আমাদের সমাজে উগ্রপন্থা সব সময়ই ছিল। কেবল ধর্ম নয়, রাজনীতির নামেও। ক্ষমতাসীনেরা যখন মনে করেন, বিরোধী পক্ষ বা মতকে শায়েস্তা করতে হবে, তখনই উগ্রপন্থার আশ্রয় নেন। আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দলকে গণতান্ত্রিকভাবে মোকাবিলা না করে উগ্রপন্থার আশ্রয় নিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা ও প্রতিষ্ঠার নামে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন-পীড়ন কোনোভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হতে পারে না।

একইভাবে গণ-অভ্যুত্থানের আট মাস পরও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরে হামলা চালানোকে ‘বিক্ষুব্ধ জনতার’ প্রতিক্রিয়া বলে চালানোর সুযোগ নেই। প্রশ্নটা হলো আইনের শাসনের। কেউ অপরাধ করলে সরকার তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে, কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে যে গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়, তার লক্ষ্য ছিল সব ধরনের বৈষম্যের অবসান ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, যেখানে কেউ কারও ওপর জবরদস্তি করবে না। নারী-পুরুষনির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিক তাঁর রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ভোগ করবেন। অথচ আমরা লক্ষ করলাম, একশ্রেণির উগ্রপন্থী মানুষ কখনো ধর্মের নামে, কখনো রাজনৈতিক মতাদর্শের নামে নিজের মত অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে জোরজবরদস্তি করছেন। বাড়ি–ঘর–স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছেন।

সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমস অভ্যুত্থান–উত্তর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পালাবদলের একটি চিত্র তুলে ধরেছে, যার শিরোনাম ছিল ‘অ্যাজ বাংলাদেশ রিইনভেন্টস ইটসেলফ, ইসলামিস্ট হার্ড লাইনারস সি অ্যান ওপেনিং’; অর্থাৎ বাংলাদেশ যখন নতুন রূপে গড়ে উঠছে, তখন ইসলামি কট্টরপন্থীরা নতুন সুযোগ দেখছে।

বাংলাদেশের নতুন রূপটি এখনো দৃশ্যমান নয়। সরকার সংস্কার ও নির্বাচনের লক্ষ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে। এটা ইতিবাচক। কিন্তু উদ্বেগের ঘটনা হলো নারীর প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে, তাদের পোশাক নিয়ে কটাক্ষ চলছে, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু ও আহমদিয়াদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে, মাজার, দরগাহ আক্রান্ত হচ্ছে। একদল লোক বাউলগানের আসর ভেঙে দিচ্ছে, নাটক ও মেয়েদের খেলা বন্ধ করে দিচ্ছে।
নিউইয়র্ক টাইমস-এর উল্লিখিত প্রতিবেদন এ ধরনের কিছু ঘটনা তুলে ধরেছে। সবটা নয়। পত্রিকাটি বলছে, কট্টরপন্থীদের এসব বেআইনি তৎপরতা বন্ধে সরকারকে যতটা সাহসী ভূমিকা নেওয়ার কথা, সেটা তারা নিতে পারছে না। তাদের নমনীয়তার সুযোগে বাংলাদেশে উগ্রপন্থার প্রসার ঘটছে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের একটি বিভ্রান্তিকর ও একপেশে দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে দেশটি ধর্মীয় চরমপন্থীদের নিয়ন্ত্রণের দ্বারপ্রান্তে। এই বয়ান কেবল দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক গতিশীলতাকে অতিরঞ্জিত করে না, বরং ১৮ কোটি মানুষের একটি সমগ্র জাতিকে অন্যায়ভাবে কলঙ্কিত করার ঝুঁকির মুখেও ফেলে দেয়।

সরকার যে ভাষায় প্রতিক্রিয়া দেখাল, তা বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের অস্বীকারের সংস্কৃতির কথা মনে করিয়ে দেয়। দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে নেতিবাচক কিছু প্রকাশ করা হলে তারা শোরগোল তুলত। এর মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পেত। নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদন পড়ে আমাদের মনে হয়নি, তারা সরকার বা জাতিকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছে, বরং উগ্রপন্থার বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে।

সরকার যে ভাষায় প্রতিক্রিয়া দেখাল, তা বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের অস্বীকারের সংস্কৃতির কথা মনে করিয়ে দেয়। দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে নেতিবাচক কিছু প্রকাশ করা হলে তারা শোরগোল তুলত। এর মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পেত। নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদন পড়ে আমাদের মনে হয়নি, তারা সরকার বা জাতিকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছে, বরং উগ্রপন্থার বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমস-এ যেসব ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে, সেগুলো নতুন নয়। সব কটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এসেছে। এর বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটেছে। কাউকে নিশ্চিহ্ন করা পিষে মারার হুংকার দেওয়া হচ্ছে। গত কয়েক মাসে বিভিন্ন স্থানে যে নারীদের হেনস্তা, লাঞ্ছিত হওয়া, নারী তারকাদের শোরুম উদ্বোধনের করতে না দেওয়ার ঘটনা কী সরকার অস্বীকার করতে পারবে? কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকার অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করলেও বেশির ভাগ থেকেছে আইনের ঊর্ধ্বে । পরিবেশটাই এমন হয়েছে যে মানুষ অভিযোগ করতেই ভয় পাচ্ছে।  চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ‘তৌহিদি জনতা’, তথা ‘বিক্ষুব্ধ মুসল্লিদের’ দাবির মুখে বাংলাদেশের দিনাজপুর ও জয়পুরহাটে নারীদের ফুটবল ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

বিশ্ব সুফী সংস্থার দাবি, গত ছয় মাসে ৮০টি মাজারে হামলা হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার উত্তরায় চাপের মুখে বস্ত উৎসব বন্ধ করে দিতে হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলে লালন উৎসবও হতে পারেনি বাধার মুখে। এর আগে নারায়ণগঞ্জে লালনভক্তদের মিলন মেলা পণ্ড করে দেন এক দল লোক। এরপরও যদি সরকার উগ্রপন্থার উত্থান অস্বীকার করে, সেটি সত্যের অপলাপই বলতে হবে।

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সম্মুখসারিতে থাকা একজন ছাত্রী যখন বলেন, ‘পাঁচ-ছয় মাস পর দেখছি, পুরো ব্যাপারটা উল্টে গেল’, তখন নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনকে বিভ্রান্তিকর বলার সুযোগ থাকে না।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘বাংলাদেশে কোনোভাবেই উগ্রপন্থার অবস্থান হবে না। আমাদের সরকার এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। যদি দেখি আলোচনা ও সতর্কতা যথেষ্ট নয়, তবে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

আমরাও মনে করি, যেকোনো সমস্যা সমাধানে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যাঁরা আলোচনায় বিশ্বাসী নন, যাঁরা নিজের মতের বাইরে কিছুই শুনতে চান না, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে কতটা ফলপ্রসূ হবে, সেই প্রশ্ন আছে।

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় কী ঘটেছে।  ৩ এপ্রিল গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় স্থানীয়দের বাধায় একটি নাটকের মঞ্চায়ন বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের রানীগঞ্জ উদয়ন সংঘ মাঠে আপন দুলাল নামের নাটকটি মঞ্চস্থ হওয়ার কথা ছিল। মাসখানেক ধরে আপন দুলাল নাটক মঞ্চস্থের জন্য রিহার্সেল চলেছে। রানীগঞ্জ উদয়ন সংঘ মাঠে ৫২ বছর ধরে স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীদের আয়োজনে নাটক, গীতিনাট্য, পালাগানের মঞ্চস্থ হয়ে আসছিল।

প্রথম আলোয় নাটক বন্ধের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সরকার শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করে। বলা হয়, মুসল্লি নয়, একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের আপত্তির কারণে নাটক মঞ্চায়ন বন্ধ করা হয়েছিল। পরে উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপে স্থানীয় প্রশাসন ফের নাটক মঞ্চায়নের ব্যবস্থা করে।

একশ্রেণির মানুষ আছেন, যাঁরা মনে করেন নাটক হলে সমাজ ‘খারাপ’ হয়ে যাবে, ছবি আঁকলে সমাজ ‘খারাপ’ হয়ে যাবে, গান গাইলে সমাজ ‘খারাপ’ হয়ে যাবে। মেয়েরা ঘরের বাইরে এলে সমাজ ‘খারাপ’ হয়ে যাবে। একুশ শতকে এসেও এরা একটা কূপমণ্ডূক সমাজ তৈরি করতে চায় এবং ক্ষেত্র বিশেষে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের তাদের পক্ষ সাফাই গাইতেও দেখা যায়।

উগ্রপন্থার দাপট আমাদের সমাজে সব সময়ই ছিল। বিএনপি সরকারের আমলে ৬৩ জেলায় বোমা হামলা, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হলি আর্টিজান হত্যাকাণ্ড (নিহতদের বেশির ভাগই ছিলেন বিদেশি) বাংলাদেশে উগ্রপন্থার ভয়ংকর দৃশ্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। রামু, নাসিরনগর, কুমিল্লা, পীরগঞ্জসহ নানা জায়গায় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনাও ঘটেছে।

সরকারের নীতিনির্ধারকদের মনে রাখতে হবে, অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ থাকে না। নিউইয়র্ক টাইমস কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কিংবা বর্তমান সরকারকে কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিবেদন করেছে, এই যুক্তি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।

সাংবাদিক-গবেষক আলতাফ পারভেজ নিউয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনকে হিমশৈলের সামান্য চূড়ামাত্র বলে অভিহিত করেছেন। অর্থাৎ বাংলাদেশে উগ্রপন্থার বিপদটি গুরুতর। আর উগ্রপন্থার তাণ্ডব কেবল ধর্মবিশ্বাসের কারণে ঘটছে, তা–ও নয়। সমাজে যখন সর্বত্র আইন না মানার সংস্কৃতি বেড়ে যায়, যুক্তির বদলে জবরদস্তি দিয়ে সব প্রশ্নের মীমাংসা করতে চায়, তখনই বিপদ বেড়ে যায়।

অতএব, সত্য অস্বীকার না করে সরকারের উচিত উগ্রপন্থার হিমশৈলের ‘নিমজ্জিত অংশ’ খুঁজে বের করা।

সোহরাব হাসান প্রথম আলোর যুগ্মসম্পাদক ও কবি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল গ সরক র র র জন ত ক আম দ র র ঘটন আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন করা যেতে পারে বলে বিচারকের মত

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার হওয়া ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলকে বিতাড়িত করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন মার্কিন অভিবাসন আদালতের এক বিচারক। এর মধ্য দিয়ে এক মাস আগে নিউইয়র্ক নগর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীকে বিতাড়িত করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন তাদের তৎপরতা চালিয়ে যেতে পারবে।

লুইজিয়ানার লাসাল অভিবাসন আদালতের বিচারক জেমি কোমান্স গতকাল শুক্রবার এ মত দিয়েছেন। তাঁর এ সিদ্ধান্তই যে খলিলের চূড়ান্ত পরিণতি নির্ধারণ করে দিচ্ছে, তা নয়। তবে এটিকে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য উল্লেখযোগ্য বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, তিনি খলিলের মতো বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিপন্থী বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিতাড়িত করার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন।

১৯৫২ সালের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টকে উদ্ধৃত করে গত মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক রুবিও বলেছিলেন, খলিল মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি–সংক্রান্ত স্বার্থের ক্ষতি করতে পারেন এবং তাঁর বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের জন্য তাঁকে বিতাড়িত করা উচিত।

কোমান্স বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে অগ্রাহ্য করার এখতিয়ার তাঁর নেই। খলিলের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে রুবিওকে তলব করার এবং ১৯৫২ সালের আইনের অধীন তাঁর নেওয়া সিদ্ধান্তের ‘যুক্তিসংগত কারণ’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বিচারকের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। তবে বিচারক তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

লুইজিয়ানার গ্রামীণ এলাকায় কাঁটাতারে ঘেরা একটি অভিবাসী আটককেন্দ্রের ভেতর বসা আদালতে ৯০ মিনিটের শুনানির পর বিচারক এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউইয়র্ক নগর ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন খলিল। সিরিয়ার একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থীশিবিরে জন্মগ্রহণকারী খলিল আলজেরিয়ার নাগরিক। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা হন তিনি। খলিলের স্ত্রী একজন মার্কিন নাগরিক।

গত ৮ মার্চ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবন থেকে খলিলকে গ্রেপ্তার করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) কর্মকর্তারা। এরপর কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে লুইজিয়ানার কারাগারে পাঠান। তখন থেকে তিনি সেখানেই আছেন।

বিচারক কোমান্স ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী খলিলের আইনজীবীদের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছেন।

আরও পড়ুনফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের সংগঠক গ্রিনকার্ডধারী খলিলকে কি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন করতে পারবেন ট্রাম্প১৩ মার্চ ২০২৫

খলিলকে বিতাড়িত করার আদেশ দেবেন কি না, তা এখন বিবেচনা করবেন কোমান্স। তার আগে বিতাড়ন থেকে রেহাই পেতে আবেদন করার জন্য খলিলের আইনজীবীদের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তিনি। একজন অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পর তিনি নিপীড়নের শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা করলে অভিবাসন আদালতের বিচারক তাঁকে বিতাড়িত না করার জন্য আদেশ দিতে পারেন।

নিউ জার্সিতে আলাদা এক মামলায় স্থানীয় আদালতের বিচারপতি মাইকেল ফারবিয়ার্জ শিক্ষার্থী খলিলকে বিতাড়নের চেষ্টা আটকে দিয়েছেন। খলিলকে গ্রেপ্তারের ঘটনাটি মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর আওতায় দেওয়া বাক্‌স্বাধীনতার সুরক্ষাকে লঙ্ঘন করছে কি না, তা বিবেচনা করছেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্ডের সুদহার বৃদ্ধির কারণেই সরে এলেন ট্রাম্প
  • ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন করা যেতে পারে বলে বিচারকের মত
  • কলকাতা, লন্ডন ও নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিলাসী জীবন
  • নিউইয়র্কের হাডসন নদীতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ৬
  • নিউইয়র্কে হাডসন নদীতে পড়ল হেলিকপ্টার, ছয়জন নিহত
  • তুরস্কে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার প্রতিনিধি, লক্ষ্য সম্পর্ক জোরদার