তদন্তে আরও দুই মাস সময় দিল ট্রাইব্যুনাল
Published: 10th, April 2025 GMT
রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে আরও দুই মাস সময় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত সংস্থার আবেদনে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বুধবার এ আদেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ জুন নির্ধারণ করা হয়েছে। মামলার ৪ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশের সাবেক এসআই আমীর হোসেন, তাজহাট থানার কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেরোবি প্রক্টর শরীফুল ইসলাম এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সম্পাদক এমরান চৌধুরী আকাশকে গতকাল হাজির করা হয়। পরে ট্রাইব্যুনাল থেকে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ১৩ জানুয়ারি আবু সাঈদের পরিবারের পক্ষ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিষয়ে প্রসিকিউটর মীযানুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে অনেক ঘটনাই ঘটেছে। এগুলো তদন্তে আসবে। এই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকলে তিনি আসামি হবেন।’ মীযানুল ইসলাম আরও বলেন, আবু সাঈদ হত্যার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের হেলমেট বাহিনীও জড়িত। ২৬ জনের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
সাবেক আইজিপিকে জিজ্ঞাবাসাদের অনুমতি
রাজধানীর কল্যাণপুরের জাহাজ বিল্ডিয়ে জঙ্গি নাটক সাজিয়ে ৯ তরুণকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পুলিশের সাবেক আইজি শহীদুল হক, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ও মিরপুরের সাবেক ডিসি জসিম উদ্দিনকে সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ২১, ২২ ও ২৩ এপ্রিল তদন্ত সংস্থার সেফহোমে নিয়ে তাদের এক দিন করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলা হয়েছে। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও শুনানির জন্য ৭ মে দিন ধার্য করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।
মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।