দিনাজপুর এলজিইডি ভবনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে, আটকে পড়া ২ কর্মকর্তাকে উদ্ধার
Published: 10th, April 2025 GMT
দিনাজপুর শহরের কসবা এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। আজ বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডের প্রায় এক ঘণ্টা পর আজ সকাল আনুমানিক ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা। এ সময় চতুর্থ তলার অতিথি কক্ষে আটকে পড়া দুই কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) যুগ্ম পরিচালক রবিউল ইসলাম ও দিনাজপুর এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মুন্নাফ হোসেন। তাঁদের মধ্যে রবিউল ইসলাম সামান্য আহত হয়ে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভবনের দ্বিতীয় তলায় বৈদ্যুতিক ডিবি বোর্ড থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। এ বিষয়ে দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘ভোর পাঁচটা পাঁচ মিনিটে আমরা অগ্নিকাণ্ডের খবর পাই। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করেছে। চতুর্থ তলার দুই প্রান্তের দুটি কক্ষে দুজন আটকে পড়েন। তাঁদের একজনকে জানালার গ্রিল কেটে উদ্ধারের পর দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অন্যজনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।’
দিনাজপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, ভবনের দ্বিতীয় তলায় অগ্নিকাণ্ডে অফিসের কিছু ফাইলপত্র পুড়ে গেছে। চতুর্থ তলার আবাসিক কক্ষে দুজন অতিথি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন সামান্য আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।
মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।