পিএসজি ৩ : ১ অ্যাস্টন ভিলা

জয়টা তো আরও বড় ব্যবধানে হতে পারত! অ্যাস্টন ভিলাকে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটের প্রথম লেগে ৩-১ গোলে হারিয়ে এমনটা মনে হতেই পারে পিএসজি কোচ লুইস এনরিকের। ম্যাচে একের গোলের সুযোগ হাতছাড়া না হলে, আক্ষরিক অর্থেই বড় ব্যবধানে জিততে পারত পিএসজি।

এমিলিয়ানো মার্তিনেজ বারবার দেয়াল তুলে দাঁড়িয়ে বাঁচিয়েছে ভিলাকে। যদিও কতটা আর পারলেন! তিন গোল তো খেতেই হলো। অন্য দিকে মার্তিনেজদের শোকে ভাসানোর রাতে নায়ক ‘নতুন ম্যারাডোনা’ খ্যাত খিচা কাভারাস্কেইয়া।

ম্যাচজুড়ে দারুণ খেলা এই ফুটবলার করেছেন দারুণ এক গোলও। অন্য দুটি গোল দেসিরে দোয়ে ও নুনো মেন্ডেসের। আর ঘরের মাঠে পাওয়া এই জয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল পিএসজি।  

পিএসজির মাঠে শুরু থেকেই ম্যাচ ছিল একতরফা। পিএসজির একের পর আক্রমণ ঠেকানোয় যেখানে ছিল অ্যাস্টন ভিলার মূল চ্যালেঞ্জ। প্রথম ২ মিনিটের পরিসংখ্যানই নেওয়া যাক। পিএসজির ৭৮ শতাংশ বল দখলের বিপরীতে ভিলার দখলে বল ছিল মাত্র ২২ শতাংশ। পিএসজি ৭টি শটের ৩টি লক্ষ্যে রাখলেও ভিলা কোনো শটই নিতে পারেনি। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজে সুপার সেইভ না করলে তখন পিছিয়েও থাকতে পারত ভিলা পার্কের ক্লাবটি।

তবে স্রোতের বিপরীতে গোল খাওয়ার ধারা ধরে রেখে ৩৫ মিনিটে গোল খেয়ে বসে পিএসজি। গোল করেন ভিলার মরগান রজার্স। তবে সমতা ফেরাতে খুব বেশি সময় নেয়নি পিএসজি।

দুর্দান্ত খেলতে থাকা দলটিকে দুর্দান্ত এক গোলে সমতায় ফেরান দেসিরে দোয়ে। বক্সের বাইরে থেকে মার্তিনেজের মাথার ওপর দিয়ে শট নিয়ে বল জালে জড়ান দোয়ে। বিরতির আগেও আরও একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও শেষ পর্যন্ত লিড নিতে পারেনি লুইস এনরিকের দল।  

প্রথমার্ধে একরে পর চেষ্টা করে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু এগিয়ে যায় পিএসজি। দারুণ এক আক্রমণে বল পেয়ে অসাধারণ দক্ষতায় বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েন কারাভস্কেইয়া। এরপর মার্কিংয়ে থাকা ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে দারুণ এক শটে মার্তিনেজকে ফাঁকি দিয়ে পিএসজিকে এগিয়ে দেন ‘নতুন ম্যারাডোনা’ খ্যাত এই জর্জিয়ান তারকা।

এগিয়ে গিয়ে পিএসজি যেন আরও ক্ষুরদার। এ সময় একের পর এক আক্রমণে গেছে তারা। আর শেষ পর্যন্ত ম্যাচের যোগ করা সময়ে আসে তৃতীয় গোলটি। গোল করেন মন্ডেস। আর এই গোলেই নিশ্চিত হয় পিএসজির ৩-১ গোলের জয়।

দ্বিতীয় লেগে দুই দল মুখোমুখি হবে আগামী ১৫ এপ্রিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অ য স টন ভ ল প এসজ র

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, শিক্ষার্থীদের হল খুলবে ২ মে,  শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে ৪ মে। তবে হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। রোববার বেলা ৩টা থেকে তারা সেখানে অবস্থান করছেন। 

কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ জানান, সোমবার রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ১৯ ফেব্রুয়ারি গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানো নির্দেশ দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ