মহেশখালী-কুতুবদিয়া (কক্সবাজার-২) নির্বাচনী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক এবং তাঁর স্ত্রীসহ চারজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ বুধবার এ আদেশ দেন।

বাকি তিনজন হলেন আশেক উল্লাহ রফিকের স্ত্রী সাহেদা নাসরীন, গোরকঘাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র মকসুদ মিয়া ও তাঁর স্ত্রী সরজিনা আক্তার।

দুদক আদালতকে লিখিতভাবে জানিয়েছে, সাবেক সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ এবং গোরকঘাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র মাকসুদ মিয়ার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে অস্ত্র সরবরাহ, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে লুটপাট, হোটেল দখল, টেন্ডারবাজি, ইয়াবা ব্যবসাসহ নানাভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।

এ ছাড়া আজ একই আদালত নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের পরিদর্শক রিয়াজুল হক এবং তাঁর স্ত্রী তুহিন আরা বেগমের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রিয়াজুল হকের বিরুদ্ধে ঘুষ-বাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার, কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। তিনি দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন শিল্পে গ্যাসের মূল্য ৩৩% বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের

নতুন শিল্পে গ্যাসের মূল্য ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধির নিন্দা জানিয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এই সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, বিনিয়োগের পরিবেশ ও সাধারণ মানুষের জীবনমানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করে সংগঠনটি।

আজ সোমবার রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, করোনা মহামারি থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি ধারাবাহিক সংকটে জর্জরিত। এ সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সরকার ‘সার্বিক বিনিয়োগ বাড়ানোর’ অঙ্গীকার করলেও গ্যাসের দাম বাড়িয়ে শিল্প খাতকে চাপের মুখে ফেলেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) স্বীকার করেছে, তারা মূল্যবৃদ্ধির পক্ষে কোনো স্পষ্ট অর্থনৈতিক বা রাজস্বভিত্তিক যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেনি। কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুযায়ী, ‘রাজস্ব চাহিদা’ বিবেচনা না করে মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সরকারের প্রতিশ্রুত স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থার পরিপন্থী।

এ অবস্থায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—শিল্প খাতসহ সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সহনীয় মূল্যকাঠামো নির্ধারণ করা, জ্বালানি খাতের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং দুর্নীতি ও অপচয় রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া, ‘নতুন’ ও ‘পুরোনো’ শিল্পের মধ্যে বৈষম্য দূর করে একই মূল্যনীতি চালু করা এবং ভবিষ্যতে কোনো নীতি প্রণয়নের আগে সব স্তরের অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা ও তাদের সম্মতি নিশ্চিত করা।

আরও পড়ুননতুন শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ল ৩৩ শতাংশ, পুরোনো শিল্পে বাড়তি ব্যবহারে নতুন দাম১৩ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ