্জশিট প্রস্তুত: আইন উপদেষ্টা

মহিষ লুট: কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতাসহ ১১ জন কারাগারে

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বাড়ির একটি সিঁড়িতে নাসরিন বসে আছেন। তার কোমর শিকল দিয়ে বাঁধা। শিকলটি পিলারের সঙ্গে তালাবদ্ধ। পাশে ভুক্তভোগীর স্বামী আব্দুর রহমান বসে ছিলেন। চারপাশে উৎসুক জনতাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে ভিডিওতে। 

নাসরিন জানান, ২০১৩ সালে সামাজিকভাবে আব্দুর রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এই দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে। আব্দুর রহমান অন্য মেয়েদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন বলে কয়েক মাস আগে জানতে পারেন নাসরিন। এরপর নাসরিন ফেসবুকে টিকটক আইডি চালু করেন। এ নিয়ে আব্দুর রহমান নাসরিনকে মঝে মধ্যে মারধর করতেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মারধর করলে নাসরিন আর সংসার করবে না বলে জানান। ওইদিন তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে খুলনায় বোনের বাড়ি যান।

গতকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) নাসরিনের ভাই মিটল শেখকে দিয়ে খুলনা থেকে নাসরিনকে এনে কোমরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন স্বামী আব্দুর রহমান। আজ রবিবার পুলিশ গিয়ে নাসরিনকে শিকল থেকে মুক্ত করে।

নাসরিনের বোন আসমা বেগম বলেন, “নাসরিনকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিল তার স্বামী। এর আগেও কয়েকবার আমার বোনেকে মারধর করেছেন তিনি। আজ বিকেলে পরিবারের লোকদের নিয়ে বসব। প্রয়োজন হলে মামলা করব।”

নাসরিনের স্বামী আব্দুর রহমান বলেন, “নাসরিন অন্য ছেলেদের সঙ্গে পরকীয়া প্রেম করে। সে বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। নাসরিনের নামে ব্যাংক হিসাবে আরো টাকা রয়েছে। সেই টাকা উত্তোলন করতে হবে‌ একথা বলে তার ভাইকে দিয়ে খুলনা থেকে এনে শিকল বন্দি করে রাখি নাসরিনকে।”

মুকসুদপুর থানার ওসি মো. মোস্তফা কামাল বলেন, “আমি আজ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আমরা গিয়ে গৃহবধূকে মুক্ত করি। নাসরিনকে তার বাবার বাড়ি পাঠানোর পাশাপাশি অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি এখন স্বামীর বাড়িতে আছেন।”

ঢাকা/বাদল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ