আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
Published: 10th, April 2025 GMT
আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার ব্যাংকটিকে চিঠি দিয়ে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আদেশে বলা হয়েছে, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা পর্ষদের দুর্বলতার কারণে মূলধন ও প্রভিশন ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ব্যাংকের শ্রেণিকৃত বিনিয়োগ ও পুঞ্জীভূত ক্ষতি বিপুল। ব্যবস্থাপনায় অস্থিরতা ও তারল্যসংকট তীব্র হয়েছে। আর্থিক সংকটের পাশাপাশি পর্ষদের নীতিনির্ধারণে দুর্বলতার কারণে ব্যাংকিং সুশাসন বিঘ্নিত হচ্ছে। পর্ষদ আমানতকারীদের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এসব কারণে আমানতকারীদের স্বার্থ ও জনকল্যাণ নিশ্চিত করতে ব্যাংক কোম্পানি আইনের অধীন বিদ্যমান পরিচালনা পর্ষদ বাতিলের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের আরেকটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষায় এবং ব্যাংকিং সুশাসন নিশ্চিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মজিবুর রহমানকে পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ করা হলো।
আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে। তখন এটি আল-বারাকা ব্যাংক নামে পরিচালিত হতো। ১৯৯৪ সালে এটি ‘সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকে’ পরিণত হয়। তখন ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ত্রুটিযুক্ত ব্যাংকগুলোতে পর্যবেক্ষক নিয়োগের প্রথা চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর ২০০৪ সালে এটি ওরিয়েন্টাল ব্যাংক নামে বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে।
ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়ার পর ২০০৬ সালের জুন মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে দেয়। ওরিয়েন্টাল ব্যাংক থেকে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৫ ও ২০০৬ সালে ৩৪টি মামলা হয়। তখন বাংলাদেশ ব্যাংক এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং আমানতকারীদের অর্থ সুরক্ষায় ব্যাংকের প্রশাসক হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন নির্বাহী পরিচালককে নিয়োগ দেওয়া হয়।
২০০৭ সালের আগস্টে ব্যাংকটির অধিকাংশ শেয়ার বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর ২০০৮ সালে ব্যাংকটির নাম পরিবর্তন করে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক করা হয়। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নিলেও মামলা ও পুরোনো খেলাপি ঋণের কারণে ব্যাংকটি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেই পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্যালেসকে ধসিয়ে লিগে সেরা চারে ম্যানসিটি
মৌসুমে সব কিছু হারিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির চোখ এখন আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। সেজন্য লিগ টেবিলে সেরা চারে থাকা লক্ষ্য তাদের। যদিও পাঁচে থাকলেও চলবে। ওই লক্ষ্যে নেমে লিগের ৩২তম রাউন্ডে ঘরের মাঠে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সিটিজেনরা।
লিগ টেবিলে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে সেরা চারে ঢুকেছে পেপ গার্দিওলার দল। অবশ্য সমান ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে থাকা চেলসির চেয়ে এক ও ছয়ে থাকা নিউক্যাসলের চেয়ে দুই ম্যাচ বেশি খেলেছে ম্যানসিটি।
ঘরের মাঠ ইতিহাদে শুরুতে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যানসিটি। ম্যাচের ৮ মিনিটে এজে ও ২১ মিনিটে রিচার্ড ক্রিস্টাল প্যালেসকে এগিয়ে নেন। এরপর মরণ কামড় দিয়েছে গার্দিওলার দল। ৩৩ মিনিটে সরাসরি ফ্রি কিকে গোল করেন ডি ব্রুইনি। ৩৬ মিনিটে ইলকে গুন্ডোয়ানের পাসে গোল করে দলকে সমতায় ফেরেন নতুন মিশরীয় রাজা ওমর মারমুশ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লিড নেয় ম্যানসিটি। ৪৭ মিনিটে দলকে ৩-২ গোলে এগিয়ে নেন মাতেও কোভাসিচ। এরপর ৫৬ মিনিটে সিটিজেনদের পক্ষে চতুর্থ গোল করেন ম্যাকএটি। তার গোলে সহায়তা দেন দলটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদেরসন। প্রিমিয়ার লিগে গোলরক্ষক হিসেবে সপ্তম অ্যাসিস্ট নিয়ে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। শেষ গোলটি আসে ৭৯ মিনিটে ও’রেলির পা থেকে।
এ নিয়ে চলতি মৌসুমে ম্যানসিটি ৩২ ম্যাচে ১৬টিতে জয় পেয়েছে। হেরেছে ৯টি। বাকি ৭ ম্যাচে ড্র করেছে তারা। ম্যানসিটি তিনে থাকা নটিংহাম ফরেস্ট, পাঁচে থাকা চেলসি, ছয়ে থাকা নিউক্যাসল ও সাতে থাকা অ্যাস্টন ভিলার চেয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে আছে। যেটা পেপ গার্দিওলার দলের জন্য প্লাস পয়েন্ট।