ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বাংলা নববর্ষ উদযাপনে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে কোনো কিছু করা যাবে না। ‘মঙ্গল’ শব্দ ও ধারণা বাদ দিতে হবে।

বুধবার দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন বলে দলের এক বিবৃতিতে জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পয়লা বৈশাখ ঋতু সম্পর্কিত একটি বিষয়। এই অঞ্চলের মানুষের কৃষিকাজ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিয়েশাদিসহ অনেক কিছুই ঋতুর সঙ্গে সম্পর্কিত। সে জন্য বাদশাহ আকবর ইসলামি বর্ষপঞ্জিকাকে ভিত্তি ধরে সৌরবর্ষ গণনার জন্য বাংলা সন প্রবর্তন করেছিলেন। এই সনের প্রবর্তনের সঙ্গে মুসলমানদের ইতিহাস-ঐতিহ্য জড়িত। একই সঙ্গে এই অঞ্চলের মানুষ হাজার বছর ধরে মুসলমান হওয়ার কারণে তাদের আচার-প্রথা ও সংস্কৃতিতে ইসলামবিরোধী কোনো কিছুর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। তাই বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপনের কোনো আয়োজনে ইসলাম অসমর্থিত কিছু থাকা যাবে না।’

ফয়জুল করীম বলেন, নববর্ষের দিন মানুষ শালীনতা ও ইতিহাস-ঐতিহ্য সমর্থিত পন্থায় নানা আয়োজন করতেই পারে। কিন্তু সেই দিন কোনো যাত্রা করলে তাতে মঙ্গল হবে—এমন বিশ্বাস করলে বা ধারণা করলে, পরিষ্কারভাবে তা গুনাহর দিকে নিয়ে যাবে। তাই মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে কোনো কিছু অবশ্যই করা যাবে না। ‘মঙ্গল’ শব্দ ও ধারণা অবশ্যই বাদ দিতে হবে।

বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নববর্ষের আয়োজন থেকে মঙ্গল শব্দ ও ধারণা বাদ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বলা হয়, ‘নববর্ষের আয়োজনে মূর্তিসহ ইসলাম অসমর্থিত সবকিছু বাদ দিন। বরং এ দেশের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে বিবেচনা করে ইসলাম সমর্থিত ধারণা ও উপকরণ ব্যবহার করুন।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নববর ষ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ছড়া কবিতা

খোরশেদ আলম নয়ন 
প্রিয় বৈশাখ

শুকনো পাতায় ছাওয়া-আমাদের ঘর
এই গড়ে-এই ভাঙে-বৈশাখী ঝড়
মেঘনার কালো জল ঢেউ ওঠে কূলে
ঘাটে বাঁধা ডিঙি নাও কেঁপে ওঠে দুলে।

আমের বনের ছায়ে-জাগে কোলাহল
হঠাৎ বৃষ্টি এসে এক হাঁটু জল
বৈশাখে ছিলো ঝড়-বোশেখ মেলা
ছিলো আরো দুরন্ত কিশোর বেলা।

দিদির আঁচলে ঘেরা-নিবিড় মায়া
ছিলো মেঘনার তীর-বটের ছায়া,
ভাটির দেশের নাও-মাটির পুতুল
বারোয়ারি মেলা জুড়ে-কাগজের ফুল।

হাতের রঙিন চুড়ি-পায়ের নূপুর
‘বউ কথা কও’ ডাকা উদাস দুপুর
বোশেখ দিনের সেই-স্বপ্নমধুর-
মেলায় কেনা বাঁশি-খুঁজে আজো সুর।

নাগরদোলায় দোলা-স্বপ্নিল দিন
ছিলো চির মধুময় স্মৃতি অমলিন।
সবুজ প্রান্ত ছুঁয়ে যতো দূর যাই
শ্যামল এ বাংলার রূপ খুঁজে পাই।

পুরাতন গ্লানি মুছে-নতুনের ডাক
নিয়ে আসে বার বার প্রিয় বৈশাখ।
 

 

উৎপলকান্তি বড়ুয়া 
বোশেখের পয়লা

রাত শেষে ভোর হলো
জেগে ওঠো সকলে
আসলের মাঝে ঠাঁই 
পাবে না তো নকলে।

দীদা হেসে কাছে আসে
মুখে সুর শোলক
তাক ডুম তাক বাজে
নতুনের ঢোলক।

পাক ঘরে মা রাঁধেন 
কী স্বাদের পাঁচন!
চিড়া মুড়ি নাড়ু ক্ষির
আনন্দ নাচন।

মুছে যাক ঘুচে যাক
যত ভুল ময়লা
নব রূপে এলো আজ 
বোশেখের পয়লা।
 

 

আলমগীর কবির 
ঝিলমিল ঘুড়ি

বোন চায় মেলা থেকে 
লাল নীল চুড়ি
ভাই বলে কিনে দাও
ঝিলমিল ঘুড়ি। 

কাগজের ফুল আর
রাঙা বাঁশি কিনি
বোনের জন্য মুখে 
মিঠা হাসি কিনি!

সারা মেলা ঘুরে ঘুরে 
ফিরি হাতে নিয়ে
মিঠাই শখের হাঁড়ি 
খুশি সাথে নিয়ে!

বটতলা জমে গেছে 
বৈশাখী মেলা
আনন্দ সুরে যায় 
কেটে বাকি মেলা! 

 

 

মোকাদ্দেস-এ-রাব্বী 
নববর্ষের আনন্দে

রঙ লেগেছে চারিদিকে
সাজাও রঙের ডালা
ঢোল-তবলা বাজাও সবাই 
আজকে খুশির পালা।

ঝুন ঝুন শব্দ তুলে
ঝুমঝুমিটা বাজছে
শব্দ শুনে খোকাখুকি
হেলে দুলে নাঁচছে।

টম টম শব্দ করে
চলছেরে টম গাড়ি
উৎসবের আনন্দ আজ
সবার বাড়ি বাড়ি।

এই আনন্দ ঘরে ঘরে
চলুক বছর জুড়ে
নববর্ষের গানে থাকুক
দুঃখ অনেক দূরে!

 

আবেদীন জনী 
বাজায় বাঁশি

বোশেখ এলো রোদ ছড়ালো
হলদে রোদের ডানা
বোশেখ যেন স্বপ্ন আঁকার
রংতুলি একখানা।

কালি-ধুলো দুঃখগুলো
যায় বাতাসে উড়ে
বোশেখ যেন বাজায় বাঁশি
নতুন ছন্দ-সুরে।

বোশেখ এলো রং ছড়ালো
পড়লো মেলার ধুম
মনটা খুকির প্রজাপতি
দুই চোখে নেই ঘুম।

মেলা থেকে কিনবে খুকি
খেলনা রাশি রাশি
শখের হাঁড়ি, ঘোড়ার গাড়ি
পুতুল-বেলুন-বাঁশি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাড়িতে বন্ধুরা আসার আগেই চলে গেল কেয়া
  • চারুকলায় ফ্যাসিস্টের মোটিফে আগুনের ঘটনায় মামলা
  • ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি
  • চারুকলায় নববর্ষের মোটিফে আগুনের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা
  • নববর্ষের শোভাযাত্রার মোটিফে আগুন নিয়ে রহস্য
  • ‘ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি’ পোড়ানোর ঘটনায় তদন্ত কমিটি 
  • হাসিনার দোসররা ফ্যাসিবাদের মুখায়ব পুড়িয়ে দিয়েছে: ফেসবুকে সংস্কৃতি উপদেষ্টা
  • ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ মোটিফ পুড়ে যাওয়ায় চারুকলা অনুষদ যা জানাল
  • চারুকলায় আগুনে পুড়ল ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি`
  • ছড়া কবিতা