নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনই এখন আমাদের মূল ফোকাস। ডিসেম্বরকে টার্গেট করেই আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভোটার লিস্ট হালনাগাদ শেষের দিকে। ১১ এপ্রিল এর কাজ শেষ হবে। এরপরও রাজনৈতিক ঐকমত্য যদি হয়, সরকার যদি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করে, তাহলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে আমাদের ফোকাস জাতীয় সংসদ নির্বাচন।’

আজ বুধবার নরসিংদীর বিভিন্ন উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসি মো.

আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, কোনো দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। অতীতের মতো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনবিষয়ক কার্যক্রম চলবে। ব্যালট পেপারে কোন কোন মার্কা থাকবে—এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনো আসেনি। এবার পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে।

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না এবং ব্যালটে নৌকা প্রতীক থাকবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে বলার এখনো সময় আসেনি। সময়ই বলে দেবে, কোন কোন প্রার্থী নির্বাচন করবেন এবং ব্যালটে কোন কোন মার্কা থাকবে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুছ আলী, পুলিশ সুপার আবদুল হান্নান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন আকন্দসহ জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত র জন ত ক সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

রূপনগরে শিশুদের জন্য ভ্রাম্যমাণ খেলার জায়গা উদ্বোধন

এলাকাভিত্তিক খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে শিশুদের জন্য রাজধানীর মিরপুরে রূপনগর আবাসিক এলাকায় ভ্রাম্যমাণ খেলার জায়গা (মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড) উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে স্কুল অব লাইফ, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট ও হেলথ ব্রিজ ফাউন্ডেশন অব কানাডার সম্মিলিত উদ্যোগে এটির উদ্বোধন করা হয়। এই আয়োজনে সহযোগিতা করেন রূপনগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা।

আয়োজকেরা জানান, প্রতি শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর সড়কে নিয়মিত মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ডে খেলাধুলার আয়োজন করা হবে। খেলাধুলার মধ্য থাকবে দাবা, লুডু, ক্যারম, দড়ি লাফ ও ব্যাডমিন্টন। এ ছাড়াও থাকবে ছবি আঁকা, হস্তশিল্প ও সামাজিকীকরণের মতো বিভিন্ন কার্যক্রম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মাঠ ও পার্কের অপ্রতুলতা ঢাকা শহরের একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডের ৩৭টিতে কোনো খেলার মাঠ বা পার্ক নেই। শিশুদের খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এলাকাভিত্তিক মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড তৈরি একটি কার্যকর সমাধান। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে উঠবে, শহর হবে প্রাণবন্ত ও বাসযোগ্য।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্কুল অব লাইফের চেয়ারম্যান চিকিৎসক অনুপম হোসেন বলেন, ঘরবন্দী জীবনে শিশুরা হাঁপিয়ে উঠেছে। করোনাকালে দীর্ঘদিন ঘরে থাকার ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এলাকাভিত্তিক স্বল্প ব্যবহৃত বা অব্যবহৃত রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড তৈরি করে খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ তৈরি করা যায়। এতে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি নেতৃত্বগুণ ও সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার মানসিকতা গড়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ-পার্ক নেই। অর্থ ও স্থান সংকুলান বিবেচনায় সিটি করপোরেশনের পক্ষে দ্রুত বড় আকারের মাঠ-পার্ক তৈরি সম্ভব নয়। তবে খুব কম খরচে ও স্বল্প জায়গায় শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে এলাকাভিত্তিক খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের স্থান গড়ে তোলা সম্ভব। নগরবাসীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব লাইফের সদস্যসচিব সাবরিনা নওরিন লিমু, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মকর্তা, মিরপুর সেকশন- ৭ এর রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর সড়কের এলাকাবাসী ও শিশু-কিশোরেরা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা মো. মিঠুন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ