শিবালয়ে চাকরি স্থায়ীকরণ ও বেতন বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
Published: 9th, April 2025 GMT
চাকরি স্থায়ীকরণ ও বেতন বাড়ানোর দাবিতে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় সড়ক অবরোধ করেছেন একটি কারখানার শ্রমিকেরা। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নবগ্রাম এলাকায় উথলী-পাটুরিয়া সড়কে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর বেলা দুইটার দিকে সড়ক থেকে সরে যান তাঁরা।
অবরোধের কারণে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী, চালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই। পরে স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে শ্রমিকেরা সড়ক থেকে সরে গেলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চায়না হার্ডওয়্যার বিডি নামের তালা তৈরির কারখানাটি নবগ্রাম এলাকাতেই অবস্থিত। কয়েকজন শ্রমিক অভিযোগ করেন, মালিকপক্ষ তাঁদের ন্যায্য পারিশ্রমিক দেয় না। একাধিকবার বেতন বাড়ানোর কথা থাকলেও তা করা হয়নি। এ ছাড়া সাপ্তাহিক ছুটি দেওয়া হলেও ওই দিনের বেতন কেটে নেওয়া হয়। এসব বিষয় নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও কারখানা কর্তৃপক্ষ একাধিকবার বসলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এ কারণে তাঁরা সড়ক অবরোধ করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করেন।
উপজেলা প্রশাসন, কারখানাটির কয়েকজন শ্রমিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কারখানাটির সামনে উথলী-পাটুরিয়া সড়কে অবস্থান নেন শ্রমিকেরা। এ সময় ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বেলা দেড়টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম ফয়েজ উদ্দিন ও শিবালয় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কারখানার মালিকপক্ষকে নিয়ে বসে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে বেলা দুইটার দিকে সড়ক থেকে সরে কারখানার ভেতরে যান শ্রমিকেরা।
চেষ্টা করেও কারখানা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম ফয়েজ উদ্দিন জানান, কারখানাটিতে শ্রমিকদের জন্য সুনির্দিষ্ট বেতনকাঠামো নেই। দেশের অন্য তালা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বা কারখানায় শ্রমিকদের কী পরিমাণ বেতন-ভাতা দেওয়া হয়, এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কারখানাটিতে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ২১ এপ্রিলের মধ্যে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রচলিত শ্রম আইনে শ্রমিকদের বেতনকাঠামো নির্ধারণ করবে বলে জানা গেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সড়ক থ ক অবর ধ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।
মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।