ইহুদিবিরোধী পোস্ট দিলেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা, গ্রিনকার্ড আবেদন বাতিল
Published: 9th, April 2025 GMT
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইহুদিবিরোধী বিবেচিত বিষয়বস্তু পোস্টকারী ব্যক্তিদের ভিসা বা বসবাসের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে।
ইহুদিবিরোধী হিসেবে সংজ্ঞায়িত পোস্টগুলোতে হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের মতো যেসব গোষ্ঠীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে তাদের সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কার্যকলাপ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ট্রাম্প প্রশাসন বিতর্কিতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। অথচ মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনী বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়।
স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা মন্ত্রী ক্রিস্টি নয়েম ‘স্পষ্ট করে বলেছেন যে যারা মনে করেন তারা আমেরিকায় এসে ইহুদিবিরোধী সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদের পক্ষে প্রথম সংশোধনীর আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারেন - তারা আবার ভাবুন। এখানে আপনাকে স্বাগত জানানো হবে না।”
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এমন বিষয়বস্তু বিবেচনা করবে যা ইঙ্গিত দেয় যে, কোনো বিদেশী ইহুদিবিরোধী সন্ত্রাসবাদ, ইহুদিবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন বা অন্যান্য ইহুদিবিরোধী কার্যকলাপকে সমর্থন করেছে, সমর্থন করছে, প্রচার করছে” মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা সুবিধা নির্ধারণের ক্ষেত্রে তা নেতিবাচক কারণ হবে।”
এই নীতি অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং শিক্ষার্থী ভিসা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার জন্য স্থায়ী বাসিন্দা ‘গ্রিন কার্ড’ এর আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গরম তেল ঢেলে স্ত্রীকে হত্যায় মৃত্যুদণ্ড
দুই বছর আগে রাজধানীর কদমতলী থানার খালপাড় এলাকায় গায়ে গরম তেল ঢেলে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মিজান সরদার নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। রোববার সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার আগে আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত মিজান পিরোজপুরের নাজিরপুর থানার বাবুরহাট গ্রামের মৃত আওয়াল সরদারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মীম আক্তার রুপার সঙ্গে ঘটনার ১২ বছর আগে মিজান সরদারের বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। কদমতলীর খালপাড়ের ‘ইসলাম টাওয়ার’ নামে একটি বহুতল ভবনের সপ্তম তলায় বসবাস করতেন তারা। যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগী তার স্বামীর নির্যাতনের শিকার হন। এর আগে আসামি মিজান তার শ্বশুরের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা মূল্যের একটি জমি এবং সাত লাখ টাকা মূল্যের একটি দোকান যৌতুক হিসেবে নেন।
২০২৩ সালের ৬ মে রাত ১০ টার দিকে মিজান সরদার ভুক্তভোগী রুপার কাছে আরও যৌতুকের টাকা দাবি করলে তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ কারণে মিজান তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। রাত তিনটার দিকে যখন ভুক্তভোগী ও তাদের সন্তানরা ঘুমাচ্ছিল তখন মিজান সরদার একটি ফ্রাইং প্যানে সয়াবিন তেল গরম করে তার ওপর ঢেলে দেন। এতে গুরুতর দগ্ধ হয়ে ভুক্তভোগী চিৎকার করেন। এ সময় বিল্ডিংয়ের কেয়ারটেকার গিয়ে ভুক্তভোগী ও তার সন্তানদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যায়। যেখানে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রুপার বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ৯ মে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরে ২৫ মে ভুক্তভোগী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর আগে ভুক্তভোগী ১৪ মে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলামের কাছে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দেন। একই আদালতে আসামি মিজান সরদার দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
তদন্ত শেষে পুলিশের উপ-পরিদর্শক সরোজিৎ কুমার ঘোষ একই বছরের ৩১ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলার বিচার চলার সময় আদালত ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।