ডিপিএলে ‘ইচ্ছাকৃত আউটে’ ম্যাচ হারের অভিযোগ, ইমরুল-নাফিসদের প্রতিবাদ
Published: 9th, April 2025 GMT
ডিপিএলে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বুধবার শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ১৭৯ রানের লক্ষ্য দিয়ে ৫ রানে হারিয়েছে নবাগত গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। এই জয়ে গুলশান লিগে তিনে থেকে সুপার লিগে খেলা নিশ্চিত করেছে।
প্রশ্ন উঠেছে গুলশানের এই জয় নিয়ে। শাইনপুকুরের ব্যাটাররা ইচ্ছাকৃত আউট একটা ক্লাববে সুপার ফোরে উঠতে দেয়নি এমন অভিযোগ উঠেছে। ডিপিএলের মান, ম্যাচ ফিক্সিংসহ নানা অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও সবর। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিস ও ডিপিএলে খেলা ইমরুল কায়েস ও শামসুর রহমানরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো ভিডিও থেকে দেখা যায়, শাইনপুকুরের এক ব্যাটার ডাউন দ্য উইকেটে এসে বল খেলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে স্টাম্পিং হন। তার ওই আউট নিয়ে প্রথম সন্দেহের আর্বিভাব। এরপর শেষ ব্যাটারও ডাউন দ্য উইকেটে আসেন।
কিন্তু বোলার নাঈম ইসলাম ওয়াইড লাইনে বল করেন। শাইনপুকুরের শেষ ব্যাটার মিনহাজুল আবেদিন ক্রিজে ফিরে যাওয়ার যথেষ্ট সময় পান। গুলশানের উইকেটরক্ষক দ্রুত বল ধরে স্টাম্প করতে পারেননি। এটা দেখে ব্যাটার মিনহাজুল পপিং ক্রিজে ব্যাট দিতে গিয়েও ব্যাট সরিয়ে আনেন এবং বাইরে ব্যাট ছোঁয়ান। তিনি আউট হলে হেরে যায় শাইনপুকুর।
এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে শাহরিয়ার নাফিস কেবল ‘ছি’ শব্দটা লিখেছেন। নিন্দা জানাতে ওই একটা শব্দই যথেষ্ট ওজন বহন করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাজী গ্রুপের শামসুর রহমান লিখেছেন, ‘সিরিয়াসলি, শেইম!’
ম্যাচের ভিডিও দৃশ্যসহ দীর্ঘ এক পোস্টে ইমরুল কায়েস খিলেছেন, ‘মিডিয়া, ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার সবাই আজ একটা ঘটনায় স্তম্ভিত, ক্ষুব্ধ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে যে কাজটা হয়েছে, সেটা শুধু লজ্জাজনক না, এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করেছে। একটা দলকে সুপার লিগে উঠতে না দিতে পরিকল্পিতভাবে আরেক মাঠে দুই দল পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছে! এই যদি হয় আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের অবস্থা, তাহলে ভবিষ্যতে জাতীয় দলে কারা খেলবে? কাদের হাতে আমরা তুলে দিচ্ছি দেশের পতাকা? লজ্জা! কিছু বিকৃত মানসিকতার মানুষ নিজেদের স্বার্থে দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি জানায়।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড প এল শ ইনপ ক র ড প এল
এছাড়াও পড়ুন:
রূপনগরে শিশুদের জন্য ভ্রাম্যমাণ খেলার জায়গা উদ্বোধন
এলাকাভিত্তিক খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে শিশুদের জন্য রাজধানীর মিরপুরে রূপনগর আবাসিক এলাকায় ভ্রাম্যমাণ খেলার জায়গা (মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড) উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে স্কুল অব লাইফ, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট ও হেলথ ব্রিজ ফাউন্ডেশন অব কানাডার সম্মিলিত উদ্যোগে এটির উদ্বোধন করা হয়। এই আয়োজনে সহযোগিতা করেন রূপনগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা।
আয়োজকেরা জানান, প্রতি শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর সড়কে নিয়মিত মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ডে খেলাধুলার আয়োজন করা হবে। খেলাধুলার মধ্য থাকবে দাবা, লুডু, ক্যারম, দড়ি লাফ ও ব্যাডমিন্টন। এ ছাড়াও থাকবে ছবি আঁকা, হস্তশিল্প ও সামাজিকীকরণের মতো বিভিন্ন কার্যক্রম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মাঠ ও পার্কের অপ্রতুলতা ঢাকা শহরের একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডের ৩৭টিতে কোনো খেলার মাঠ বা পার্ক নেই। শিশুদের খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এলাকাভিত্তিক মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড তৈরি একটি কার্যকর সমাধান। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে উঠবে, শহর হবে প্রাণবন্ত ও বাসযোগ্য।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্কুল অব লাইফের চেয়ারম্যান চিকিৎসক অনুপম হোসেন বলেন, ঘরবন্দী জীবনে শিশুরা হাঁপিয়ে উঠেছে। করোনাকালে দীর্ঘদিন ঘরে থাকার ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এলাকাভিত্তিক স্বল্প ব্যবহৃত বা অব্যবহৃত রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড তৈরি করে খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ তৈরি করা যায়। এতে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি নেতৃত্বগুণ ও সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার মানসিকতা গড়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ-পার্ক নেই। অর্থ ও স্থান সংকুলান বিবেচনায় সিটি করপোরেশনের পক্ষে দ্রুত বড় আকারের মাঠ-পার্ক তৈরি সম্ভব নয়। তবে খুব কম খরচে ও স্বল্প জায়গায় শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে এলাকাভিত্তিক খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের স্থান গড়ে তোলা সম্ভব। নগরবাসীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব লাইফের সদস্যসচিব সাবরিনা নওরিন লিমু, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মকর্তা, মিরপুর সেকশন- ৭ এর রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর সড়কের এলাকাবাসী ও শিশু-কিশোরেরা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা মো. মিঠুন।