পুলিশের হেফাজতে সেই ভাইরাল ‘চলমান খাট’
Published: 10th, April 2025 GMT
সামাজিক মাধ্যমে ক’দিন ধরে একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে এক ব্যক্তি বিছানার মাঝখানে বসে আছেন। তোশক, চাদর, বালিশসহ পুরো খাটটাই চলছে। যেন একটি গাড়ি। আসলে এটি একটি চলমান বিছানা কিংবা চলমান খাটগাড়ি। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা নবাব শেখ প্রায় দেড় বছরে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা খরচ করে খাটগাড়িটি বানিয়েছেন। বিবিসি।
ঈদের দিন একটু ‘ট্রায়াল’ দিতে বেরিয়েছিলেন নিজের বিচিত্র এই গাড়িটি নিয়ে। মুহূর্তেই তা ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ওই চলমান বিছানা দেখতে ব্যাপক ভিড়ও হচ্ছিল। নবাব শেখের এখন মন খারাপ। কারণ, তাঁর সাধের গাড়িটি মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানার পুলিশ নিয়ে গেছে। ভাইরাল হওয়ার স্বপ্ন তো ছিলই, এর সঙ্গে ছিল বিছানায় বসে বসে চায়ের দোকানে চা খেতে যাওয়ার স্বপ্নও। তবে মোটর ভেহিকলস আইন অনুযায়ী কোনো গাড়িকে বদলে চালানোর অনুমতি নেই।
নবাব বলেন, ‘আমি ঘুমের মধ্যেই একদিন স্বপ্ন দেখি যে খাটে চেপেই যদি আমি চা খেতে যেতে পারতাম! সেই ভাবনা থেকেই শুরু।’ এর পরে তিনি খাটটিতে চারটি চাকা ও ইঞ্জিন লাগিয়ে চলন্ত খাট বানান। ঈদের দিন একটু ট্রায়াল দিতে বেরিয়েছিলাম। আমার কয়েকজন বন্ধু সেটার দুটো ভিডিও করে। সেটা আমি ফেসবুক পেজে দিলেই ভাইরাল হয়ে যায়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চলম ন
এছাড়াও পড়ুন:
নিখোঁজের ১০ দিন পর পাহাড়ে মিলল বস্তাবন্দি মরদেহ
নিখোঁজের ১০ দিন পর কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার একটি পাহাড় থেকে মাহাবুর রহমান (২২) নামে ইজিবাইক চালাকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম উলুচামারি আখির বাপেরঘোনা পেডান আলীর পাহাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
ট্রেনের ধাক্কায় খালে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
সড়কের পাশে পড়ে ছিল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ
তিনি বলেন, “মরদেহটি অর্ধগলিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন রয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
নিহত মাহাবুর রহমান হ্নীলার উলুচামারি হামজারছড়ার বাসিন্দা মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে। গত ৪ এপ্রিল সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
পুলিশ জানায়, স্থানীয়রা সকালে পেডান আলীর পাহাড়ে বস্তাবন্দি একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরিবারের সদস্যরা পরনের কাপড় দেখে মরদেহটি মাহাবুরের বলে শনাক্ত করেন।
মাহাবুরের বড় ভাই সৈয়দ আলম অভিযোগ করে বলেন, “ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্যই আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে। এখনো তার ইজিবাইকটির সন্ধান মেলেনি।”
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ