চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নগরের এক সড়ক ও দুটি স্থাপনা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট ভাই শেখ রাসেলের নাম বাদ দিয়েছে। এসব নাম পরিবর্তন করে সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে সিটি করপোরেশন। বিষয়টি আজ বুধবার জানা যায়।

গত ১৬ মার্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পতন হওয়া সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে সিটি করপোরেশনের সড়ক, ভবন ও স্থাপনার নামকরণ পরিবর্তনের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। এরপর স্থাপনার বিদ্যমান নাম পরিবর্তন এবং নতুন নামকরণের বিষয়টি জানিয়ে মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় সিটি করপোরেশন।

নাম পরিবর্তন করে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরের জননেত্রী শেখ হাসিনা সড়কের নাম পরিবর্তন করে বিমানবন্দর সড়ক করা হয়েছে। ২০২৩ সালের মার্চে নগরের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত বিমানবন্দর সড়ক ও ভিআইপি সড়ককে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা’ সড়ক নামকরণ করা হয়েছিল।

চট্টগ্রাম নগরের আমবাগানে শেখ রাসেল পার্ককে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ওয়াসিম আকরামের নামে শহীদ ওয়াসিম আকরাম পার্ক করা হয়েছে। ২০১৯ সালে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই উদ্যান করেছিল সিটি করপোরেশন।

নগরের উত্তর কাট্টলীতে অবস্থিত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করা হলে নতুন নামকরণ করা হয়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর স্টেডিয়ামের নামফলক খুলে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে সংস্কার ও মেরামতকাজ চলছে। এই কাজ শেষ হলে নতুন নামকরণ করবে সিটি করপোরেশন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন মকরণ নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম বদলের যৌক্তিক কারণ জানানোর দাবি

মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম বদলে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামকরণ করার যৌক্তিক কারণ জানানোর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী। তারা নিজেদের চারুকলা অনুষদের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। 

সোমবার ঢাবির চারুকলা অনুষদে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে চারুকলা অনুষদের প্রিন্ট মেকিং বিভাগের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে জাহারা নাজিফা নামে একজন বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা হবে। আমরা এ সিদ্ধান্ত সমর্থন করছি না। চারুকলার শিক্ষার্থীদের মতামত ছাড়া এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা বাদ দেওয়ার একটি যৌক্তিক কারণ আমাদের দেখান। ১৯৮৯ সাল থেকে এ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারও মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে। এখানে এভাবে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করছি।’ ভবিষ্যতে এ ধরনের জটিলতা এড়াতে নীতিমালা করার দাবি জানান তিনি।

স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন কেন্দ্র করে ১৯৮৯ সালে এটি আনন্দ শোভাযাত্রা হিসেবে শুরু হয়েছিল। ১৯৯৬ সাল থেকে এটি ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামকরণ করা হয়েছিল। প্রায় ২৮ বছর পর এটি পুরনো নামে ফিরলো।

গত শুক্রবার মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে আনন্দ শোভাযাত্রা করা প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘আমরা নাম পরিবর্তন করছি না। আমরা পুরোনো নাম এবং ঐতিহ্যে ফেরত যাচ্ছি, যেটা দিয়ে চারুকলার এই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম বদলের যৌক্তিক কারণ জানানোর দাবি
  • গাইবান্ধার শাহ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন
  • বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকারের নামে নামকরণ