চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ১৫টি বসতঘর ও চারটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের হাদি ফকিরহাট বাজারে মঙ্গলবার মধ্যরাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, তাদের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

আজ বুধবার ফাতেমা বেগম নামে এক নারী বলেন, তিনিসহ ১৫টি পরিবারের কেউ গায়ের পোশাক ছাড়া কিছুই আগুন থেকে রক্ষা করতে পারেননি। প্রাণে বাঁচলেও সবাই এখন নিঃস্ব।

আগুনে ফাতেমা বেগম ছাড়াও যাদের বাড়ি পুড়েছে তাদের মধ্যে তারেকুল ইসলাম, কবির হোসেন, মোহাম্মদ খোকন, রফিকুল ইসলাম, ডালিম, হোসেন, চঞ্চল, তোজা, টিটু, আসাদুল, মতিউর রহমানের নাম জানা গেছে। একই দুর্ঘটনায় পুরোপুরি পুড়ে গেছে জাহেদুল ইসলাম মুন্নার মালিকানাধীন আইসক্রিমের একটি কারখানা ও স্ক্র্যাপের মালপত্রের দোকান এবং জাহাঙ্গীর আলমের ওয়ার্কশপ। তাদের প্রতিষ্ঠানের পাশের তাজমহল কমিউনিটি সেন্টারের অংশবিশেষও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

জাহেদুল ইসলাম মুন্নার দাবি, তার দুটি প্রতিষ্ঠানের অন্তত ২৫ লাখ টাকার বেশি পণ্য পুড়ে গেছে। 

ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তাঁর সব যন্ত্রপাতি পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ১৫ লাখ টাকার।

মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের দলনেতা হায়াতুন্নবী বলেন, আগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ শুরু করে। আড়াই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

তাদের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। দ্রুত সময়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পাশের একটি বড় আবাসিক ভবন রক্ষা পেয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আগ ন ল ইসল ম ম রসর ই

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে ছুরিকাঘাত ও সংঘর্ষে দুই প্রাণহানি, আহত ৩০

নড়াইল সদরে ছুরিকাঘাতে বাসের সুপারভাইজার ও কালিয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সকালে নড়াইল শহরের নতুন বাস টার্মিনালে নড়াইল এক্সপ্রেস পরিবহনের সুপারভাইজারকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। আর কালিয়ায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষের সময় হামলাকারীরা বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুট করেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। পুলিশ ২০ জনকে আটক করেছে। 

জানা যায়, নড়াইল এক্সপ্রেস পরিবহনের ওই সুপারভাইজারের নাম মোশারফ মুন্সী মুসা (৪৫)। গতকাল সকাল ৬টার দিকে তিনি নতুন বাস টার্মিনালে বসে ছিলেন। এ সময় কয়েক দুর্বৃত্ত এসে তাঁকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মুসা সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নের দলজিৎপুর এলাকার শামসুর রহমান মুন্সীর ছেলে। নড়াইল সদর থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, জড়িতদের শনাক্ত করতে চেষ্টা চলছে। 

অন্যদিকে, কালিয়ার কাঞ্চনপুরে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কাঞ্চনপুর গ্রামের মিলন মোল্যা ও আফতাব মোল্যার মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মিলন মোল্যার পক্ষের সানোয়ার মোল্যাকে মারধর করে আফতাব মোল্যার লোকজন। এর জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মিলন মোল্যার লোকজন আফতাব মোল্যার বাড়িতে হামলা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। আহত ফরিদ মোল্যা (৫৭) রাত ৯টার দিকে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ২০টি বাড়িঘর ও দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুন দেয় প্রতিপক্ষ। রাতেই যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে উভয় পক্ষের ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। কালিয়া থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাসদস্য মোতায়েন রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ