জামালপুর সদর উপজেলায় রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামের একজনকে হত্যার দায়ে দুজনকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দুজনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২–এর বিচারক মো. আবু বকর ছিদ্দিক এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন জামালপুর সদর উপজেলার হাসিল জালিয়ার পাড়া এলাকার লেবু মিয়া এবং একই উপজেলার দেওলিয়াবাড়ি এলাকার মজনু মিয়া। তাঁদের জেলা করাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাতে জামালপুর সদর উপজেলার হাসিল এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বাড়ির পাশের একটি পুকুর পাহারা দিতে যান। এরপর রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন সকালে স্ত্রী লাইলী বেগম খোঁজ নিতে যান; কিন্তু পুকুরপাড়ের ছাপড়ায় তাঁকে খুঁজে পাননি। নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ওই এলাকার একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় একই বছরের ২৯ ডিসেম্বর লাইলী বেগম জামালপুর সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ দেড় বছর মামলাটির তদন্ত শেষে ওই দুজনসহ ১৩ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার দুপুরে দুজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২–এর সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এ কে এম নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রায়ের সময় আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এল ক র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফে আগুন, জড়িতদের শাস্তি দাবি ছাত্র ফ্রন্টের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্‌যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনার নিন্দার পাশাপাশি জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। আজ শনিবার এক বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানিয়েছে।

ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদেকুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, শোভাযাত্রার মোটিফ পোড়ানোর ঘটনা প্রমাণ করে, এত বড় একটি আয়োজনকে কেন্দ্র করে যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়নি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তদন্ত সাপেক্ষে অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বর্ষবরণের আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নিরাপত্তাব্যবস্থাকে আরও সক্রিয় এবং জোরদার করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

আরও পড়ুনচারুকলায় আগুনে পুড়ে গেল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ১৫ ঘণ্টা আগে

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রতিবছর চারুকলার নির্দিষ্ট ব্যাচের শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে এবং শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের সম্মিলিত উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। এবার ঐতিহাসিক এই র‍্যালির নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে চারুকলার শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এবং ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনসমূহের মতামত নেওয়া হয়নি। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট আমলে বৈশাখ উদ্‌যাপনকে কেন্দ্র করে নানাভাবে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ দেখা গেছে। গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না ছাত্রফ্রন্ট।

আরও পড়ুনআনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফে আগুনের প্রতিবাদে চারুকলার সামনে মানববন্ধন৩ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ