এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৫–এর ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি
Published: 10th, April 2025 GMT
নতুন সূচি অনুযায়ী, ১৩ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত জরিমানা দিয়ে শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ করতে পারবেন। আজ বুধবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ফরম পূরণ–সংক্রান্ত নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোনালী সেবার মাধ্যমে ২২ এপ্রিলের মধ্যে ফি পরিশোধ করতে হবে। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ শেষ করবে। প্রতিষ্ঠানপ্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী ২৬ জুন থেকে শুরু হবে। এ পরীক্ষা শেষ হবে ১০ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ইতিমধ্যে এ পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশী শিক্ষকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেলোশিপ টিইএ, করুন আবেদনআজ শুরু এসএসসি পরীক্ষা, এক লাখ পরীক্ষার্থী কমেছে, মানতে হবে ১৪ নির্দেশনাসময়সূচিতে পরীক্ষার্থীদের প্রতি কিছু নির্দেশা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল-রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। ব্যবহারিক বিষয়-সংবলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত চলবে। এমসিকিউ ও সিকিউ দুই অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
আরও পড়ুনএসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা উপলক্ষে যে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করল ডিএমপি১৯ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র ক ষ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
বিসিএসের সময়সূচি পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই পিএসসির
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি জানিয়েছে, পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামী ৮ মে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা হবে। সময়সূচি পরিবর্তনের পরিকল্পনা আপাতত নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্দোলনকারী প্রার্থীদের দাবিকে গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করেছে পিএসসি। তবে, বর্তমানে কমিশন ৪৪, ৪৫, ৪৬ ও ৪৭তম বিসিএসসহ নন-ক্যাডার নিয়োগের বিভিন্ন জট নিরসনে একটি সমন্বিত পরিকল্পনার মধ্যে কাজ করছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সময়মতো পরীক্ষা নেওয়াই এ পরিকল্পনার অন্যতম উদ্দেশ্য।
পিএসসি জানায়, বিসিএসসহ বড় বড় পরীক্ষার আয়োজন বড় চ্যালেঞ্জ—বিশেষ করে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র ছাপানো এবং পর্যাপ্ত পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারণ। কমিশনের নিজস্ব অবকাঠামো না থাকায় এসব কার্যক্রমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিতে হয়। পরীক্ষার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম, পাবলিক পরীক্ষা ও ছুটির বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়ে থাকে, যা সময়সূচি পরিবর্তনকে আরো জটিল করে তোলে।
তবে, পিএসসি জানিয়েছে, যদি কোনো প্রার্থীর ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা ও ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা একই দিনে পড়ে, সে ক্ষেত্রে মৌখিক পরীক্ষার জন্য বিকল্প তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে পিএসসিকে যথাযথভাবে অবহিত করতে হবে।
ঢাকা/হাসান/রফিক