চাঁদপুরে সদর উপজেলায় পুকুরে ডুবে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টায় উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুরে এ ঘটনা ঘটে।   

নিহতরা হলেন, চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামের লোকমান হোসেনের স্ত্রী খাদিজা আক্তার (২৮) ও তাদের ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক (৭)।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

বাহার মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। 

খাদিজার স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুর ১২টায় মা খাদিজা এবং ছেলে আবু বকর বাড়িতে তাদের পুকুরে গোসল করতে নামে। এর মধ্যে ছেলে সাঁতার কেটে পুকুরের মাঝখানে গিয়ে ডুবে যায়, তার মা তাকে উদ্ধার করতে গেলে তিনিও ডুবে যান। পরে বাড়ির লোকজন তাদের চাঁদপুর সদর হাসপাতাল নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন। 

চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মোহাম্মদ আসিবুল আহসান চৌধুরী বলেন, তাদের হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।

শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।

মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ