রাজশাহীতে ইউনিয়ন পরিষদের গুদাম থেকে টিসিবির পণ্য চুরি
Published: 10th, April 2025 GMT
রাজশাহীর বাঘায় টিসিবির একজন ডিলারের পণ্য চুরি হয়েছে। উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণের জন্য ওই পণ্য ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে রাখা ছিল। গতকাল বুধবার সকালে তা বিতরণ করার কথা ছিল।
ওই ইউনিয়নের টিসিবির ডিলার মেসার্স বিপ্লব এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবু তালেব সরকার মৌখিকভাবে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছেন।
ডিলারের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের মোট উপকারভোগী ১ হাজার ৩১১ জন। ইউনিয়নে বরাদ্দ পণ্য গুদামে রাখা ছিল। ঈদের আগে ৮৬২ জনকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। গতকাল বাকি ৪৫৯ জনকে টিসিবির পণ্য দেওয়ার নির্ধারিত দিন ছিল। গুদামে ৪৫৯ কেজি চিনি ছিল। সব চিনিই চুরি হয়ে গেছে। ৯১৮ কেজি ডালের মধ্যে ৪২৫ কেজি ও ৪৫৯ বোতল সয়াবিন তেলের মধ্যে ১৮৯ বোতল গেছে।
গ্রাম পুলিশের সদস্য জামাল উদ্দিন (৫৩) বলেন, ‘আমরা ভালোভাবে ইউনিয়ন পরিষদে পালাক্রমে পাহারার কাজ করে থাকি। কখন, কীভাবে গুদামে চুরি হয়েছে, তা বুঝতে পারিনি। গতকাল গুদাম খোলার পরে চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার রাতের কোনো একটা সময় দুষ্কৃতকারীরা জানালা ভেঙে গুদামে ঢুকেছেন। এরপর ভেতর থেকে বন্ধ করা একটি দরজা খুলে মাল বের করে নিয়ে গেছে।’
এদিকে গতকাল সকালে উপকারভোগীরা পণ্য নিতে আসেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা আগে এসেছিলেন, তাঁদের অবশিষ্ট পণ্য থেকে বিতরণ করা হয়। তবে কেউই চিনি পাননি। দূর থেকে এসে উপকারভোগীদের অনেকেই খালি হাতে ফিরে গেছেন। এ নিয়ে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ডিলার আবু তালেব সরকার বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, কোনো একটি মহল আমাকে ফাঁসাতে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। প্রশাসনের কাছে আমার দাবি, তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। তাহলেই মূল তথ্য বেরিয়ে আসবে।’
ইউএনও শাম্মী আক্তার বলেন, টিসিবির পণ্য চুরি হওয়ার ঘটনায় মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন। আইনগতভাবে টিসিবির পণ্য উত্তোলনের পর ডিলারের হেফাজতে রাখার দায়িত্ব।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ ফ ম আছাদুজ্জামান বলেন, বাউসা ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য চুরির খবর শুনেছেন। সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে তিনি রাজশাহীতে মিটিংয়ে গিয়েছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।
মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।