আগের বিয়ের তথ্য গোপন করে ফের বিয়ের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। বাল্যবিয়েও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এ ধরনের আইনবহির্ভূত একাধিক বিয়ে ও বাল্যবিয়ে সমাজে নানামুখী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এ ছাড়া নাগরিকদের বিয়ে ও তালাকসংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য তথ্যের অভাবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উপকারভোগীর তালিকা প্রস্তুতেও হচ্ছে জটিলতা। এসব সমস্যা সমাধানে বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন প্রক্রিয়া অনলাইনের আওতায় এনে একটি জাতীয় তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। 

এ ছাড়া মুসলিম বিয়ে ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা ২০০৯ সংশোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন সরাসরির পাশাপাশি অনলাইন পদ্ধতিতেও করার আইনি জটিলতা কেটেছে। তবে এর জন্য এখন সফটওয়্যার তৈরিসহ অন্যান্য কাজ সম্পাদন করা হবে। এর পর চালু হবে অনলাইনে নিবন্ধন।

জানা গেছে, এই সংশোধনী এনে গত ৭ এপ্রিল আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে জানানো হয়, সরকার মুসলিম বিয়ে ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা ২০০৯ এর অধিকতর সংশোধন করল। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, নিকাহ্ ও তালাক নিবন্ধন ম্যানুয়ালি বা অনলাইন পদ্ধতিতে সম্পাদন করা যাবে। 

এ প্রসঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা ড.

রেজাউল করিম বলেন, আগে শুধু সরাসরি বিয়ে বা তালাক দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। বিধিমালা সংশোধনের পর এখন বিয়ে বা তালাক অনলাইনেও নিবন্ধন করা যাবে। এটি করার জন্যই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আগের বিধিমালা সংশোধন করা হলো। তবে অনলাইনে কাজ করতে হলে নতুন সফটওয়্যার তৈরি করতে হবে।

সংশোধনী বিধিমালায় আরও জানানো হয়, অনলাইন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ফরম ‘ঘ’-তে যেসব ব্যক্তির স্বাক্ষর প্রয়োজন তারা সরকার থেকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ডিজিটাল মাধ্যমে বা সরাসরি স্বাক্ষর ও নিরক্ষর ব্যক্তির ক্ষেত্রে টিপসই দেবেন। 

সংশোধনের মূল বিষয়গুলো

বিয়ে ও তালাক এখন অনলাইন এবং সরাসরি উভয় পদ্ধতিতে নিবন্ধনের সুযোগ আছে। অনলাইন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ফি ডিজিটাল মাধ্যমে বা সরকার নির্ধারিত যে কোনো পদ্ধতিতে পরিশোধ করা যাবে। নিবন্ধনের সময় ফরম ‘ঘ’-তে যাদের স্বাক্ষর প্রয়োজন, তারা তা ডিজিটালি বা সরাসরি দিতে পারবেন। নিরক্ষর ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে টিপসই গ্রহণ করা হবে।


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নববর্ষের অনুষ্ঠান ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে: র‍্যাব ডিজি

নববর্ষের অনুষ্ঠান ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান।

রোববার রমনার বটমূলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান ঘিরে র‍্যাবের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথা বলেন।

এদিন সকালে র‍্যাব প্রধান রমনা বটমূল এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন। 

র‍্যাবের মহাপরিচালক বলেন, সারা দেশে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান করে মানুষ। সব জায়গায় র‍্যাবের নিরাপত্তা বলয় বিস্তৃত করা হবে। 

এক প্রশ্নের জবাবে র‍্যাব ডিজি বলেন, চারুকলায় আগুন দেওয়ার ঘটনা সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাদের কোনও গাফিলতি থাকলে সেটাও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ