চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগে বুধবার (০৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। এই কঠিন লড়াইয়ের আগে ডর্টমুন্ড কোচ নিকো কোভাচ জানিয়েছেন, বার্সার আক্রমণ সামলাতে তাদের সেরা কৌশল বের করতে হবে।

এই বছর এখনো পর্যন্ত কোনো ম্যাচে হারেনি বার্সেলোনা। রাফিনিয়া, লামিনে ইয়ামাল ও রবার্ট লেভানডোভস্কির দুর্দান্ত ফর্মে থাকা দলটি লা লিগার পয়েন্ট টেবিলেও রয়েছে শীর্ষে।

কোভাচ বলেন, “আমরা এখানে আন্ডারডগ হিসেবে এসেছি। তবে এতে প্রতিপক্ষের কাজ সহজ হবে না। দুই লেগের ম্যাচ, তাদেরকে ডর্টমুন্ডে আসতে হবে। আমি মনে করি, আমাদের সেমিফাইনালে ওঠার সুযোগ রয়েছে।”

আরো পড়ুন:

ছয় ম্যাচ হাতে রেখেই পিএসজির শিরোপা জয়

এমবাপ্পে-রুদিগার-সেবালোসকে জরিমানা, রিয়ালের স্বস্তি

গতবারের ফাইনালিস্ট ডর্টমুন্ড বর্তমানে বুন্দেসলিগায় অষ্টম স্থানে রয়েছে। গত শনিবার ফ্রাইবুর্গের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয় পেলেও তাদের এখনও লিগে ছয়টি ম্যাচ বাকি, যেখানে শীর্ষ চারে থাকতে না পারলে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা অনিশ্চিত হয়ে যাবে।

তবে দলে বড় ধাক্কা লেগেছে মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য ডিফেন্ডার নিকো শ্লটেরবেক ছিটকে যাওয়ায়। যিনি হাঁটুর ইনজুরিতে ভুগছেন। পাশাপাশি, পাসকেল গ্রসও থাকছেন না নিষেধাজ্ঞার কারণে।

কোভাচ বলেন, “আমরা জানি, কাল (আজ) কী ভয়ংকর আক্রমণের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি। আমাদের খুবই সংযত হয়ে খেলতে হবে। বক্সের আশেপাশে ওরা খুবই শক্তিশালী। তবে প্রতিটি দলেরই দুর্বলতা থাকে, আমরাও সেগুলো কাজে লাগাতে চাই।”

তবে নিজের পরিকল্পনা প্রকাশ করেননি কোভাচ, “আমাদের একটা পরিকল্পনা আছে। তবে এখন বলাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “বার্সেলোনার ট্রেবল জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে আমি ভাবছি না। আমি শুধু ভাবছি কীভাবে আমরা সেমিফাইনালে যেতে পারি। আমি জানি না (বার্সা কোচ) হ্যান্সি ফ্লিক ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন নিয়ে কথা বলছেন কিনা। আমি তাকে চিনি। তিনি কাজপাগল ও বাস্তববাদী একজন মানুষ। আমরাও ট্রেবল নয়, ম্যাচ জয়ের লক্ষ্যেই এখানে এসেছি। ভালো কিছু হলে খুশি হয়ে ফিরে যাব।”

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল চ য ম প য়নস ল গ ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার, হল খুলবে ২ মে 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ২ মে থেকে আবাসিক হলসমূহ খুলে দেওয়া ও ৪ মে থেকে শিক্ষা কার্যক্রম  শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এদিকে, হল খুলে না দেওয়ায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ‌‘মার্চ ফর কুয়েট’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন বলেও উল্লেখ করেছেন।

আরো পড়ুন:

হাসপাতালে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন

দাবিতে অনড় কুয়েট শিক্ষার্থীরা, সন্ধ্যায় সিন্ডিকেট সভা

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ সিন্ডিকেট সভার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি হামলার ঘটনায় ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৯৮ তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিলগালা অবস্থায় সভায় উপস্থাপন করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার এবং তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করা হয়।”

তিসি আরো বলেন, “সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে থেকে শুরু করার এবং সব আবাসিক হলসমূহ আগামী ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েজন শিক্ষার্থী সোমবার রাতে জানান, তারা সবাই সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত জানার জন্য প্রশাসনিক ভবনের সামনে অপেক্ষা করেন। তারা আশাবাদী ছিলেন, সিন্ডিকেট মেম্বাররা মিটিং শেষে তাদের আপডেট জানাবেন। মিটিং শেষ হলে তারা আপডেট জানতে চান শিক্ষকদের কাছে। কিন্তু, তারা কোনো সাড়া পাননি। এ কারণে পূর্বঘষিত কর্মসূচি অনুসারে হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। যতক্ষণ পর্যন্ত হল খোলা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও জানান তারা।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ