ঐকমত্য কমিশনে বিকল্পধারা বাংলাদেশ ও গণঅধিকার পরিষদের মতামত
Published: 9th, April 2025 GMT
সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে নিজেদের মতামত জমা দিয়েছে বিকল্পধারা বাংলাদেশ ও গণঅধিকার পরিষদ।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সংসদ সচিবালয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে নিজেদের মতামত জমা দেন দল দুটির প্রতিনিধিরা।
বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল বলেন, “সংবিধান সংস্কার, বিচার বিভাগ সংস্কার, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা সমূহের সাথে সম্পূর্ণ একমত, শুধু জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রস্তাবনার মধ্যে পৌরসভা চেয়ারম্যান নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচন প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচনের প্রস্তাব করেছি।
“বিকল্পধারা বাংলাদেশ মনে করে, প্রস্তাবিত সংস্কারসমূহ বাস্তবায়নে রক্তস্নাত গঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৪ বছরে জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সূদুরপ্রসারী রোডম্যাপ তৈরির পথ প্রশ্বস্ত হবে।”
অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষে আবু হানিফ বলেন, “আমরা কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবের মধ্যে ৯০ ভাগ প্রস্তাবনার সঙ্গে একমত। বাকি ১০ ভাগের মধ্যে দ্বিমত ও আংশিক একমত হয়েছি।”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে। এতে সহসভাপতি হিসেবে রয়েছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
কমিশনের সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।
রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্য ধরে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর একীভূত সুপারিশ চূড়ান্ত করার পাশাপাশি এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির জন্য কাজ করছে ঐকমত্য কমিশন।
সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলোর প্রতিবেদনে আসা গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর ১৩ মার্চের মধ্যে মতামত জানাতে ৩৮টি দলকে অনুরোধ জানিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। তার মধ্যে নয়টি দল এখনো তাদের মতামত দেয়নি।
দলগুলোর মতামতের পর তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে ঐকমত্য কমিশন। প্রথম দল হিসেবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে গত ১৮ মার্চ বসে কমিশন।
রোজার ঈদের আগে চারটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হয়। ঈদের পর সোমবার আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন। আর মঙ্গলবার বসেছে নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে। সব মিলিয়ে ছয়টি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঐকমত্য কমিশন।
ঢাকা/আসাদ/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র মত মত প রস ত ব
এছাড়াও পড়ুন:
ডিসেম্বরে নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কার এগিয়ে নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা
আগামী ডিসেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ঐকমত্য কমিশনের দুই সদস্যের সঙ্গে আজ এক বৈঠকে তিনি এই তাগিদ দেন। বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্র এ কথা জানিয়েছে।
প্রেস উইং জানায়, বৈঠকে অংশ নেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ এবং সদস্য বদিউল আলম মজুমদার। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য গঠন) মনির হায়দার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে প্রফেসর আলী রীয়াজ ও ড. বদিউল আলম মজুমদার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে কমিশনের চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। তারা জানান যে, বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সুপারিশসমূহ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে আলোচনা চলমান রয়েছে। শনিবার পর্যন্ত মোট ৮টি দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল - বিএনপি‘র সঙ্গে আলোচনার সময়সূচি নির্ধারণ করা আছে।
তাঁরা আরও জানান যে, সংস্কার কার্যক্রমের বিষয়ে জনমত যাচাই এবং সে বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এ সময় কমিশনের সভাপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ডিসেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা তথা সামগ্রিক সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ার তাগিদ দেন।