বব ডিলানের সর্বকালের সেরা পাঁচ গান
Published: 10th, April 2025 GMT
কিংবদন্তি মার্কিন সংগীতশিল্পী বব ডিলানের সর্বকালের সেরা গানের তালিকা প্রকাশ করেছে সংগীতবিষয়ক সংবাদমাধ্যম সিঙ্গারসরুম। তালিকার শীর্ষে রয়েছে ‘লাইক আ রোলিং স্টোন’, সঙ্গে রয়েছে ‘ব্লোইন ইন দ্য উইন্ড’, ‘টাইমস দে আর-আ-চেঞ্জিং’-এর মতো গান।
১. ‘লাইক আ রোলিং স্টোন’
১৯৬৫ সালের ২০ জুলাই বব ডিলানের গাওয়া ‘লাইক আ রোলিং স্টোন’ গানটি মুক্তি পায়। এটি বব ডিলানের পছন্দের একটি গান। গানটি তিনি সব সময় পছন্দের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রাখতেন। এটি ১৯৬৫ সালে রেকর্ড করার পর ডিলান বলেছিলেন, ‘আমি এটি লিখেছি। আমি ব্যর্থ হইনি। এটা একদমই সোজা কথায় লেখা।’ সে সময় ডিলানের বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর।
২.
‘ব্লোইন ইন দ্য উইন্ড’
১৯৬৩ সালে প্রকাশিত হয়েছে গানটি। এটি ষাটের দশকে যুক্তরাষ্ট্রে সিভিল রাইটস আন্দোলনে জাতীয় সংগীতে পরিণত হয়েছিল। ‘ব্লোইন ইন দ্য উইন্ড’ গানটি অবলম্বনে কবীর সুমন লিখেছেন, ‘কতটা পথ পেরোলে তবে পথিক বলা যায়?’
৩. ‘টাইমস দে আর-আ-চেঞ্জিং’
‘ব্লোয়িন ইন দ্য উইন্ড’-এর মতো ‘টাইমস দে আর-আ-চেঞ্জিং’ গানটিও ষাটের দশকে যুক্তরাষ্ট্রে সিভিল রাইটস আন্দোলনে জাতীয় সংগীতে পরিণত হয়েছিল। ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত ‘টাইমস দে আর-আ-চেঞ্জিং’ গানের শিরোনাম সংগীত এটি।
৪. ‘ট্যাঙ্গেলড আপ ইন ব্লু’
১৯৭৫ সালে প্রকাশিত ‘ব্লাড অন দ্য ট্র্যাকস’ অ্যালবামে গানটি তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর আ চ ঞ জ ট ইমস দ
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দামের বাড়ির একটি ঘরে আগুন
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের বাড়ির একটি খড়ের ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত গভীর রাতে (দেড়টায়) পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাতখামার এলাকায় সাদ্দামের গ্রামের বাড়ির প্রাচীর সংলগ্ন একটি খড় ও খড়ি রাখার ঘরে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় বোদা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার মূল বাড়ির কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
এ দিকে সাদ্দামের বাড়ির অগ্নিকাণ্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক বিভিন্ন পেজে শেয়ার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা কোনোভাবে জীবন রক্ষা পেয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, বাড়ির প্রাচীর সংলগ্ন একটি খড় ও খড়ি রাখার ঘরে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। মধ্য রাতে ওই ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
সাদ্দাম হোসেনের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, মধ্যরাতে কে বা কারা আমাদের খড়ের ঘরে আগুন দেয়। প্রতিবেশীরা আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সময়মত তারা না আসলে আগুন আমাদের থাকার ঘরেও লাগতো। আমার স্বামী ৩ বছর ধরে বিছানায় পড়ে রয়েছেন। আমরা এখন খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা চাই, প্রশাসন এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করে কারা আগুন দিয়েছে তা খুঁজে বের করুক এবং শাস্তির ব্যবস্থা করুক।
বোদা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর রায়হান ইসলাম বলেন, আমাদের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ১ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছি। তবে আগুনের সূত্রপাত এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’