গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ১৭ এপ্রিল সমাবেশ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
Published: 9th, April 2025 GMT
গাজায় ইসরায়েলের চলমান নৃশংস গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। একই সঙ্গে অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।
গণতন্ত্র মঞ্চ গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করবে।
আজ বুধবার দুপুরে নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় এ কথা বলা হয়। পরে গণতন্ত্র মঞ্চ এ নিয়ে গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায়।
বিজ্ঞপ্তিতে গাজা খালি করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আবাসন তৈরির পাঁয়তারাকে বেসামাল আগ্রাসী অপতৎপরতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন ও সংহতিও ব্যক্ত করা হয়।
সভায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসনের স্থবিরতা ও অকার্যকারিতায় সামাজিক নৈরাজ্যের বিস্তার ঘটছে, মব–সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ছে। জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে জনমনে উৎকণ্ঠা বাড়ছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে বলেও সভায় বলা হয়।
গণতন্ত্র মঞ্চের ওই সভার প্রস্তাবে বলা হয়, সামাজিক নৈরাজ্যের এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিনিয়োগসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহসভাপতি কে এম জাবের। নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার প্রমুখ।
নতুন সমন্বয়ক
আগামীকাল ১০ এপ্রিল থেকে পরবর্তী তিন মাসের জন্য গণতন্ত্র মঞ্চের নতুন সমন্বয়কের দায়িত্বপালন করবেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম। মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আজকের সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর স থ ত গণহত য ন সমন
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষ বলছে, আপনারা আরও ৫ বছর থাকেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো। রাস্তা থেকে মানুষ আমারে বলতেছিল– আপনারা আরও পাঁচ বছর থাকেন।’ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আজ বৃহস্পতিবার তিনি দেখার হাওরে বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করেন। এ সময় ধান কাটা উৎসবের জন্য বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতা ছিল না; মঞ্চও ছিল না। তবে উপস্থিত কৃষকদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘খাদ্য বিভাগ কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনতে যাতে দুষ্টুমি করতে না পারে, সেদিকে সবাই খেয়াল রাখবেন। ময়েশ্চার (আর্দ্রতা) বলে কৃষককে বিদায় করা যাবে না।’
তিনি হাওরে ধান কাটা শেষ করতে সবার সহযোগিতা চেয়ে বলেন, ‘হারভেস্টার মালিকরা ধান কাটতে কৃষকদের কাছ থেকে বেশি টাকা চাইলে মেশিন জব্দ করা হবে।’
হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাঁধ দুর্বল হলে বা ফসল রক্ষা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরও শঙ্কা আছে।’
উপস্থিত কৃষকরা অভিযোগ করেন, বিশ্বম্ভরপুরের করচার হাওরের গজারিয়া রাবার ড্যাম ছিদ্র হয়ে গেছে। পানি ঢোকায় ফসল হুমকিতে আছে। এ কথা শুনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীকে খোঁজেন তিনি। প্রকৌশলী অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত না থাকায় ক্ষুব্ধ হন উপদেষ্টা। এ সময় নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনকে ফোন দিয়ে উপদেষ্টাকে বলতে শোনা যায়– ‘কোথায় বসে টাকার হিসাব করছেন আপনি? রাবার ড্যাম দিয়ে পানি ঢুকছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ঠিক না হলে আপনাকে রিপেয়ার (মেরামত) করা হবে।’
এর আগে শান্তিগঞ্জ থানা পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে। এর আওতায় শেখ হাসিনাকে আনার চেষ্টা করা হবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ দুপুরে প্রথমে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানা পরিদর্শনে যান। সেখানে লালগালিচা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কমিশনারকে লালগালিচা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলতে শোনা যায়, ‘প্রটোকল করতে করতে তোমাদের সময় শেষ। মেইন কাম করতে পারতেছ না।’