Samakal:
2025-04-12@18:05:04 GMT

বয়স তাঁর কাছে সংখ্যামাত্র

Published: 10th, April 2025 GMT

বয়স তাঁর কাছে সংখ্যামাত্র

বয়স তাঁর কাছে সংখ্যামাত্র! ৬৭ বছরের বলিউড অভিনেতা সানি দেওলের ‘ঢায় কিলো কা হাতে’ পড়ুন [আড়াই কেজি ওজনের হাতের] ম্যাজিক যে এখনও অক্ষত, তা কখনও পর্দায় টিউবঅয়েল, কখনও ল্যাম্পপোস্ট তুলে হুঙ্কার দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এবার নতুন ছবিতে বিশাল আকারের সিলিং ফ্যান হাতে ধরা দেবেন সানি দেওল। ২০২৩ সালে বক্স অফিসে ‘গাদ্দার ২’ সিনেমার মাধ্যমে সানি তাঁর চলচ্চিত্র জীবনকে নতুন করে আলোচনায় নিয়ে এসেছেন। প্রায় ৭০০ কোটি টাকার ব্যবসা করা ছবি উপহার দিয়ে রাজনীতির ময়দান থেকে বর্তমানে অভিনয়েই মনোনিবেশ করেছেন তিনি। এবার ‘জাত’ সিনেমায় রবিনহুড রূপে ধরা দিলেন সানি দেওল।

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সিনেমার ট্রেলার। এতে দেখা গেল সানির সঙ্গে সম্মুখ সমরে রণদীপ হুদা। ‘জাট’ সিনেমায় খলনায়ক রণতুঙ্গার চরিত্রে দেখা যাবে রণদীপকে; যার অত্যাচারে গ্রামবাসী অতিষ্ঠ। বলা ভালো, গ্রামকে শ্মশানে পরিণত করেছে সে। ঠিক এমনই এক পরিস্থিতিতে রবিনহুডের মতো সেই গ্রামে হাজির হন সানি। যেমন অ্যাকশন, তেমনই সংলাপ। ‘জাত’ ট্রেলারে স্পষ্ট, বলিউডের ‘গাদ্দার ২’-এর থেকেও দক্ষিণী পরিচালকের হাত ধরে দুরন্ত অ্যাকশন ছবি উপহার দিতে চলেছেন সানি। এখন পর্যন্ত একাধিক বলিউড তারকা দক্ষিণমুখো হয়েছেন কিংবা দক্ষিণী পরিচালকের হাত ধরে ব্লকবাস্টার প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন। এবার দেখার পালা, সানি কী করেন। এর আগে একাধিক গণমাধ্যমে সানির বাবা বরেণ্য অভিনেতা ধর্মেন্দ্র আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘বলিউড দেওলদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দেয়নি।’ ফলে ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে সানি দেওল বললেন, ‘বলিউডকে মনে করিয়ে দিলেন, শেষমেশ সিনেমায় আমাদের কাজের কদর করছে। এটিই সময়। অনেক বছর অপেক্ষা করেছি। আমাদের পরিবারের আসলে স্বীকৃতি পেতে বরাবরই দেরি হয়। ওই কথায় বলে না, কর্ম করে যাও, ফলের আশা না করে। লড়ে যাও, থেমো না।’ 

এবার আর টিউবঅয়েল কিংবা হাতুড়ি নয়, সানি দেওলের ‘ঢায় কিলো কা হাতে’ এবার দেখা গেল রাক্ষুসে এক লোহার পাখা। অবশ্য যেটি তাঁর শত্রুদমনের অস্ত্র হিসেবে দেখা যাবে পর্দায়। ৬৭ বছরের সানি দেওলের এই ছবিও যে ভরপুর অ্যাকশন-প্যাকড সিনেমা হতে চলেছে, তা প্রথম দেখায় বেশ আন্দাজ করা গেল। ‘জাত’ পরিচালনা করেছেন তেলেগু পরিচালক গোপীচাঁদ মালিনেনি এবং প্রযোজনায় মাইথেরি মুভি মেকারস। সানি দেওল, রণদীপ হুডা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বিনীত কুমার সিং, সায়ামি খের, রেজিনা কাসান্দ্রার মতো অভিনেতারা। 

ছবির ট্রেলার দেখে দর্শক যতই খুশি হোক না কেন, ছবির নাম নিয়ে ইতোমধ্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সেই বিতর্ককে আরও উসকে দিয়েছে কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া ছবির ‘ও রাম শ্রীরাম’ গানটি। এবার সব বিতর্কের অবসান ঘটাতে সিনেমাটি নিয়ে বলেছেন দুই অভিনেতা সানি দেওল ও রণদীপ হুডা। ছবির প্রচারে গিয়ে সানি বলেছেন, ‘জাত কোনো ধর্মীয় উস্কানিমূলক ছবি নয়, দয়া করে এর গায়ে ধর্মীয় তকমা সেঁটে দেবেন না। ছবিটি সম্পূর্ণ বিনোদনমূলক। আমরা চাই দর্শকরা ছবিটা উপভোগ করুক, এর বেশি কিছু নয়। আমরা সব ধর্মকেই ভালোবাসি। একজন অভিনেতা হিসেবে ছবির মাধ্যমে গোটা বিশ্বের সামনে নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করি আমরা। তাই দেশের সম্মান খর্ব হবে এমন কোনো বিষয় আমাদের ছবিতে দেখাতে চাই না। ছবির মাধ্যমে আমরা কোনো ধর্মীয় বার্তা দিতে চাই না।’ তাঁর কথার সূত্র ধরে ছবির আরেক অভিনেতা রণদীপ হুডা বলেন, ‘‘আপনারা সবাই ছবির ‘জাত’ নাম নিয়ে কৌতূহলী। ছবিতে জাত আসলে কী, একটা সম্প্রদায় নাকি এজেন্ট নাকি কোনো ব্যক্তি, সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে ছবিতে এবং সেই কারণে আপনাদের ছবিটা দেখার অনুরোধ করব।’’ আগামীকাল সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে।  

১৯৮৩ সালে ‘বেতাব’ ছবি দিয়ে বলিউডে পা রেখেছিলেন সানি দেওল। এরপর ২০০০ সালে তাঁর ‘গাদ্দার,’ বক্স অফিসে ঝড় তুলে দিয়েছিল। তবে ৪০ বছরের সিনেমাযাত্রায় এর আগে ‘গাদ্দার ২’ সিনেমার মতো বড় হিট দিতে পারেননি সানি দেওল। তারপর থেকে নিজের ‘দাম বাড়িয়েছেন’ এই অভিনেতা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ‘গাদ্দার ২’ সানি দেওলের ক্যারিয়ারে মাইলস্টোন হওয়ার পর ‘জাত’ কেমন ব্যবসা করে, নজর থাকবে সেদিকে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রংপুরে বাঁধ নিয়ে শঙ্কিত মানুষ

‘সামনোত তো বষ্যা আসি গেইল। সবায় খালি কতায় কয়, এলাও বান্দের কোনো কাম (বাঁধের কাজ) হইল না। কায় জানে বাহে, এইবার বান্দ ভাঙলে হামারও বুজি এটেকোনা থাকা হবার নয়।’ 
আসন্ন বর্ষায় পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার শঙ্কায় এমন অভিব্যক্তি রংপুরের গঙ্গাচড়ার ধামুর এলাকায় তিস্তা প্রতিরক্ষা বাঁধের বাসিন্দা শহর বানুর। কয়েক বছর ধরে তিস্তার পানি কখনও কমে, আবার কখনও বেড়ে যায়। পানিপ্রবাহের এ অস্বাভাবিকতায় প্রতিরক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর ওপর রয়েছে দখল-দূষণ। এসব কারণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। আগামী বর্ষা ঘিরে নাজুক এ বাঁধ নিয়ে প্রচণ্ড উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তিস্তাপারের মানুষ। তারা দ্রুত বাঁধটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। 
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৪ সালে নীলফামারীর জলঢাকা থেকে রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা রেল সেতু পর্যন্ত ৪৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তিস্তা প্রতিরক্ষা ডানতীর বাঁধ নির্মাণ করা হয়। তিস্তা রেল সেতু থেকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পর্যন্ত আরও ২১ কিলোমিটার রয়েছে এই বাঁধের অংশ। ২০১৯ সালে সর্বশেষ ১২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। বামতীর বাঁধ রয়েছে তিস্তা ব্যারাজ থেকে লালমনিরহাট হয়ে কুড়িগ্রামের উলিপুর পর্যন্ত মোট ১২০ কিলোমিটার। ডানতীর বাঁধের নীলফামারীর জলঢাকার শৌলমারী এলাকায় দুই কিলোমিটার, আলসিয়াপাড়ায় এক কিলোমিটার ও রংপুরের গঙ্গাচড়ার বেশ কয়েকটি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে বলেও সূত্র জানায়।
সরেজমিন দেখা যায়, রংপুরের গঙ্গাচড়ার মর্নেয়া থেকে নোহালী পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার তিস্তা প্রতিরক্ষা ডানতীর বাঁধের ওপর বসতি গেড়েছে নদীভাঙনের শিকার ১০ হাজার পরিবার। বসতির ভারে তিস্তা প্রতিরক্ষা বাঁধ হুমকিতে পড়েছে। বাঁধের বেশির ভাগ স্থান কেটে সমতল করে স্থানীয় দোকানপাট গড়ে তোলা হয়েছে। দীর্ঘদিন অরক্ষিত থাকায় জলঢাকার শৌলমারী ও গঙ্গাচড়ার নোহালী সীমান্ত থেকে রংপুরের কাউনিয়ার নিচপাড়া পর্যন্ত দখলদারদের কবলে চলে যায়। হুমকির মুখে পড়ে ডানতীরের বাঁধ। পানি উন্নয়ন বোর্ড বহুবার উচ্ছেদ নোটিশ দিয়েও দখলদারদের উচ্ছেদ করতে পারেনি। বাঁধটি অবৈধ দখলদারদের পাশাপাশি ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাঁধের প্রস্থ ১৪ ফুট থাকার কথা থাকলেও এখন অনেক স্থানেই তা নেই। 
কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা এলাকার নওশের আলী বলেন, গত দুই বছরের বন্যায় বিভিন্ন উপবাঁধসহ বিনবিনা এলাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁধের বিশাল এলাকা বিলীন হয়ে গেলেও তা সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো পদক্ষেপ নেই। এসব কারণে তিস্তা প্রতিরক্ষা ডানতীর বাঁধের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
গঙ্গাচড়া সদরের গান্নারপার এলাকার গোলাম মওলা বলেন, পানি বাড়া-কমার কারণে বাঁধে পানির ধাক্কা লেগে বিভিন্ন স্থানে মাটি সরে গেছে। বর্ষা শুরুর আগে বাঁধ মেরামত করা না গেলে বিশাল এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। 
একই এলাকার মনছুর আলী বলেন, প্রতিবছরই এখানকার ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যায় তিস্তা। গোটা মৌসুমজুড়ে উৎকণ্ঠায় থাকতে হয়। ঠিকানাহীন পরিবারগুলো প্রতিবছর বাঁধ কেটে বস্তি গড়ে তুলছে। এতে বাঁধ নাজুক হয়ে পড়েছে। 
লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, ‘খুব দ্রুত তিস্তা প্রতিরক্ষা বাঁধ সংস্কার করা প্রয়োজন। না হলে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করলে গোটা রংপুর শহর তলিয়ে যাবে।’
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালের পর বাঁধের সংস্কার কাজ করা হয়নি। ওই সময় বাঁধে বসবাসকারীদের উচ্ছেদও করা হয়েছিল। মাঝখানে আবারও বাঁধে বসতি গড়ে উঠেছে। এতে বাঁধের বেশকিছু এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সংস্কার করা হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অসমাপ্ত আধা কিলোমিটারে দুর্ভোগ
  • জীবন বদলে দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংকের উদ্যোগ
  • মেসি না রোনালদো, কার ভক্ত ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ?
  • রোনালদো না মেসি, কার ভক্ত ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ?
  • আত্মার অংশ
  • রংপুরে বাঁধ নিয়ে শঙ্কিত মানুষ