শুষ্ক অঞ্চলে আরো পানির সংকট সৃষ্টি করছে টেক প্রতিষ্ঠানগুলো
Published: 9th, April 2025 GMT
বিশ্বের কিছু শুষ্ক অঞ্চলে অ্যামাজন, মাইক্রোসফট ও গুগল প্রচুর পরিমাণে পানি ব্যবহার করে এমন ডেটা সেন্টার পরিচালনা করছে এবং আরো অনেকগুলো নির্মাণ করছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সাথে সাথে তিনটি প্রযুক্তি জায়ান্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বজুড়ে শত শত ডেটা সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। এই সেন্টারগুলো পানির ঘাটতি থাকা এলাকাগুলোর জনগোষ্ঠীর উপর সম্ভাব্য বিশাল প্রভাব ফেলবে। সোর্সমেটেরিয়াল এবং দ্য গার্ডিয়ানের এক অনুসন্ধানে বিষয়টি উঠে এসেছে।
এথিক্যাল টেক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা লোরেনা জাউমে-পালাসি বলেছেন, “পানির প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। সম্পদ দৃষ্টিকোণ থেকে স্থিতিস্থাপকতা ওই সম্প্রদায়গুলোর জন্য খুব কঠিন হতে চলেছে।”
সোর্সমেটেরিয়াল এবং দ্য গার্ডিয়ানের প্রশ্নের জবাবে অ্যামাজন ও গুগলের মুখপাত্ররা তাদের উন্নয়নের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে জানিয়েছেন, তারা সর্বদা পানির ঘাটতি বিবেচনা করেন। মাইক্রোসফট কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
ডেটাসেন্টার হচ্ছে দূরবর্তী স্টোরেজ এবং ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত নেটওয়ার্কযুক্ত সার্ভার ধারণকারী বিশাল গুদাম, সেইসাথে তথ্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো চ্যাট জিপিটি-এর মতো এআই মডেলগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য জলীয় শীতলীকরণ ব্যবস্থা ব্যবহার করে। সোর্সমেটেরিয়ালের বিশ্লেষণে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে তিনটি বৃহৎ প্রযুক্তি সংস্থার মালিকানাধীন ৩৮টি সক্রিয় ডেটা সেন্টার চিহ্নিত করা হয়েছে। এই অঞ্চলগুলো ইতিমধ্যেই পানির ঘাটতির মুখোমুখি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আরো ২৪টি ডেটা সেন্টার উন্নয়নে কাজ চলছে।
ডেটাসেন্টারগুলোর অবস্থান নিয়ে প্রায়শই গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়। কিন্তু স্থানীয় সংবাদ প্রতিবেদন এবং শিল্প উৎস ব্যাক্সটেল ও ডেটা সেন্টার ম্যাপ ব্যবহার করে সোর্সমেটেরিয়াল অ্যামাজন, মাইক্রোসফট ও গুগলের মালিকানাধীন ৬৩২টি ডেটাসেন্টারের একটি মানচিত্র সংকলন করেছে।
এতে দেখা গেছে, এসব কোম্পানির পরিকল্পনাগুলোতে বিশ্বব্যাপী তাদের মালিকানাধীন ডেটা সেন্টারের সংখ্যা ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি করার কথা বলা হয়েছে। কারণ ক্লাউড কম্পিউটিং এবং এআই এর চাহিদা বাড়ায় স্টোরেজ বাড়ানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এসব ডেটা সেন্টার উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বিশ্বের যেসব অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে, সেখানে ডেটাসেন্টারদের উচ্চ জল ব্যবহার কম সমস্যাযুক্ত। কিন্তু ২০২৩ সালে মাইক্রোসফট জানিয়েছিল, তাদের ৪২ শতাংশ পানি এমন এলাকা থেকে আসে যেকানে পানির সংকট রয়েছে। অপরদিকে গুগল জানিয়েছে, তাদের ১৫ শতাংশ পানি সংকটপূর্ণ এলাকা থেকে আসে। অ্যামাজন কোনো পরিসংখ্যান জানায়নি।
সোর্সমেটেরিয়াল এবং দ্য গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এখন এই কোম্পানিগুলো বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্ক অঞ্চলে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে।
জাউমে-পালাসি বলেন, “এটা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয় যে তারা শুষ্ক অঞ্চলে নির্মাণ করছে। কারণ ডেটাসেন্টারগুলো অভ্যন্তরীণভাবে তৈরি করতে হয়, যেখানে কম আর্দ্রতা ধাতুর ক্ষয়ের ঝুঁকি কমায়। অন্যদিকে সমুদ্রের জল শীতল করার জন্য ব্যবহার করলে ক্ষয়ও ঘটে।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র কর অ য ম জন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
রাত ৮টার মধ্যে হল খোলার দাবি কুয়েট শিক্ষার্থীদের
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রশাসনিক ভবনের সামনে আজ রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান নিয়েছে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী।
এর আগে, এ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী দুপুর আড়াইটার দিকে বন্ধ থাকা কুয়েটের প্রধান গেটের সামনে জড়ো হন। কুয়েট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা বেলা ৩টার দিকে আইডি কার্ড দেখিয়ে ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রবেশ করেন। এরপর তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে যান।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে শ্রমজীবীদের পাঞ্জাবি উপহার
খুলনার দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি
সেখানে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষার্থীদের কাছে আসেন। শিক্ষকরা তাদেরকে বুঝিয়ে বলেন, সিন্ডিকেটের সভা ছাড়া অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও হলগুলো খোলা সম্ভব নয়।
তবে শিক্ষার্থীরা সংবাদ বিবৃতিতে বলেন, হল ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী হলে থেকে বাইরে টিউশনি করেন। তারা টিউশনি করতে পারছেন না। তারা রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। কর্তৃপক্ষ যদি দাবি পূরণ না করে, তাহলে তারা আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন।
কুয়েটের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেওয়ার জন্য লিখিত একটি আবেদন জানিয়েছে। বিষয়টি শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপাচার্যকে জানাচ্ছেন। তবে সিন্ডিকেটের সভা ছাড়া হল খোলা ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয়।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পাসের দুটি গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে কুয়েট কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী