নববর্ষের শোভাযাত্রায় ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি’ গাইবেন ২০০ ব্যান্ড তারকা
Published: 9th, April 2025 GMT
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, নববর্ষের এবারের শোভাযাত্রার থিম হবে কৃষক, যা বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষকদের প্রতি সম্মান জানাতে চিহ্নিত করা হবে। এটি কৃষকের অবদান ও তাদের সংগ্রামকে স্বীকৃতি প্রদান করবে।
এবার বাংলা নববর্ষে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের জন্য শান্তি কামনা করে উৎসব উদযাপন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা সেমিনার কক্ষে চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, 'বিশ্বের একটা দেশ ফিলিস্তিন। সেখানে যেভাবে গণহত্যা চলছে, এই পরিস্থিতিতে শুধু দেশের জন্য শুভকামনা করে নববর্ষ উদযাপন করতে পারি না। তাই আমরা সারাবিশ্বের শান্তি কামনা করে এবারের নববর্ষ বা বৈশাখের অনুষ্ঠান উদযাপন করব।'
ফারুকী বলেন, এবারের শোভাযাত্রায় ২০০ জন বাংলাদেশ ব্যান্ড তারকা উপস্থিত থাকবেন। সেখানে 'ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি' গান গেয়ে শোভাযাত্রা শুরু হবে। আশা করছি ৫০০ মিউজিশিয়ান এতে যোগ দেবেন।
তিনি বলেন, 'সারাদেশে নানাবয়সী মিউজিশিয়ানরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তারা তাদের গিটার ও একটি প্যালেস্টাইনের পতাকা নিয়ে নববর্ষে সারা বিশ্বের জন্য শান্তি কামনা করে শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারেন।'
এছাড়াও শোভাযাত্রায় যারা মিউজিশিয়ান আছেন, তাদের অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বাংলা ব্যান্ড মিউজিশিয়ানস ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলা ব্যান্ড মিউজিশিয়ানসের পক্ষ থেকে ওয়ারফেজ ব্যান্ডের সদস্য শেখ মনিরুল আলম টিপু বলেন, চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষকে কেন্দ্র করে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা নিঃসন্দেহ আশাবহ। এবছর চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষের শোভাযাত্রা আরো বড় পরিসরে ও বৈচিত্র্যপূর্ণ করার লক্ষ্যে কিছু আকর্ষণীয় ও ভিন্ন আয়োজন রয়েছে যার অন্যতম তারুণ্য নির্ভর ব্যান্ড সংগীতের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি আর সময়োপযোগী ও ভিন্ন কিছু বার্তা নিয়ে শোভাযাত্রায় শতাধিক শিল্পী হাজির হবে।
একাডেমি সূত্র জানায়, চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষ ১৪৩২ বাংলা ব্যান্ড মিউজিশিয়ানসের বিশেষ কিছু আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়। যা এই প্রথমবারের মতো নববর্ষে উপস্থাপিত হবে। এবছর চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষের শোভাযাত্রা আরো বড় পরিসরে ও বৈচিত্র্যপূর্ণ করার লক্ষ্যে কিছু আকর্ষণীয় ও ভিন্ন আয়োজন রয়েছে যার অন্যতম তারুণ্য নির্ভর ব্যান্ড সংগীতের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি আর সময়োপযোগী ও ভিন্ন কিছু বার্তা নিয়ে শোভাযাত্রায় শিল্পীদের অংশগ্রহণ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ও নববর ষ নববর ষ র উপস থ
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ মোটিফ পুড়ে যাওয়ায় চারুকলা অনুষদ যা জানাল
নববর্ষের শোভাযাত্রা উপলক্ষে বানানো ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতির মোটিফটি কে বা কারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। এ জন্য তাঁরা দুঃখপ্রকাশ করেছেন।
আজ শনিবার সকালে চারুকলা অনুষদ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম শেখ স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদ্যাপনের লক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতীকী মোটিফ বানান। অন্যান্য মোটিফের সঙ্গে প্রতীকী দানবীয় ফ্যাসিস্টের মোটিফ বানানো হয়। অনুষদের দক্ষিণ পাশের গেট সংলগ্ন জায়গায় প্যান্ডেলের ভেতরে এই মোটিফগুলো রাখা হয়। কে বা কারা এর মধ্যে থেকে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতির মোটিফটি পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় শান্তির পায়রা মোটিফটিও আংশিক পুড়ে গেছে।
ভোর ৪টা ৫০ এর দিকে ওই আগুন লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, তখন দায়িত্বরত মোবাইল টিমের সদস্যরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য গিয়েছিলেন। তখনই হয়তো এ কাজ করা হয়েছে।
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে এবার নববর্ষের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারকার প্রধান মোটিফ ছিল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’। এটির উচ্চতা ২০ ফুট। এই মোটিফে বাঁশ ও বেত দিয়ে দাঁতাল মুখের এক নারীর মুখাবয়ব বানানো হয়। মাথায় খাঁড়া চারটি শিং, হাঁ করা মুখ, বিশালাকৃতির নাক ও ভয়ার্ত দুটি চোখ। এটিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি হিসেবে ধারণা করেছিলেন অনেকে।