বার্সেলোনা ৪ : ০ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড

অবিশ্বাস্য! ২০২৫ সালে বার্সেলোনার পারফরম্যান্সকে এই একটি শব্দেই শুধু ব্যাখ্যা করা যায়। এই বছর ২৩ ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত হারেনি তারা। যার শেষটি বার্সা পেয়েছে আজ বুধবার রাতে। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটের প্রথম লেগের ম্যাচে বার্সার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।

প্রথমার্ধে কোনোরকমে এক গোল হজম করে ঠেকিয়ে রাখলেও, দ্বিতীয়ার্ধে বার্সার সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে গতবারের রানার্সআপরা। বার্সার কাছে ডর্টমুন্ড হেরেছে ৪-০ গোলে। এই হারে অ্যাওয়ে ম্যাচ হাতে রেখেই সেমিফাইনালের দুয়ারে পৌঁছে গেল বার্সা।

বার্সার জয়ে আজ গোল করেছেন বার্সার আক্রমণভাগের তিন তারকার প্রত্যেকেই। রবার্ট লেভানডফস্কি করেছেন জোড়া গোল। আর একটি করে গোল করেছেন রাফিনিয়া ও লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুনঘুরে দাঁড়ানো কাকে বলে দেখিয়ে দিল বার্সেলোনা১৭ মার্চ ২০২৫

ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই ডর্টমুন্ডের ওপর চড়াও হয় বার্সেলোনা। ৫ ও ৭ মিনিটে পরপর দুইবার দারুণ দক্ষতায় ডর্টমুন্ডকে গোল খাওয়া থেকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল। ইয়ামালের প্রচেষ্টা নষ্ট করার ২ মিনিট পর ঠেকিয়ে দেন লেভানডফস্কিকে।

শুরুর ঝড় সামলে ধীরে ধীরে থিতু হওয়ার চেষ্টা করলেও, বার্সার আক্রমণে বেশ চাপেই থাকতে হয়েছে সিগনাল ইদুনা পার্কের দলটিকে। ম্যাচের ১৪ মিনিটের মাথায় বলার মতো কোনো আক্রমণে যায় ডর্টমুন্ড, যদিও তা বার্সাকে দুশ্চিন্তায় ফেলার মতো ছিল না।

ইয়ামাল ও রাফিনিয়ার গোল উদ্‌যাপন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুবি শিক্ষার্থীদের ভাবনায় ফ্যাসিবাদমুক্ত নববর্ষ

২৪ এর জুলাই আন্দোলন পেরিয়ে এসেছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর এবার নতুন পরিবেশে বর্ষবরণ উৎসব বিশেষ মাত্রা পেয়েছে। তাই এ বছরের উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।

সকালের আলো ফুটে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশজুড়ে নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে বরণ করে নিয়েছে বাঙালি জাতি। পহেলা বৈশাখ শুধু ক্যালেন্ডারের পাতার একটি সংখ্যা নয়, এটি বাঙালির বিশেষ দিন।

এদিন ক্যালেন্ডারের পাতার সঙ্গে বদলে যায় হৃদয়ের ছন্দ, মানুষের মনে জমে থাকা প্রত্যাশার রং। পহেলা বৈশাখ বাঙালির একমাত্র উৎসব যেখানে থাকে না কোনো ধর্ম, শ্রেণি, বয়সের ভেদাভেদ।

আরো পড়ুন:

৫ বছর পর কুবিতে নববর্ষ উদযাপন

২৩ দিন পর আবারো প্রাণোচ্ছল কুবি

ফ্যাসিবাদমুক্ত নববর্ষ ১৪৩২-কে ঘিরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের রয়েছে নিজস্ব ভাবনা, প্রত্যাশা ও স্বপ্ন। রাইজিংবিডির কাছে তারা তাদের সেই ভাবনা, প্রত্যাশা ও স্বপ্নগুলো প্রকাশ করেছেন।

এখন স্বাধীনভাবে নববর্ষ উদযাপন করতে পারছি

ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে আমরা এ বছর নববর্ষ উদযাপন করছি। ২৪ এর আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের ধারণ করে র‍্যালি করেছি। আমাদের ক্যাম্পাসে সর্বশেষ ২০১৯ সালে নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছিলো। এখন আমরা স্বাধীনভাবে নববর্ষ উদযাপন করতে পারছি। ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।
(লেখক: মোহাম্মদ হান্নান রাহিম, শিক্ষার্থী, ১২তম আবর্তন, গণিত বিভাগ)

সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা

বাংলাদেশে এখন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। প্রতি বছর যেভাবে নববর্ষ উদযাপন করা হতো, এ বছর তা ভিন্ন। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে এ নববর্ষে ভিন্ন আঙ্গিক দেখা যাচ্ছে। সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।
(লেখক: জুলফা আক্তার, শিক্ষার্থী, ১৪তম আবর্তন, রসায়ন বিভাগ)

মানুষের মাঝে নব জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে

ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষ সবার মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্যের চেতনা সৃষ্টি করেছে। মানুষের মাঝে যে নব জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, স্বাধীন ও নিজস্ব ভাবধারা প্রকাশ করার তা ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আগামীর বাংলাদেশে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার সম্প্রতির বন্ধনকে অটুট করবে। একইসঙ্গে একটি আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে জুলাই আন্দোলনে শহীদরা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
(লেখক: বিএম সুমন, শিক্ষার্থী, ১৩তম আবর্তন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ)

ঢাকা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ