সেনাবাহিনীর জন্য আলোচনার দরজা কখনো বন্ধ হয়নি: ইমরান খান
Published: 10th, April 2025 GMT
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংলাপ শুরুর উদ্যোগ নিতে দলের জ্যেষ্ঠ নেতা আজম স্বাতীকে নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গত মঙ্গলবার ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে গত মঙ্গলবার আইনজীবী ও দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি এ নির্দেশ দেন। এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি তাঁর মুক্তির জন্য নয়, বরং তা পাকিস্তানের স্বার্থের জন্য।
এ বিষয়ে জ্ঞাত সূত্র জানিয়েছে, ইমরানের সঙ্গে দলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা সাক্ষাৎ করতে আসেন। এ সময় তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংলাপের দরজা তিনি কখনো বন্ধ করে দেননি। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তাঁর দল বর্তমান সরকারের সঙ্গে আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ, বর্তমান সরকার সত্যিকারের কর্তৃপক্ষ নয়।
ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান গওহর আলী খান, সিনেটর আলী জাফর, আইনজীবী জহির আব্বাস, মুবাশ্বর আওয়ান ও আলী ইমরান।
ওই সাক্ষাতের সময় সিনেটর জাফর স্বাতীর সাম্প্রতিক একটি ভিডিও বিবৃতির বিষয়ে ইমরানের প্রতিক্রিয়া জানতে চান। ওই ভিডিওতে স্বাতী দাবি করেন, ইমরান খান তাঁকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংলাপ শুরুর বিষয়ে উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি তিনি গোপন রাখতে বলেছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইমর ন খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, সব পদে জয়ী বিএনপি-জামায়াতপন্থিরা
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতপন্থি প্যানেলের বিরুদ্ধে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সব পদে বিজয়ী হতে যাচ্ছেন তারা। গতকাল শনিবার চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে একক প্রার্থী হিসেবে বিএনপি-জামায়াতপন্থি প্যানেলের নাম ঘোষণা করা হয়। এখনও তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন।
গত ১০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র কেনার শেষ দিনে মনোনয়নপত্র কিনতে গিয়ে দুই দফায় বাধার মুখে পড়ে ফরম কিনতে পারেননি আওয়ামী লীগ ও বাম ঘরানার আইনজীবীরা। তারা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটি ও নির্বাচন কমিশনের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ দিলেও কোনো সমাধান হয়নি। আইনজীবী সমিতির ১৩২ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সব ক’টি পদে নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা তারিক আহমদ বলেন, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ২১ পদের বিপরীতে যাচাই-বাছাই শেষে ২১ জনের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় একক প্রার্থী হিসেবে তাদের বিজয়ী বলা যায়। আগামী ১৬ এপ্রিল সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তার আর প্রয়োজন হবে না। তিনি আরও বলেন, বার লাইব্রেরিতে মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা নেওয়া হয়েছে। রুমের বাইরে কী হয়েছে তা আমরা জানি না।
আওয়ামী লীগসমর্থিত সভাপতি প্রার্থী সাবেক মহানগর পিপি আবদুর রশীদ বলেন, ফরম বিক্রির শেষ দিন আমাদের দুই দফায় ফরম কিনতে বাধা দিয়েছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা। এ নিয়ে অ্যাডহক কমিটি ও নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও এর কোনো সুরাহা হয়নি। কয়েকজন ঐতিহ্যবাহী আইনজীবী সমিতির সোনালি ইতিহাস কলঙ্কিত করলেন। যারাই বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে ওই চেয়ারে বসবেন, তারা ওই চেয়ারকে কলুষিত করবেন।
বিএনপিপন্থি সভাপতি প্রার্থী সাবেক মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তারকে ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান আলী চৌধুরী, সহসভাপতি আলমগীর মোহাম্মদ ইউনূস, সহসাধারণ সম্পাদক ফজলুল বারী, অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, পাঠাগার সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফি বিনতে মোতালেব, ক্রীড়া সম্পাদক ম. মঞ্জুর হোসেন এবং তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুল জব্বার; ১১ নির্বাহী সদস্য– আহসান উল্ল্যাহ মানিক, আসমা খানম, বিবি ফাতেমা, হেলাল উদ্দিন, মেজবাহ উল আলম আমিন, রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী, রুবাইয়াতুল করিম, শাহেদ হোসেন, মোহাম্মদ মোরশেদ, রাহিলা গুলশান ও সাজ্জাদ কামরুল হোসেন।