Samakal:
2025-04-12@18:07:21 GMT

‘রাইস কুকারে’ সেদ্ধ রিয়াল!

Published: 10th, April 2025 GMT

‘রাইস কুকারে’ সেদ্ধ রিয়াল!

ইউটিউবের একটি আবছা ভিডিওতে রবার্তো কার্লোসের ফুটবল বিশ্বকে হতবাক করা সেই ফ্রি কিকটা এখনও দেখা যায়। ১৯৯৭ সালের ৩ জুন, লিলেতে ফ্রান্সের বিপক্ষে নেওয়া ব্রাজিলের সেই কিংবদন্তির বাঁ পায়ে নেওয়া বাঁকানো ফ্রি কিকটির ভিডিও ফুটেজ নিয়ে পদার্থবিজ্ঞানীরা কম গবেষণা করেননি। বিখ্যাত চার ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী গুলিয়াম ডুপেক্স, লা জোফ, ডেভিড কোরে আর ক্রিস্টোফে ক্লানেক প্রায় দশ বছর ‘অ্যারোডাইনামিকস’ তত্ত্বের সঙ্গে সেই গোলটির বিশ্লেষণ করে ২০১০ সালে তাদের জার্নালে কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেন। শেষে এসে একটি বাক্যে গোলটিকে ‘ফুটবল মিরাকল’ বলে লেখা শেষ করেন। 

বহু বছর পর কার্লোসকে গ্যালারিতে সাক্ষী রেখে তাঁর সেই ফ্রি কিককেই মনে করিয়ে দিলেন ডেকলান রাইস। মঙ্গলবার রাতে উত্তর লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ৩-০ গোলে জিতে ইংলিশ ক্লাব আর্সেনাল। আরও স্পষ্ট করে বললে, আর্সেনালের ইংলিশ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রাইসের দুটি ফ্রি কিকের কাছে দুর্দান্তভাবে আহত হয়েছেন এমবাপ্পেরা। যেন আর্সেনালের ‘রাইস কুকারে’ সেদ্ধ রিয়াল! সেমিতে যেতে হলে তাদের এখন ১৬ এপ্রিল নিজেদের মাঠে ৪-০ গোলের ব্যবধানে হারাতে হবে গানারদের। ৩-০ ব্যবধানে হলে পরীক্ষা দিতে হবে টাইব্রেকের। যদিও লন্ডন ছাড়ার আগে মাদ্রিদের লোকজন বলে গেছেন, ‘বার্নাব্যুতে ৯০ মিনিট লম্বা সময়, মাদ্রিদ অসম্ভবকে সম্ভব করতে জানে।’

রাইস যেভাবে দুটি স্পট কিক থেকে প্রায় ৯০ ডিগ্রি বলের গতিপথ বাঁকিয়ে গোল করলেন, তার রহস্য আবিষ্কার করতে রিয়াল কোচ আনচেলত্তিকে হয়তো এখন কমপ্লুটেন্স ইউনিভার্সি অব মাদ্রিদের ফিজিক্সের অধ্যাপকদের দ্বারস্থ হতে হবে! আপাতত রাইসের দুটি ফ্রি কিকের ব্যাপারে চ্যাটজিপিটি জানাচ্ছে, সে তাঁর গায়ের শক্তি দিয়ে বলটির গতিপথ ঘোরানোর চেষ্টা করেছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে ফ্রি কিক থেকে জোড়া গোল ফুটবলারের সংখ্যা নেহাত কম নেই। রিভালদো, রোনালদো, নেইমার, হাকিমিরাও এমন কীর্তি গড়েছেন। রাইসের মতো নকআউট পর্বের স্নায়ুর লড়াইয়ে কেউ তা করেননি। তাছাড়া যে কিনা ৩৩৮ ম্যাচ পর ফ্রি কিক নেন, তাও আবার সাকার কাছ থেকে অনুমতি চেয়ে নেন এদিন। ‘পোস্টে তিনজন রেখে রিভার্স ক্রসের ভাবনা ছিল আমাদের। তবে বুকায়ো (সাকা) বলল, তোমার যদি মনে হয় সরাসরি কিক নেওয়ার, তাহলে সেটিই করবে। এরপর বল যখন জালে, তখন সেটি ছিল জাদুকরি মুহূর্ত। এখনও ঠিক উপলব্ধি করতে পারছি না আমি ঠিক কী করলাম।’ 

ভিনি-এমবাপ্পেদের পারফরম্যান্স নিয়ে না বলে এদিনের ম্যাচে শুধু রাইসের দুটি ফ্রি কিক নিয়ে বিজ্ঞান চর্চা করা যায়। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে ফ্রি কিক নেন রাইস। ডান পায়ে নেওয়া তাঁর বুলেট গতির শটটি প্রায় ৯০ ডিগ্রি ঘুরে বারপোস্টের একেবারে কোনাঘেঁষে বল চলে যায় জালে। রিয়াল গোলরক্ষক কর্তুয়া ঝাঁপিয়ে পড়লেও বল ঠেকানোর মতো বিন্দুমাত্র সুযোগ ছিল না। স্টান্স নেওয়ার ধরন, গতি এবং নিখুঁত নিশানার সবকিছুতে যেন নস্টালজিক সেই ডেভিড বেকহাম। ৭০ মিনিট পর দ্বিতীয় গোলটিও একই ধরনের। সেটির দূরত্ব কিছুটা কম ২৫ গজের মতো। এবারে সুইংয়ের তুলনায় গতি আরও বেশি। ৭৫ মিনিটে বিধ্বস্ত রিয়ালের জালে মেরিনোও একটি গোল দিয়ে দেন। 

বছর পাঁচেক আগে ক্যাম্প ন্যুতে এমনই এক রংধনু কিক নিয়ে লিভারপুলকে হারিয়েছিলেন বার্সার মেসি। এবার রাইসের মতো ‘খ্যাতির দাবি’ নেই যার, তিনি যখন অপূর্ব রহস্যময় গোল করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তাঁর এই গোল নিয়েও ভবিষ্যতে বিজ্ঞান চর্চা হতে পারে। সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুইস ফার্নান্দো ফন্তানানি তাঁর ‘ফিজিক্স অব লাইফ রিভিউ’ জার্নালে রোনালদিনহোর সেই ফ্রি কিকে ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, কিক নেওয়ার সময় পায়ের অ্যাঙ্গেল, গতি, পোস্ট থেকে দূরত্ব এবং সেই সময়কার বাতাসের গতিবেগ মিলিয়ে এমন রংধনু গোল হয়ে থাকে। হয়তো এসব মিলিয়ে সৌন্দর্যের নিজস্বতা দিয়ে এদিন ফ্রি কিকের ভাস্বর হয়ে থাকলেন আর্সেনালের ডেকলান রাইস।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর স ন ল আর স ন ল

এছাড়াও পড়ুন:

বৈশাখ ঘিরে সরগরম বাণিজ্যপাড়া

বৈশাখকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। সর্বজনীন এই উৎসবকে রাঙাতে নতুন বিনিয়োগ এসেছে চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক মার্কেটে। বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতিকে ধারণ করে পোশাক বিক্রি করছেন দোকানিরা। অন্যদিকে বৈশাখকে উৎসবে পরিণত করতে নবরূপে সাজছে ডিসি হিল ও সিআরবির শিরীষতলা। সেখানে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ডিসি হিলে গতবার ৪২টি সংগঠন অংশ নিলেও এবার নিচ্ছে ৫৩টি সংগঠন। সিআরবির সিরীষতলায়ও এবার বেড়েছে অংশগ্রহণকারী সংগঠনের সংখ্যা। গতবার ৩৯টি সংগঠন অংশ নিলেও এবার সেখানে দেখা যাবে ৫৬টি সংগঠনকে।
প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাদশা মিয়া সড়কে থাকা চবির চারুকলা ইনস্টিটিউটও। তারা বের করবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। চারুকলার আঙিনাজুড়ে তাই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে শিক্ষার্থীদের নানা রঙের উপকরণ। এই আঙিনা মুখর করে রেখেছেন এখন শিক্ষার্থীরা।  কাঠের ফ্রেমে কেউ বসাচ্ছেন মুখোশ। কেউবা বাঘের অবয়ব ফুটিয়ে তুলছেন রংতুলিতে। পহেলা বৈশাখের সকালে চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে বের হবে শোভাযাত্রা। আর চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে এবার বের হবে আনন্দ শোভাযাত্রা। প্রতিবছর এটি মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে বের হলেও এবার পরিবর্তন করা হয়েছে এই নাম।
চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আয়াজ মাহমুদ বলেন, সকাল ৮টায় শিল্পকলা একাডেমি থেকে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা বের হবে। এখানে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসিসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। আগে এ শোভাযাত্রার নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা হলেও সরকারের সিদ্ধান্তে এবার আনন্দ শোভাযাত্রা নামকরণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের সিআরবি নববর্ষ উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সংস্কৃতিকর্মী ফারুক তাহের বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা একটি ঐতিহ্য। এটার নাম পরিবর্তন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ইউনেস্কো স্বীকৃত একটি ঐতিহ্যের নাম পরিবর্তন না করাই কাঙ্ক্ষিত ছিল। তার পর মঙ্গল শোভাযাত্রা হোক আর আনন্দ শোভাযাত্রা হোক–মানুষ এতে স্বতঃফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন– এটি ভালো দিক। চট্টগ্রামে আমরা দুই দিনের বর্ষবরণ ও বিদায়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করছি। সিআরবিতে গত বছরের তুলনায় এবার সাংস্কৃতিক সংগঠনের আগ্রহ বেড়েছে। গত বছর ৩৯টি সংগঠনের পরিবেশনা থাকলেও এবার তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৬টি সংগঠন পরিবেশনা উপস্থাপন করবে।
ডিসি হিলে নববর্ষ উদযাপন পরিষদের অন্যতম সংগঠক প্রণব চৌধুরী বলেন, ডিসি হিলে আয়োজন এই প্রথমবারের মতো সংক্ষিপ্তভাবে হতে যাচ্ছে। এটি আমাদের সংস্কৃতিকর্মীদের মনে পীড়া দিচ্ছে। তবুও সাধারণ মানুষকে সুন্দর আয়োজন উপহার দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা গতবার ৪২টি থাকলেও এবারে তা বেড়ে ৫৩টি হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৈশাখ ঘিরে সরগরম মার্কেট
ঈদের পর এসে গেছে বৈশাখ। তাই ঈদের ছুটি শেষ হতে না হতে ফের সরগরম হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের মার্কেটগুলো। বৈশাখকে সামনে রেখে আকর্ষণীয় পোশাকের সমাহার ঘটিয়েছেন বিভিন্ন বিপণি কেন্দ্রের ব্যবসায়ীরা। নগরীর নিউমার্কেট, মিমি সুপারমার্কেট, বালি আর্কেড, চক সুপারমার্কেট, স্বজন সুপারমার্কেট, সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেট, লাকি প্লাজা, আখতারুজ্জামান সেন্টার, ইউনুস্কো সেন্টার, আফমি প্লাজা, সেন্ট্রাল প্লাজা, বে-শপিং সেন্টার, ষোলশহর শপিং কমপ্লেক্সে সহস্রাধিক দোকান এনেছে অত্যাধুনিক পোশাক। বাংলাদেশের বুটিকের পাশাপাশি পাকিস্তান, ভারতীয় ও আফগানিস্তানের পোশাক তোলা হয়েছে দোকানে। পাঞ্জাবিতে বিভিন্ন ধরনের নকশা, লেস ও সিক্যুয়েন্সের কাজ করেছেন ডিজাইনাররা।
চট্টগ্রাম ডিজাইনার্স ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও রওশন বুটিক হাউসের মালিক রওশন আরা চৌধুরী বলেন, বছরজুড়ে আমাদের লক্ষ্য থাকে পহেলা বৈশাখ আর ঈদ। এ দুটি কাছাকাছি সময়ে হওয়ায় পরিকল্পনাটাও সেভাবে সাজান ডিজাইনাররা। বাড়াই তারা বিনিয়োগও। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ফ্যাশন হাউস শৈল্পিকের প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম ইলিয়াস বলেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে মাথায় রেখে বৈশাখের পোশাকে ডিজাইন করেছি আমরা। আমাদের ৫৪টি শোরুম রয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। ঈদ ও বৈশাখকে ঘিরে এগুলোতে প্রায় ১৫ কোটি টাকা নতুন বিনিয়োগ করেছি আমরা।’ 
সতর্ক আছে প্রশাসন
বাংলা বর্ষবরণ উদযাপনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি নেই বলে জানিয়েছে সিএমপি। সম্প্রতি নগরের দামপাড়া সিএমপি সদরদপ্তরে নিরাপত্তা সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়ার কথা জানানো হয়। এতে পুলিশের নিয়মিত সদস্যের পাশাপাশি বিশেষায়িত প্রশিক্ষিত ইউনিট সোয়াট, বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড, ডিবিসহ বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। অনুষ্ঠান ঘিরে সতর্কতা ও  নিরাপত্তা পরিকল্পনা তুলে ধরেন সিএমপির উপকমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্‌) মো. রইছ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ঘিরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।’ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে কোনো নিরাপত্তা হুমকি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই। তবে বিভিন্ন ধর্মীয় বক্তা যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন, সেগুলো আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।’
নগরের সিআরবি শিরীষতলায় বর্ষ বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করে নববর্ষ উদযাপন পরিষদ। এবারও তারা দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। পরিষদের উৎসব কমিটির আহবায়ক হাসান মারুফ রুমি সমকালকে বলেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ে সমন্বয় বৈঠকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। আমরা জাঁকজমকপূর্ণভাবে বর্ষ বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করছি।’
নিরাপত্তা সমন্বয় সভায় সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আসফিকুজ্জামান আকতার, উপপুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া ও উপপুলিশ কমিশনার (ডিবি-পশ্চিম) মো. মাহবুব আলম খান এবং সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ, নববর্ষ উদযাপন পরিষদ, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, ডিজিএফআই, র‍্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ওয়াসাসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে মঙ্গল শব্দ বাদ দিয়ে আনন্দ শব্দ ব্যবহারের দাবি করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। গত বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা এ দাবি জানান। এতে মঙ্গল শোভাযাত্রা হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর ধর্মাচার বলে উল্লেখ করেন হেফাজত আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমান। এর পর মঙ্গল শব্দ বাদ দিয়ে এবার আনন্দ শোভাযাত্রা করার সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্টরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ